নিজের হাতে খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ার অনুভূতি।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশা করি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও অনেক ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। তাই আজ আপনাদের মাঝে আবারও নতুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। বন্ধুরা আমি আজ আপনাদের মাঝে কিছুটা আনন্দের মুহূর্ত তুলে ধরতে হাজির হয়েছি।
আনন্দের মুহূর্ত বলতে আজকে আমি নিজের হাতে খিচুড়ি রান্না করেছিলাম। অনেক দিন পরে খিচুড়ি খাচ্ছি তাও আবার নিজের হাতে তৈরি করে। আগে খিচুড়ি রান্না হতো মামুন ভাই বা আমার আবু রায়হান ভাই রান্না করত। আমি সাধারণ ভাবে তরকারি রান্না করতে পারি। কিন্তু খিচুড়ি এই তিন দিন চেষ্টা করে আজকে অনেকটা ভালো হয়েছে। এর আগে যা রান্না করেছি তা কোনো না কোনো কিছু কম থেকে যায় তাই খুব বেশি ভালো লাগতো না। তবে আজকের রান্নাটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আজকে দুপুরে ঠিক করেছিলাম হঠাৎ করে খিচুড়ি রান্না করবো। কারণ আজকে ক্যান্টিনে গিয়ে দেখতে পেলাম কোনো বাজার নেই। সাধারণ ভাবে প্রতি দিন আমরা বেশি মাংস খেয়ে থাকি। তাই আজকে ও মাংস রান্না করতে হবে। তাই হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো কিছু মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করব। এবং দুপুরে ভাত রান্না হবে এখন মাংস রান্না করে রেখে দেবো।
তাই দেরি না করে আমি এসে ঝাল মরিচ কেটে নিয়েছি। এবং আমার সাথে যে ভাইটা আছে সে মাংস পরিষ্কার করতে চলে গিয়েছে। আমি এখন বর্তমানে একটি চুলা ব্যবহার করে থাকি। আগে দুইটি চুলা ব্যবহার করতাম কিন্তু নষ্ট হয়ে যাওয়ার জন্য একটি চুলা ব্যবহার করতে হচ্ছে। এক চুলায় দুই রকম রান্না করতে হলে একটু দেরি হয়। কিন্তু রুমে একটি বড় ভাই বারবার এসে জিজ্ঞাসা করছে খিচুড়ি হয়েছে কি না।
তাকে অনেক বার বলে বলে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম এখনো শেষ হয়নি। এবং রান্নার শেষের কিছু সময় আগে সে চলে আসে আমার এখানে। এসে বলছে রান্না কি শেষ হয়েছে আমি তাকে বললাম অল্প সময়ের মধ্যে হয়ে যাবে। সেও এসে দেখলো এবং আমার কাজে কিছুটা সহযোগিতা করছে। যাই হোক সে এসে দেখতে দেখতে রান্না হয়ে গিয়েছে। এবং সে বলল তাহলে দেরি না করে সাথে সাথে গরম গরম খিচুড়ি খেয়ে ফেলি।
আমিও বললাম সমস্যা নেই তাহলে চলেন আগে খাওয়া দাওয়া শেষ করে তারপরে অন্য কাজ। তাই আমরা তিন জন এক সাথে বসে গেলাম খাওয়া-দাওয়ার জন্য। এবং আজকের খিচুড়ি সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অন্য দুই দিন আমি চেষ্টা করেছি কিন্তু খুব বেশি ভালো করতে পারি নাই। আসলে কথায় আছে একটি কাজ করতে করতে একটি সময় সফলতা পাওয়া যায়।
ঠিক আগে দুই দিন চেষ্টা করেছি এবং আজকে দিয়ে তিন দিন চেষ্টা হয়েছে তাই হয়তোবা আজকে রান্নাটা একটু ভালো হয়েছে। এবং যা রান্না করেছিলাম সবকিছু শেষ করে ফেলেছি আমরা তিন জন। যাই হোক বন্ধুরা এটাই ছিলো কিছুটা আনন্দের মুহূর্ত খাওয়া-দাওয়া। তাই আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করবো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
মানুষ চেষ্টা করলে সব পারে,।
প্রবাস জীবনটাই এমন চাইলেই কিন্তু নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী তরকারি বা কোন কিছু রান্না করে খাওয়া যায় না বেশিরভাগ সময় অনেকের কাছেই শুনে থাকি তারা বেশিরভাগ মাংস খেয়ে থাকে কেননা এটা রান্না করার সহজ অন্যান্য তরকারি রান্না করতে গেলে আপনাকে অনেক কিছু জিনিসের যেমন প্রয়োজন হয় তেমন খাটনি বেশি হয় যার কারণে প্রবাসীরা কম কষ্টের কাজ খুব তাড়াতাড়ি করতে পছন্দ করে কেননা সারাদিন কাজ করে এসে আবার অন্যান্য তরকারি রান্না করার মত সময় তাদের হয়ে ওঠে না।
আজকে যখন বাসায় এসে দেখলেন আজকেও মাংস রান্না করতে হবে তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খিচুড়ি রান্না করার আপনার সিদ্ধান্ত কিন্তু বেশ ভালো কেননা এটাও কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায় তবে এটার স্বাদ একটু অন্যরকম হয়ে থাকে ধন্যবাদ নিজের রুমে থাকা মানুষদের সাথে কাটানো আনন্দঘন মুহূর্তটা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।