WORLD CUP FOOTBALL:- Belgium Is The New Super Power Of Football ......
শৈল্পিক ফুটবলের কাছে কাল ব্রাজিলিয়ান সাম্বা ছন্দের অপমৃত্যু !!!!..
(আসুন আমরা সবাই মিলে ব্রাজিলের সমর্থকদের জন্য হলেও আজকের দিনটা শোক দিবস হিসেবে পালন করি.)..🤦♂️🤦♂️
আর্জেন্টাইন শৈল্পিক ফুটবলের অনুপম নিদর্শনই দেখা গেলো কাল বেলজিয়ানদের খেলায়... বিশ্ব মনে হয় কাল দেখে ফেললো আর্জেন্টিনার শৈল্পিক ফুটবলের যোগ্য উত্তরসূরি দলটিকে।
কাল আমার মতো হয়তো অনেকের মনেই এই ভাবনাটা জাগ্রত হইছিলো। খেলা দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিলো যেন আর্জেন্টিনা বনাম ব্রাজিলের খেলা দেখছি....... শুধু আর্জেন্টিনার নীল সাদা জার্সিটি ছিল না কিন্তু খেলার ভিতর সেই নীল সাদা জার্সির অদৃশ ছায়া দেখা হলো খেলার প্রতিটা মুহূর্তে....
বেলজিয়ানদের বল নিয়ে প্রতিটা মুভমেন্ট, দৌড়ানোর স্টাইল, প্রতিটা পাস এবং বলের উপর নিয়ন্ত্রণ এর মাঝেই ছিল শিল্পীর ছোয়া..... বেলজিয়ান ফুটবলারদের ধন্যবাদ এমন সুন্দর ফুটবল উপহার দেওয়ার জন্য.... বেলজিয়ান শৈল্পিক ফুটবলের কাছে ব্রাজিলিয়ানদের সাম্বা ছন্দ যেভাবে মার্ খেলো সেটা সত্যি ভুলার মতো না.... কাল যখন ৩০ মিনিটেই ব্রাজিল ২-০ তে পিছিয়ে পড়লো তখন হটাৎ গত বিশ্বকাপের জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে ব্রাজিলিয়ানদের হারার স্মৃতিটা ফিরে আসছিলো.
সেটা হয়তো আমার মতো অনেক ব্রাজিলিয়ান সমর্থকের মনে ও উঁকি দিচ্ছিলো। কিন্তু আমার একটা বিশ্বাস ছিল যে শৈল্পিক ফুটবল কখনো এতটা নিষ্ঠুর নির্দয় হতে পারে না জার্মানদের মতো. জার্মানরা সেদিন যতটা নির্দয় ছিল কাল কিন্তু বেলজিয়ানরা সেভাবে নির্দয় ছিল না.
কারণ বেলজিয়ানদের ভিতর শৈল্পিক ফুটবলের ছোয়া ছিল এবং আমরা সবাই জানি শিল্প কিংবা শিল্পী কখনো নির্মম কিংবা নিষ্ঠুর আচরণ করতে পারে না.... ব্রাজিল সমর্থকদের উদ্দোশ্যে আমি শুধুই একটাই কথা বলতাম যে এই বিশ্বকাপে কালকের আগ পর্যন্ত ব্রাজিল ভালো মানের টিমের সাথে খেলেনি... তাদের খেলা কেমন সেটা প্রমান করার জন্য একটা ভালো টিমের সাথে খেলা পড়লেই বুঝা যাবে?
কালকেই প্রথম ব্রাজিল একটা ভালো মানের ( যাদের বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছিলো) দলের মুখোমুখি হলো তাতেই ব্রাজিলের বাড়ি ফিরে যাবার টিকেট কন্ফার্ম হইয়া গেলো. এই কথাটাই আমার কাছের বন্ধুরা (যারা ব্রাজিল সমর্থক) বিশ্বাস করতে চাইতো না....
যাহোক, আমার বন্ধুদের মন খারাপ কাল রাত থেকেই তাদের প্রতি আমার সমবেদনা রইলো....
বি. দ্রঃ- কাল বেলজিয়ানদের টেকনিক ছিল যে তারা কোনো ভাবেই ব্রাজিলের কারো গায়ে কিংবা পায়ে টাচ ও করবে না.. সেটা দেখে কাল খেলার মধ্যেই খুব হাসি পাচ্ছিলো. কারণ বেলজিয়ানরা জানতো ব্রাজিল খেলোয়াড়দের গায়ে কিংবা পায়ে একটু স্পর্শ হলে তার ফলাফল কি হতে পারে।. যার দরুন কাল ব্রাজিল ঠিক আগের খেলা গুলার মতো ফ্রি কিক কিংবা পেনাল্টি পাওয়ার কোনো চান্স পাইনি সাথে রেফারিও অসহায় ছিল কাল বেলজিয়ানদের এমন খেলা দেখে.
PHOTO :- COURTESY OF ONLINE..