মুলোর শাক এর ঘন্ট
নমস্কার বন্ধুরা। আশা করছি সকলে সুস্থ আছেন। আজকে আমি আপনাদের সকলের সাথে শেয়ার করতে চলেছি আরো একটি রেসিপি । আজকে যে রেসিপিটি আমি শেয়ার করছি সেটা হয়তো অনেকেই জানেন। তাই রেসিপিটা রেসিপি ছলে না বলে একটু গল্প করতে করতেই রেসিপিটাকে শেয়ার করে নিচ্ছি।। আজকের রেসিপি হল মুলোর শাকের ঘন্ট।
এগুলো কথাটা শুনলেই আমার মাথাটা গরম হয়ে যায়। কারণ এর গন্ধ আমার একদম সহ্য হয় না। তবে ডাক্তারি মতে কাঁচা মুলো খাওয়া খুবই ভালো। কাঁচা মুলো খেলে নাকি অনেক উপকার হয় শরীরের। আমি অনেক মানুষকে দেখেছি এই কাঁচা মুলো শসা টমেটোর মতন খেতে। তার মধ্যে আমার বাড়িতেও আমার মা এটা খুব খায়।।
পাঞ্জাবে মুলো দিয়ে পরোটাও তৈরি করা হয়। পাঞ্জাবীরা এটা খেতে খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমার বাড়িতে বেশি এটা রান্না হয় না। তবে মাঝেমধ্যে শীতকালে মা মুলোর শাক দিয়ে এরকম ঘন্ট তৈরি করে। শাক পাতা খেতে আমাদের বাড়ির সবাই খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমার মুলোর কোন জিনিসই ভালো লাগেনা। তাই এই শাক রান্না করলে আমি একদম ছুঁয়েও দেখি না। তবে যে কোন শাকের ঘন্ট করা খুবই সহজ। এই কিছুদিন আগেই আপনাদের সাথে পালংশাকের ঘন্ট করার শেয়ার করেছিলাম।
এই ক্ষেত্রেও অনেকটা সেম, তাও আমি আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করে নিচ্ছি। প্রথমেই গ্যাসে কড়াই বসিয়ে কড়াইটা গরম হতে দিয়ে দিতে হবে। তারপরে তার মধ্যে দিয়ে দিতে হবে সর্ষের তেল। সরষের তেল গরম হয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে তার মধ্যে কালো জিরে। কয়েক সেকেন্ড পর দিয়ে দিতে হবে কেটে রাখা বেগুন। তারপর ওই বেগুনের মধ্যে পরিমাণ মতো নুন এবং হলুদ দিয়ে দিতে হবে। ভালোভাবে খুন্তি দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে ভেজে নিতে হবে।
এরপর দিয়ে দিতে হবে কেটে রাখা মুলোর শাক। আমি যদিও শাক পাতা বেশি ভালো চিনিনা। যেহেতু এরকম শাক দিয়ে ঘন্ট বেশি আমি রান্না করিনি। তবে মুলোর শাক চেনা যায়। পাতা নিচে গোলাপি রঙের ডাটি থাকে বলে। অন্যান্য শাকগুলো এরকম হয়না বলে আমার একটু বুঝতে অসুবিধা হয়।
যাই হোক শাকটা দিয়ে দেওয়ার পর, কিছুক্ষণ ঢাকনা দিয়ে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। ভাবে ভাবে ওটা সিদ্ধ হয়ে একদম অল্প হয়ে যাবে। কতগুলো কড়াই ভর্তি শাক একদম অল্প হয়ে গেলে সত্যিই অনেক মায়া লাগে। কত কষ্ট করে শাক কোটা হয়। তারপর কতগুলো শাকে মাত্র একটুখানি ঘন্টা তৈরি হয়। ঢাকনা খুলে যখন একদম সিদ্ধ হতে দেখা যাবে তখন নাড়াচাড়া করে নিতে হবে সবকিছু।
আর এভাবেই কত সহজেই একটা প্রতিদিনের রেসিপি তৈরি হয়ে গেল। গরম ভাতের সাথে এই শাকের ঘন্ট খেতে অনেকেই পছন্দ করে। বাড়িতে প্রতিদিনের যে রান্না গুলো হয়ে থাকে, মায়ের কাছ থেকে মাঝেমধ্যে শিখে নিচ্ছি এইভাবেই। না হলে ভবিষ্যতে ওই খুচখাচ রান্না করে নিজের পেট চালাতে হবে।
