"মা" ডাক শোনার থেকে, মা হওয়া টা এই সবচেয়ে কঠিন।
মা হলো সবচেয়ে মধুর একটা, যে শব্দটার সাথে পৃথিবীর অন্য কোন শব্দের তুলনা চলে না,ডাক টা শুনলে কিন্তুু খুব ভালো লাগে, তবে এই ডাক শোনার পিছনে রয়েছে হাজারো কষ্ট, কতশত দিন রাত জেগে থাকা, না খেয়ে থাকা নিজের সাথে লড়াই করা, অনেক অনেক বাধা বিপদ পেরিয়ে দীর্ঘ ৯ টা মাস পর যখন আমরা এই মা ডাক শুনতে পাই তখন মনে হয় যেন সব দুঃখ কষ্ট এক নিমিষেই ভুলে যাই এটাই হয়তো সৃষ্টিকর্তার খেলা,, ।
একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো, তার মা হওয়ার সময় টুকু পুরো সময় টা এই তিনি লড়াই করে নিজের সাথে।কত কষ্টই না তাকে সহ্য করতে হয় তখন, পুরো ৯ টা মাস জুড়ে থাকে তার নিজের সাথে লড়াই করে, একটা নবজাতক এই পৃথিবীতে আনা এবং নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা সুস্থভাবে।
pixabay
আজ আমার এই কথাগুলো শেয়ার করার কারণ হচ্ছে, বসে বসে একা একা ভাবছিলাম একটা মা কত কষ্ট করছে একটি সন্তান কে এই পৃথিবীতে আনার জন্য। কিন্তুু আমরা সে মায়ের মূল্য কতটুকু দিতে পারি? আমাদের সমাজে এমন সন্তানও অনেক আছে তারা তাদের মায়ের খবর টা পর্যন্ত ঠিকঠাক ভাবে নেয় না।।
সন্তান রা যদি সত্যি বুঝতাম মায়ের, একটা মা কে কতটা কষ্ট করতে হয়, দীর্ঘ ৯ মাস তাকে একটু একটু করে নিজের ভিতরে বড় করা সেই সাথে এই পৃথিবীতে আনার জন্য দিন না রাত লড়াই করেছে।একটা মা প্রেগনেন্সির শুরু থেকে। যে পরিশ্রম টা করে।।
তা হয়তো সন্তানরা ভুলে যায় কিন্তুু মা কখনো ভুলে যায় না, প্রেগনেন্সির প্রথম তিন সপ্তাহ একটা মায়ের যে কি পরিমাণে বাজে অবস্থা হয়, না পারে একটা জিনিস ঠিক মত খেতে, না পারে স্বাদ গ্রহণ করতে কি বা খাবারের ঘ্রান টা পর্যন্ত নিতে পারে না আর যদিও কষ্ট করে খায়, কিন্তুু ঔ টা হজম করার শক্তিও তখন থাকে না। সারাটা দিনই তাকে বিছানায় পড়ে থাকতে হয় এমন কি ভালো কথা তখন ভালো লাগে না,,,।
কোন ভাবে প্রথম তিন মাস পার করতে পারলেও দ্বিতীয় তিন মাসে ও তার বেশ কষ্ট সহ্য করতে হয়।তবে কষ্টের মধ্যে একটা মনের তৃপ্তি আছে তাহলে, যখন মা বুঝতে পারে আমার ভিতরে কিছু একটা বড় হচ্ছে ছটফট করছে, যখন নবজাতকের সংকেত পায় তখন মা সব রকমের কষ্ট দুঃখ ভুলে যায়,,,।
হয়তো এই সংকেতের কারণেই একটা মা পারে দীর্ঘ ৯ টা মাস নিজের সাথে যুদ্ধ করে একটা সুন্দর এবং সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে, আর শেষের তিন মাসের কথা নাই বলি, যেহেতু আমি একটা মা একটা সন্তান জন্ম দিয়েছি সৃষ্টিকর্তা চাইলে আরো একটা সন্তান জন্ম দিতে পারি,,।
তাই আমার কাছে মনে হয় শেষের তিন মাস খুবই কষ্টকর মাঝে মাঝে তো মনে হয় এই জীবন টা বের হয়ে গেল, ঠিকমত একটু হাঁটাচলা করা যায় না,কম খেলেও সমস্যা এবং একটু বেশিও খাওয়া যায় না, খাবার টা পর্যন্ত ঠিকমতো খাওয়া যায় না, এমন কি সারাটা দিন শেষে একটু ঠিকঠাক মত আরাম করে ঘুমানো পর্যন্ত যায় না, এই এদিকে না ওদিকে এরকম না সে রকম,,এক কথায় কোনো ভাবে এই একটু শান্তি পাওয়া যায় না ,,।
pixabay
আমার মা কি বা প্রত্যেকের মা এই তো এমন কষ্ট করে আমাদের জন্ম দিয়েছে,, কত কষ্টই না তখন সহ্য করেছে তারা, তাইতো বলি মা, ডাক সোনা খুব সহজ যে কোনো সময় যেকোনো কারো মুখে থেকে শোনা যায়, তবে এত এত কষ্ট সহ্য করে একজন মা হওয়া খুব কঠিন,,।
আজ নিজের যখন একটু খারাপ লাগছিলো, তখন মায়ের কথা ভীষণ মনে পড়ছিলো এবং ভাবছিলাম আমার মা ও তো হয়তো আমার জন্য ঠিক এই রকম কষ্ট করেছে ,,, তাই বলবো মাকে খুব ভালবাসতে না পারলেও কখনো কষ্ট দিবেন, নিজের জায়গা থেকে মায়ের জন্য একটু হলেও ভালোবাসা দিবেন,, কারণ একটা মা আপনাকে পৃথিবীতে আনতে যতটা কষ্ট করেছে, এতো টুকু বলে হয়তো আমার ভুল হবে, এ পৃথিবীতে আনার পর থেকে আপনাকে বড় করা পর্যন্ত,,,।
