কেনাকাটার পরবর্তী পর্ব

in Incredible India8 days ago

নমস্কার বন্ধুরা, আশা করছি আপনারা সকলে সুস্থ আছেন। গতকাল আমি কেনাকাটা নিয়ে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম ।আজকে সেই পোস্টের পরবর্তী অংশটুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিচ্ছি।।

20250629_134031.jpg

শার্ট কেনা হয়ে গেলে এরপর কাকিমার জন্য শাড়ির দিকে চলে গেলাম। শাড়ির সেকশনে গিয়ে আমার তো চোখ চারিদিকে ঘুরছে ,কারণ চারিদিকে এত সুন্দর সুন্দর শাড়ি দেখে আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারছি না ।মনে হচ্ছে সবকটাই কিনে ফেলি। কিন্তু হাতে টাকা পয়সা একদমই নেই, আর বাবার কাছ থেকে চাইতে আমার একদম ভালো লাগে না।

তাই আপাতত চক্ষুটাকে বন্ধ করার চেষ্টা করলাম ।ঘোড়াকে যেমন এদিক ওদিক যেন না দেখতে পারে, এ কারণে ঘোড়ার চোখে দুই পাশে কি যেন একটা লাগিয়ে দেয় ।আমার মনে হচ্ছে, আমারও চোখের দুই পাশে কেউ যদি ওরকম কিছু একটা লাগিয়ে দিত। ভালো হতো। কাকিমার জন্য অনেকগুলো শাড়ি দেখার পড়ে অবশেষে একটা শাড়ি পছন্দ হলো। শাড়িটার দাম নিল ১৫৬৫ টাকা। অর্থাৎ ১৪২ steem.

20250629_133419.jpg

এর সাথে আমরা আরো অনেক শাড়ি দেখলাম। এসব দেখতে দেখতে হঠাৎ করে আমার মায়ের জন্য একটা শাড়ি পছন্দ হয়ে গেল ।শাড়িটার দাম নিল ২০০০ টাকা মত। অর্থাৎ ২০০ steem. সব মিলিয়ে বেশ ভালোই খরচা হয়ে গেল। মা এর জন্য যখন শাড়িটা নিচ্ছিলাম, মাকে ভিডিও কল করে দুবার দেখিয়েছি, মা বারবার বারণ করছিল নেওয়ার জন্য। কিন্তু আমার বাবা পছন্দ হয়েছে বলে নিয়ে নিল।

20250629_140215.jpg

ওদের দোকানে, খুব সুন্দর সুন্দর শাড়ি ছিল ।ছবিতে রাখা যে বেনারসি গুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো তিন হাজার টাকার উপরে ।তিন থেকে চার হাজার টাকার মত প্রাইস ।কিন্তু দেখতে কত সুন্দর। সাথে লাইট কালারের যে শাড়িগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো ওরকম ৪০০০ টাকার মধ্যেই দাম। আমার তো শাড়িগুলো দুর্দান্ত লেগেছে। পরবর্তীতে হাতে টাকা থাকলে অবশ্যই কিনে নিয়ে আসব।

20250629_134037.jpg

আসলে আমার কিছুতেই বাবার কাছে কিছু চাইতে ভালো লাগে না। নিজের রোজগারের টাকা দিয়েই জিনিসপত্র কিনতে বেশি পছন্দ করি। যাইহোক সবশেষে বিল দাঁড়ালো ৬১৬৪ টাকা। ওরা ডিসকাউন্ট দিয়ে টাকা নিল ৫৮০০ টাকা।অর্থাৎ ৫২৭ steem।

আমি তারপর এই বাবার সাথে বাড়ি চলে আসলাম, আর মাকে এসে বলছিলাম ঠাট্টা করে যে মা তোমার তো ভালোই হয়েছে, একটা করে অনুষ্ঠান বাঁধছে ,আর তোমার একটা করে নতুন নতুন শাড়ি হচ্ছে। এর আগেও যখন দুটো অনুষ্ঠান ছিল ,অ্যানিভার্সারি বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে। মায়ের কিন্তু তখনও দুবার দুবার শাড়ি হয়েছে। এই কারণেই মাকে আমি ঠাট্টা করে কথা শোনাচ্ছিলাম।

20250629_134026.jpg

আমার মা প্রচন্ড পরিমাণে গোছানো এবং টাকা পয়সার দিক থেকেও খুব বুঝে শুনে চলে। সে তুলনায় আমি আর বাবা উল্টোটা। কেনাকাটার দিকে আমার মা খুব বুঝে শুনে কেনাকাটা করে ।নিজের জন্য যা মনে হচ্ছে তাই কিনে নিলাম, সেটা একদমই মা কোনদিন করনি। এমনকি কোনদিনও মুখ ফুটে একবারও কিনে দিতেও বলে না ।

আমি আর বাবা পছন্দ মতো যা কিনে এনে দিই, মা তাই পড়ে ।বিয়ের প্রথম থেকেই নাকি মা এরকম ছিল ।তাই বাবা মাঝে মধ্যেই শখ করে মাকে শাড়ি কিনে দেয়। আর এর সাথে আমাকে বলে, তুই কেন তোর মায়ের মত হলি না।

অনেক কথা হয়ে গেল, কেনাকাটার সাথে সাথে অনেক গল্প করে ফেললাম ।আজকে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকুন।

Sort:  
Loading...
Loading...

Thank you for sharing quality content on Steemit.
You have been supported by the Team 04:

Captura de pantalla 2025-06-30 202646.png

Curated by: @pelon53

 7 days ago 

কেনাকাটা করতে তুমি পছন্দ করো এটা আমি খুব ভালো করেই জানি। তবে আগের থেকে অনেকটাই খরচের হাত কমেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো কোন জিনিস পছন্দ হলেই তো হুটহাট করে কিনে নাও। তবে শাড়ির কালেকশন গুলো দেখে আমারও ভীষণ নিতে ইচ্ছা করছে। মেয়েদের শাড়ি আর গয়না থেকে চোখ ফেরানোর উপায় নেই। যতই মনে করি যে নেব না তবুও ঠিক চোখ চলে যায়। তোমার কাকিমার জন্য সুন্দর একটা শাড়ি নিয়ে নিয়েছো আর সাথে মায়ের জন্য নিয়ে নিয়েছো। মায়ের জন্য শাড়ি কেনা হলে তোমারও অবশ্য একটু-আধটু করা হবে। যাইহোক সেদিনের শপিং করার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছ।