1000 DAYS OF STEEM— THE DIARY GAME : 05/09/2020 জ্বর এবং ব্যস্ত সময়।

in #thediarygame4 years ago

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই ?। আশা করি ভালই আছেন।
আমি ভালো আছি, আলহামদুলিল্লাহ।

IMG_20200905_153104.jpg

আজ সকাল সকাল মিস্ত্রীরা এসেছে, এসে বাসার দেয়াল গুলো ভাঙ্গার কাজ শুরু করে। টাইলস লাগানোর পূর্বে যেমন ভাঙ্গা দরকার আর কি। তাই ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে তাদের কাজ দেখি। যদি এখানে তদারকি করার মতো তেমন কিছু নাই তবুও তাদের সাথে না থাকলে তারা কাজে একটু ঢিলামি দেয়। তাই সাথে ছিলাম। কিন্তু বেশিক্ষন থাকা গেল না, হাতুরি পিটানোর শব্দে মাথা ধরে গেল। তাই কিছুক্ষনের জন্য ছাদে গিয়েছিলাম। আহ্ শান্তি মুক্ত বাতাস। কিছুক্ষনেই মাথা ধরাটা কেটে গেল।
আবার নিচে গেলাম, যেয়ে দেখি ফ্লোরের একটু খানি ভেঙ্গেছে তারা, কিন্তু আমাদের বাসার ফ্লোরের অবস্থা খুবই খারাপ, নিচে ডেবে গেছে এই ফ্লোর নতুন করে ঢালাই না দিলে টাইলস্ লাগানো সম্ভব নয়। আর এতে সপ্তাহ খানেক সময় লাগতে পারে, লেবার গুলো তাই বললো। তবে তারা বললো যে হেড মিস্ত্রীর সাথে আলোচনা করতে। এদিকে এতদিন লাগবে শুনে আমার মায়ের মাথা খারাপ তিনি চিন্তায় পরে গেছেন এ কয়দিন কিভাবে কি করবেন। যদিও তখনও শিউর না যে এত সময় আসলেই লাগবে কি না। আমরা হেড মিস্ত্রী কে ফোন দিলাম সে জানালো যে আরেকটি কাজে আছে কিছুক্ষন পরেই আসবে। আর বাসার এই অবস্থার জন্য আর শব্দের জন্য থাকা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমরা বাবা কে রেখে ফুপুর বাসায় যাই। যতক্ষন মিস্ত্রীরা কাজ করবে সেখানেই থাকবো। আমি আমার মা সহ ফ্যামিলির অন্যান্যদের নিয়ে ফুপুর বাসায় যাই, যেয়ে দুপুরের খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষন রেস্ট নেই এবং আমার বাবার জন্য কিছু খাবার নিয়ে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। এদিক আবার সকাল থেকে আমার শরীরটা খুব একটা ভালো লাগছিল না। গত দিন বৃষ্টিতে ভেজার জন্য হালকা ঠান্ডা ঠান্ডা এবং জ্বর জ্বর অনুভূত হচ্ছিল। আমি রিক্সা নিয়ে বাসায় আসি এবং বাবা কে খাবার দিয়ে দেখি হেড মিস্ত্রী এসেছে। সে সব কিছু খুটিয়ে দেখে বললো। গ্রাউন্ড ফ্লোরে এমন হয়, কয়েক বছর পর হালকা ডেবে যায় এটা স্বাভাবিক। তালে জিজ্ঞেস করলাম এখন কি করতে হবে ? সে বললো যে সম্পূর্ণ খুরে নতুন করে ঢালাই দিতে হবে। আমি বললাম কত দিন সময় লাগবে ? বললো আজ ঢালাই দিলে কালই টাইলস্ বসাতে পারবেন। আসল সমস্যা সমাধান হলো কতদিন সময় লাগতে পারে এটা নিয়েই সবাই চিন্তিত ছিল। মা কে ফোন করে জানালাম এই বিষয় টা। এবং ফ্লোর খোরা শুরু হলো কাজ চলতে লাগলো।

IMG_20200905_193423.jpg

আমার শরীর টা খারাপ লাগছিল, তাই মিস্ত্রীদের সাথে আব্বু আছে জন্য আমি এসে আমার রুমে একটু শুই। খুবই ঠান্ডা লাগছিল। কাথা নেয়ার পরও। আস্তে আস্তে জ্বর আসলো। আমি ঘুমিয়ে পরলাম।
সন্ধ্যায় আম্মুরা চলে আসলো ফুপুর বাসা থেকে এসে আমার এই অবস্থা দেখে তারাতারি ওষুধ দিলেন। এবং রেস্ট নিতে বললেন। এদিকে বাসার ফ্লোরের কাজ তখনও চলছে। ঢালাই শুরু হয়েছে। সামনে জায়গা কম থাকায় মিস্ত্রীদের মশলা মাখাতে একটু অসুবিধা হচ্ছিল। তবুও তারা কাজ চালিয়ে গেল। রাত প্রায় ১১ টা ঢালাইয়ের কাজ শেষ হলো এবং মিস্ত্রীরা বিদায় নিল। এখন ফ্লোরে হাটা নিষেধ, ঢালাইয়ের উপরে প্লাস্টিক দেয়া তবুও খুব বেশি হাটা যাবে না। তাই সবাই কোন মতো রাতের খাবার খেয়েই শুয়ে পরলাম। আমিও ওষুধ খেয়ে শুয়ে পরলাম।