রাতের পর রাত জাগা, নিজের মুখের খাবার আপনাকে খাইয়ে দেওয়া, আমার মনে হয় একটা মা একটা বাচ্চাকে পৃথিবীতে আনার পরে,তার এখনো শখ বা ইচ্ছা থাকে না,, সব টা তার বাচ্চাকে দিতে চায়, তাই বলি আপনি কোন কিছুর বিনিময় মায়ের এই ঋণ শোধ করতে পারবেন না। তাই আমাদের সবাইকে যার যার জায়গা থেকে মাকে অনেক বেশি ভালবাসতে হবে।
যাই হোক অনেক কথা শেয়ার করলাম আর শেয়ার করার কারণ হলো আজ নিজেকে দিয়ে কেন জানি মনে হল, যে মা ডাক শোনার চাইতে একজন মা হওয়ার জার্নি টা অনেক কঠিন। বলতে বলতে অনেক কিছুই বলে ফেললাম তাই আজ এখানে বিদায় নিচ্ছি, সবাই ভালো থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।।।।
মায়ের মতো মধুর শব্দ আর কিছু হতে পারে না। একটি মা তার সন্তান কে এই পৃথিবীতে নিয়ে আসার জন্য। যে কষ্ট করে শুধু সেই মা ই বলতে পারে। একদমই তাই আপু অনেক সন্তান আছে মায়ের মর্যাদা মায়ের সাথে কথা পর্যন্ত বলে না খোঁজ নেয় না। তারা যদি মায়ের কষ্টটা অনুভব করতে পারত তাহলে হয়তো বা এই কাজ গুলো করত না। নয়টি মাস মা আমাদের পেটে রেখেছিল এই নয়টি মাস আমরা মায়ের কতটা কষ্ট দিয়েছে হয়তোবা আমরা জানিনা কিন্তু একজন মা জানে তার কতটা কষ্ট আমরা দিয়েছি। যখন আমরা মা বলে ডাক দিয়ে থাকি তখন মা সব কষ্ট ভুলে যায়। মা থাকতে মায়ের মর্যাদা দেওয়া উচিত প্রত্যেকটা সন্তানের এবং ভালোবাসা দেওয়া উচিত।
হ্যাঁ, আমরা বুঝতে পারি না একটা মা মা হওয়ার সময় কতটা কষ্ট কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে, কিন্তু যখন মা হয়েছি এবং এই কষ্ট সহ্য করতেছি তখন থেকে মায়ের ওই কষ্টটা একটু হলেও অনুভব করতে পারতেছি ,,, প্রত্যেকটা সন্তান এই মায়ের এই কষ্ট বুঝা উচিত মা বাবাকে কখনোই কোন বিষয়ে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।।।।
মা শব্দটি সবথেকে ছোট হলেও এর গভীরতা বিশ্বজোড়া।সৃষ্টিকর্তা এমন একটি শক্তি নারীর মধ্যে দিয়েছেন যা অন্য কারো কাছে নেই। মায়ের গর্ভে ৩৭ সপ্তাহ ধরে একটু একটু করে বেড়ে ওঠা আরেকটি মানব জীবন এ যেন সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ খেলা।
গর্ভধারণের প্রথম দিন থেকে সুস্থ ভাবেই পৃথিবীর আলো দেখানো ,শিশুকে লালন-পালন করা, শিশুকে প্রতিষ্ঠিত করা সকল ক্ষেত্রে মায়ের অবদানের কোন তুলনা হয়না। একটি সন্তান পাড়ে বাবা মায়ের ভিতর ভালবাসার সেতু তৈরি করে দিতে। পুরো পরিবারের মধ্যমনি হলো একটি সন্তান।
সত্যি আপনার এই পোষ্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। নবজাতক শিশু ও মায়ের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা রইল।
একদম ঠিক একটা মা জন্ম দেওয়া শুরু থেকেই তাকে বড় করা পর্যন্ত যে কষ্টটা করে তা অন্য কোন কিছুর সাথে তুলনা চলে না, মা এমন একটা জায়গা যেখানে চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়।।। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর একটা কমেন্ট করার জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছেন দিদি, মা ডাক শোনার থেকে মা হওয়াটা সবথেকে বড় কঠিন কাজ। এর অনুভূতি হয় তো একদমই আলাদা। আমি হয়তো এখনো মা হইনি ।কিন্তু সমস্ত মায়েদের দেখি প্রত্যেকটা সন্তানের জন্য দিন রাত জেগে পরিশ্রম করে চলেছে। তবে এই পরিশ্রমের দাম সন্তানরা যখন বড় হয় তখন তারা মা-বাবাদের দিতে পারে না। একটা মা তার সন্তানকে পৃথিবীতে আনার পর তার সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে দিতে পারে। সন্তানের মুখ থেকে মা ডাক শোনার জন্য প্রত্যেকটা মায়েরা কষ্ট করে। সন্তান মানুষ করতে গিয়ে তাদের ঠিকমতো খাওয়া এমনকি কোন পর্যন্ত হয় না। আপনার পোস্ট পড়ে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক একটা মা পরিশ্রম করে ওই পরিশ্রমের দাম সন্তানরা বড় হয়ে কখনোই দিতে পারে না,, একটা মা বাচ্চা জন্ম দেওয়ার থেকে শুরু করে বড় করা পর্যন্ত সব কিছু বিসর্জন দিয়ে দিতে পারেও দিয়েও থাকে,,, কিন্তু আমরা সন্তানরা এর মর্ম বুঝি না।