Better Life With Steem || The Diary game || 23/9/2025

in Incredible India6 days ago

হ্যালো গায়েজ,,

1000176158.jpg

আসসালামু আলাইকুম আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই সুস্থ এবং ভালো আছেন,,আলহামদুলিল্লাহ আমিও বেশ ভালো আছি।। প্রতিদিনের মতো আজকেও আপনাদের সামনে আমার কাটানো মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে চাচ্ছি।।


রাতে ঠিক মতন ঘুমাতে পারিনি,তার জন্য সকালবেলা উঠতে একটু কষ্ট হয়েছে। কষ্ট হয়েছে মানে বিছানা ছেড়ে উড়তে মন চাইছে না আরো ঘুমোতে ইচ্ছা করছে। নিজের মনের দিকে এবং ইচ্ছার দিকে না তাকিয়ে উঠে গেলাম।

1000170870.jpg

ঘুম থেকে উঠে মুখ হাত ধুয়ে এক গ্লাস পানি খেয়ে তারপর নিচে নেমে গেলাম। নিচে গিয়ে কাঁচা বাজার এবং বাসার প্রয়োজনীয় কিছু নিয়ে আসলাম। সাহেব ততক্ষণে খেয়েদেয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে গেল। আজকের সিড়ি দিয়ে উঠতে বেশ কষ্ট হয়েছে কারণ হাতে তিন চার কেজি ওজনের একটা বাজারে ব্যাগ ছিল।

বাসায় ঢুকে সঙ্গে সঙ্গে ফ্যানের নিচে বসে পড়ি এবং অনেকক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। বিশ্রাম নেওয়ার শেষে আমাদের জন্য সকালের নাস্তা বানাই। সকালের নাস্তা পর্ব শেষ করে। দুপুরের রান্নার কাজের উদ্দেশ্যে লেগে পড়ি।

1000170882.jpg
1000173157.jpg

সবজি তরকারি গুলো কেটে কুটে ধুয়ে রেখে তারপর আস্তে আস্তে করে রান্না করতে শুরু করি।দুপুর বারোটার ভিতরে আমার রান্নাবান্না সবকিছু গোছানো হয়ে গেছে।
রান্না গুলো শেষ করে তারপর কিছুক্ষণ বসে থাকি। এদিকে দেখি সাহেবও আজকে তাড়াতাড়ি বাসায় এসে গেল।

তবে তাকে দেখে আমি আর বেশিক্ষণ বসে থাকি নি, তাড়াতাড়ি ছেলেকে নিয়ে গোসল করে আসি। আর জোহরের নামাজ পড়ে নিলাম। নামাজ কালাম শেষ করে ছেলে-মেয়েকে এবং সাহেবকে তাদের ভাত খেতে দিলাম।
তাদের সঙ্গে সঙ্গে আমিও খেতে বসে পড়ি।

1000173272.jpg

তবে আজকে দুপুরে খাবারটা দুইটা বাজেই শেষ হয়ে গেল। দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে একটু বিছানার রেস্ট নিতে গেলাম। গিয়ে দেখি বিছানা অনেক গরম হয়ে আছে শরীর লাগানো যাচ্ছে না। জানালা দিয়ে এতটা রোদ আসে যে, সহ্য না করার মতন। যাইহোক, বিশ্রাম নিচ্ছিলাম আর ফোন ব্যবহার করি। বিশ্রাম নেওয়াই মানি ফোনকে সময় দেওয়া।

চারটা বেজে গেল আসরে আজানও দিয়ে দিল। আসরের আজান দেওয়ার কিছুক্ষণ পর উঠে গিয়ে ওযু করে নামাজটা পড়ে নিলাম। নামাজ পড়ে উঠে দেখি সাহেব সেও বেরিয়ে যাচ্ছে। আমি আর কি করবো ভাবি ফোন দিল ভাবির সাথে কিছুক্ষণ কথা বলি।

1000170874.jpg

তবে আজকের বিকালের মুহূর্তগুলো খুব ভালোভাবেই কেটে গেল। সন্ধ্যা হলো নামাজ পড়ে উঠে দেখি,কারেন্টটা চলে গেল প্রায় এক ঘন্টা পর আসলো। এক ঘন্টার ভিতরে কতগুলো মশার কামড় খেতে হয়েছে কয়েলকেও মশা হার মানায়। কারেন্ট আসার পর ছেলে মেয়েকে কিছু খেতে দিলাম। একজন চা বিস্কিট খেলো আর একজন ডিম খেলো। ওদের খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আমিও শুয়ে পড়ি আর পোস্ট লেখার কাজে লেগে যাই।

বন্ধুরা, আজকের লেখায় এখানেই শেষ করছি, আবার অন্য কোন পোস্টে আপনাদের সাথে দেখা হবে। (আল্লাহ হাফেজ)

Sort:  
Loading...

Congratulations! Your post has been supported by our team

InShot_20250801_084743252.jpg

Curated by @aviral123