ভিডিওগ্রাফি ( চেনা রাস্তা অচেনা অনূভুতি )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
মানুষের জন্য মায়া খুবই খারাপ জিনিস। কখন যে কোন জিনিসের উপরে মানুষের এই মায়ার সৃষ্টি হয়ে যায় তার কোন ঠিক নেই। মানুষের মায়া শুধু মানুষের জন্যই হয় ব্যাপার টা এমন টা। আমাদের ব্যবহার করা জিনিস অথবা আমাদের বাড়িতে থাকা পালিত প্রাণী অথবা আপনি যে রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন চলাচল করেন দেখবেন সেই রাস্তার উপরেও আপনার একটা মায়ার তৈরি হয়ে গিয়েছে। কোন কারণে ঐ রাস্তা দিয়ে না যেতে পারলে আপনার ভালো লাগছে না। রাস্তার দুপাশের সবকিছু আপনার মুখস্থ হয়ে যায় কোথায় কী আছে সবকিছু। কলেজে ভর্তি হওয়ার পরে মেসে বা ছাএাবাসে চলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ঐসময় আমি বাড়ি ছাড়তে রাজি ছিলাম না।
আমার বাড়ি থেকে আমার কলেজের দূরত্ব ছিল ঐ ১৭ কিলোমিটারের মতো। এবং পুরোটাই হাইওয়ে। আমার বাড়ি থেকে কলেজে যেতে মোটামুটি ৪০-৫০ মিনিট সময় লাগত। ফলাফল বাড়ি থেকে লেখাপড়া চালিয়ে গেলাম। আমার একটা অভ্যাস আমি কখনোই ক্লাস মিস দিতাম না। প্রতিদিন সকালে উঠে তৈরি হয়ে হাইওয়ে তে গিয়ে দাঁড়াতাম। কখনও বাস কখনও সিএনজি তে করে চলে যেতাম আমার কলেজে। আবার দুপুরের দিকে একইভাবে ফিরে আসতাম। যে রাস্তা দিয়ে আমি এভাবে চার বছরের বেশি সময় চলাচল করেছি সেই রাস্তার উপরে আমার একটা মায়ার তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বলতে পারেন সেই মায়া এখনও কাটেনি। ঐ রাস্তার প্রতি এখনও আমার টান কাজ করে। মনে হয় কতদিন ঐ রাস্তা দিয়ে যায় না।
তখন মার্চ মাস চলছিল সম্ভবত। ২০২২ সালের কথা হবে। একদিন ক্লাস শেষ করে আমি এবং আমার আরও তিনবন্ধু বাড়ি ফিরছিলাম। যথারীতি ওরা পেছনে বসেছিল এবং আমি সিএনজির সামনে। সামনে বসে আমি ঐদিন এই ভিডিও টা ধারণ করেছিলাম। এটা যদি সাধারণ একটা রাস্তার ভিডিও মনে করেন তাহলে বলব ভুল করছেন। এরমধ্যেও অনেক স্মৃতি অনেক ইমোশন জড়িয়ে রয়েছে। কী চমৎকার পরিষ্কার সুন্দর হাইওয়ে। এখন আর আগের মতো এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যাতায়াত হয় না। দেড় বছর সময় কেটে গিয়েছে। তবুও সবকিছু এখনও যেন পরিষ্কার মনে আছে রাস্তার দুই পাশে কোথায় কী রয়েছে। এই ভিডিও টা আমার ফোনে ছিল। তাই ভাবলাম যায় আপনাদের সাথে এটা শেয়ার করে নেয়।
------ | ------ |
---|---|
ভিডিও ধারক | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO 1820 |
সময় | মার্চ,২০২২ |
মিউজিক | Sanson Ki Mala |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1927294531168342321?t=B04QYWneK0eig_zQYTJlVw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927294780670665052?t=TQb1-wUCJ-Mb7bYxHuWKdg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927294970123137420?t=5jOp_edERz7dYfx7LzZ_LA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927295085407834355?t=-iERXivQC0K9y9f4OD_DFQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927295205058752753?t=ND_j2RiwRARd6kqTG4k5Pw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927295371199308261?t=h5WdeHs-0aUmScUFeqwdPA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1927295521812631572?t=wwX-YwUDFZN8Vd8BZRvAaQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার মতই অবস্থা আমার। আমিও একটা জায়গার মায়ায় জড়িয়ে পড়েছি যে মায়া আমি এখনো কাটিয়ে উঠতে পারছিনা। প্রায় ৮ বছর হতে চলল আমি আমার সেই শহর সেই জায়গা ছেড়ে এসেছি। একদমই যাওয়া হয় না সেই শহরে কিন্তু সেই শহরের মায়া আমি আজও কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এখনো চোখ বন্ধ করলেই স্পষ্ট দেখতে পারি নিজেকে সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটতে, টিউশন পড়তে, স্কুল,কলেজ যেতে। নিজেকে সেই সব জায়গায় দেখতে পাই যে সব জায়গা আমার অনেক পছন্দের। এখনো অনেক প্রিয় সেই জায়গা। আপনার এই রাস্তার প্রতি মায়ার কথা জেনে বেশ ভালো লাগলো। সত্যি মায়া খুব খারাপ জিনিস, শুধুই কষ্ট দেয়।
আপনার এত সুন্দর একটি পোস্ট পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আমিও আমার গ্রামকে ভীষণ মিস করি। ছোট থেকে বড় হয়েছি গ্রামে তারপর পড়াশোনার জন্য গ্রাম থেকে শহরে আসার পরে শহরেই জীবনটা চলছে। তবে গ্রামের মায়া আমার পিছন ছাড়ে না। প্রতিনিয়ত ভীষণ মনে পড়ে আমার গ্রামের ঘর রাস্তা মাঠঘাট।