কারণ আমি এর আগেও বলেছি, আমি প্রতিদিনের যে সমস্ত রান্না হয়ে থাকে সে সমস্ত রান্না করা অভ্যাস নেই। মা নিজেই রান্না করে। আমি কখনোই সেভাবে রান্নাঘরে ঢুকি না।। বাবা মা বাড়িতে না থাকলে তখন হয়তো রান্নাঘরে রান্না করতে হয়। এছাড়া মাঝেমধ্যে সন্ধ্যেবেলায় এটা ওটা খেতে ইচ্ছা করলে তখন নিজে নিজে রান্না করে নিই। তবে বাঙালির নিত্য রান্না গুলো কখনো করা হয়ে ওঠে না। নানান কাজের চাপে এসব করার কথা মাথায় থাকে না।
এ কারণেই আমার মা সারাক্ষণ আমার উপর চেঁচামেচি করে। কিন্তু কিছু করার নেই। কাজ থেকে সময় পাইনা বলেই রান্নাঘরে ঢোকা হয় না। মাঝেমধ্যে youtube দেখে কতকিছু রান্না শিখে রাখি। সেগুলো প্রয়োগ করা হয় না। তবে আমার মা কিন্তু দুর্দান্ত রান্না করতে পারে। এ কারণেই হয়তো আমি যার রান্না করি তারও স্বাদ দারুণ হয়।।
যাইহোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আপনাদের সাথে গল্পের ছলে একটা ছোট্ট খাটো রেসিপি শেয়ার করে দিলাম। সকলে ভালো থাকুন। আগামীকাল নতুন কিছু নিয়ে হাজির হব।
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই, এত সুন্দর একটি মুলোর শাকের ঘন্ট রিসিপি নিয়ে!আমাদের সাথে আজকে শেয়ার করেছেন। মুলা আমার একদম পছন্দ না, কিন্তু মুলা শাক খেতে অনেক ভালোবাসি। আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম কিভাবে মুলোর শাকের ঘন্ট তৈরি করতে হয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে মুলোর শাকের ঘন্ট বিবরণ দিয়েছেন। এবং কিভাবে সহজে রান্না করা যায় এই মুলোর শাকের ঘন্ট, যা পড়ে অনেক ভালো লাগলো! ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
আপনার পোস্টটি খুবই মজার এবং বাস্তবসম্মত। মুলোর শাকের ঘন্টের রেসিপি এবং আপনার রান্নার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। একেবারে সহজ অথচ সুস্বাদু রান্না, গরম ভাতের সাথে মজা নিতে হলে একদম এই ধরনের খাবারই দরকার। আপনার মা যে দুর্দান্ত রান্না করতে পারেন, সেটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে। আশা করছি, ভবিষ্যতে আরও অনেক রান্নার গল্প শেয়ার করবেন।
বেশ সুন্দর এবং আলতো হাতে রান্না করেন আপনি, বলতেই হবে পোস্টটি পড়ে রান্নার হাত চমৎকার যদিও স্বাদ গ্রহন করার সুযোগ হবে কিনা কখনো জানিনা তবে এটা দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে খেতে।।
সত্যি কথা বলতে আমি মুলার সাথে একদম পছন্দ করি না, তবে আপনার রেসিপির ধরন দেখে এবং খুব সুন্দর গুছিয়ে রান্না করাটা দেখে আমার মনে হচ্ছে কোন একদিন তৈরি করা যেতে পারে,,। অবশ্য একদিন চেষ্টা করব ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমরা সাধারণত মুলার শাক ভাজি করে থাকি কিন্তু আজকে আপনি আমাদের সাথে অন্যরকম একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন আসলে এই ভাবে কখনোই রান্না করে খাওয়া হয়নি ইনশাল্লাহ খুব দ্রুত আপনার রেসিপি ফলো করে এইভাবে মূলার ঘন্ট রান্না করার চেষ্টা করব অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।