Kakashi drawing
আমার বড়দের সকলকে প্রণাম জানাই । অনেকদিন আমি এখানে পোস্ট করিনি বলে আমার খুব মন খারাপ রয়েছে। আসলে আমি ঠিক ভাবে সময় পাচ্ছিলাম না। তার ওপর যেদিনকে আমি এই ছবিটা আকলাম, সেদিনকে আমি ভেবেছিলাম পোস্ট করব কিন্তু পরে আর হয়ে ওঠেনি।
তো আজকে আমি আঁকতে চলেছি আবার একটি আ্যনিমে ক্যারেক্টার ,যার নাম হল কাকাশী, আমাদের স্কুলে এর নাম খুব ফেমাস কাকা নামে। সবার মধ্যে ।কেউ যদি এর ছবি আঁকে তাহলে বলবে কাকার ছবি এঁকেছে ।কারণ আপনারা তো জানেনই যে কলেজিয়েট স্কুল কেমন। খুব মজা করে ছেলেগুলো ।আমিও মাঝে মাঝে করি ।কিন্তু অত করি না।
আমার বাড়িতে স্যারেরা আসলে তারাও বলে যে আমি নাকি খুব শান্ত আর বাকি ছেলেগুলো খুব বদমাশ ।বেঞ্চের উপর দিয়ে লাফায় আর অনেক বদমাইশি করে। যেমন জলের বোতল ফেলে দেয় ,কিন্তু আমি ওসব করি না। কয়েকজন আছে লটারিতে ভর্তি হয়। ওরা এত পরিমাণে দুষ্টুমি করে যে মাঝেমধ্যে আমিও বিরক্ত হয়ে যাই।
এই ধরুন আমি হাঁটছি পেছন থেকে কেউ আমাকে ঠেলাত মেরে ফেলে দেয়। ইচ্ছা করে আমার ব্যাগ থেকে জলের বোতল বের করে ফেলে দেয়। সেই জলের বোতল নিয়ে আবার ফুটবল খেলা শুরু করে। এটা শুধু আমার সাথে হয় তা নয়, আমার মতন এরকম যারা একটু শান্তভাবে থাকি, তাদের সকলের সাথে ওরা এরকম করে। আমি মাঝেমধ্যে খুব বিরক্ত হয়ে যাই এবং ওদের বারন করি। কিন্তু ওদের বেশি কিছু বলি না কারণ যদি আমাকে মেরে দেয়। একদিন তো আমার স্কুলের জামাতে আমার পিঠের দিকে পুরো নীল কালি লাগিয়ে দিয়েছিল ইচ্ছা করে।
একদিন কিছু বন্ধু ইট ছড়াছড়ি খেলতে খেলতে আমার মাথাই ফাটিয়ে দিচ্ছিল। আসলে হয়েছেটা কি ওরা ইট ছড়াছুড়ি খেলছিল। আর আমি ওদিক দিয়ে টিফিনের দিকে যাচ্ছিলাম। আর এটা আমার মাথায় লেগেছে এসে। আমি তো ভাবলাম মাথা ফেটে গেল। রক্ত বেরোচ্ছিল। সাথে সাথে মাস্টারমশাই আমার দিদিকে ফোন করেছিল। আর আমার দিদি আর জিজু ৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলে হাজির। কারণ আমার জিজু ওই স্কুলের ছাত্র। তাই মাঝে মধ্যে স্কুলে যাতায়াত করে। স্কুলে মাস্টার মশাইরা দাদাকে চেনে। যাওয়ার সাথে সাথে ওরা দুজন ক্লাসের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। আর আমার দিদি আর জিজু মিলে ওই ছেলেগুলোকে খুব বকাবকি করেছিল। তারপর তো মাস্টারমশায়ের সাথে কথা বলেছে। তারপর আমার বাবাও সেদিন এসেছিল। আসলে আর একটু বেশি ডিপ লাগলেই হয়তো আমাকে সেলাই করতে হত।
এরকম অনেক ঘটনায় প্রায় ঘটতে থাকে সবার সাথে। ছেলেগুলো মজা করতে গিয়ে অনেক ক্ষতি করে ফেলে। আমার মা এই কারণে খুব ভয় থাকে যখন আমি স্কুলে যাই। এর আগের বছর একটা দাদা আর একটা দাদার সাথে ধাক্কাধাকি করতে গিয়ে দাদাটা সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। তারপর তো দাদাটার পাও ভেঙ্গে গিয়েছিল।
ভিডিও লিঙ্ক
উপরের এই ভিডিওটা আমি নিজে নিজে করেছি। এমনকি এই ভিডিও এডিটটাও আমি করেছি। দিদির থেকে একদম সাহায্য নেইনি।
আর একটা ব্যাপার বলি, ওই ছেলেগুলো মানে ওদেরকে যদি এক থেকে ১০০ পর্যন্ত বলা হয় গুনতে, তাহলে ওরা মজা করে ১ থেকে ১০ পর্যন্ত বলে, তারপর ১১ থেকে জাম্প মারবে 15 তে ,দিয়ে পনেরো থেকে উনিশে, ১৯ থেকে আবার চলে আসবে ১৩ তে ।এরা হচ্ছে এ ধরনের লোক। এরা কাউন্ট করতে গিয়ে কুড়ি দুবার বলে দেয় ।দিয়ে কুড়ির পর সোজা তিরিশ লাগিয়ে চলে আসে।
মানে আমরা তো মাঝে মাঝে খেলি, লুকোচুরি খেলি, ছোঁয়াছুঁয়ি খেলি। ওরা গুনতে গিয়ে জোরে জোরে বলে, তো আমরাও শুনতে পারি। যে কুড়ির পর তিরিশ ,ত্রিশের পর 35 বলছে। মানে আলাদাই লেভেলের মানুষ। ওদেরকে তাই জন্য আমরা খেলায় নিই না ।ওরা মাঠে গিয়ে রোদের মধ্যে বল খেলে, দিয়ে মুখটা কালো করে ।আর আমরা একটা ছায়ার মধ্যে যত খেলা হয়, সেগুলো খেলে থাকি।
যাই হোক তো এই কাকাশী আমার মাইন্ডে আসলো যখন আমি সার্চ করেছিলাম গুগল এ, নাড়ুটো সার্চ করতে গিয়ে আমি একে পেয়েছি ।এর নাম দেখি কাকাশী, আমি জানতাম না যে এটা কাকাশী। তারপর জানলাম। এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করব বলে ছবি আঁকলাম। সাথে ভিডিও রেডি করলাম।
বাকি আমি এর মাঝে একটি JDM car Rx7 ও এঁকেছি। কিন্তু ওটা ভিডিও করা হয়নি।
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
বাহ অনেকদিন পর আবার তোমার ছবি আঁকা দেখার সুযোগ হলো। তোমার হাজার ব্যস্ততার কারণে তুমি এতদিন ছবি আঁকতে পারোনি। আসলে বুঝুক ক্লাসে উঠলে পড়াশোনার চাপে সবকিছুই ছাড়তে হয়। সুন্দর ছবি এঁকে ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করেছ। তোমার ছবি আঁকা আমার খুব ভালো লাগে। পরবর্তী ছবি আঁকা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।