ইস!!! কি জে গরম || আমার বাংলা ব্লগ
আজ - শনিবার
গ্রীষ্মকাল যে এখন চলে এসেছে এটা হাড়ে হাড়েই টের পাচ্ছি কারণ এই যে কিছুদিন হলো কি যে একটা গরম পড়তেছে তা বলে বোঝানো যাবে না । আসলে আমার মত অবশ্য সবাই হয়তোবা এই সিচুয়েশনের মধ্য দিয়ে এখন যাইতেছেন। শহর অঞ্চলের কথা তেমন একটা বলতে পারব না তবে গ্রাম অঞ্চলের অবস্থা বর্তমানে খুবই খারাপ । কারণ এদিকে লোডশেডিং এর মাত্রা খুবই বেশি এই তো দিন রাত সব মিলে ছয় থেকে সাত ঘন্টার এর বেশি আর বিদ্যুৎ থাকে না। তার উপরে আবার ইন্টারনেট স্পিড খুবই খারাপ এই তো প্রায় ঘন্টা দেরেক আগে কাজ করতে বসেছিলাম কিন্তু কাজের কোন কিছুই এখনো গোছাতে পারলাম না কারণ কাজ করতে, করতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে গেল তারপরে মোবাইল ডাটা দিয়ে কাজ করতে বসলাম এবার মোবাইল ডাটা স্পিড খুবই কম একেবারেই চলতেছে না।
কি আর করব বাধ্য হয়ে তারপরে চলে গেলাম বাইরে বাসায় একটা এক্সট্রা চেয়ার রয়েছে ওটা নিয়ে রাস্তার একটা পাশে বসে মোবাইল চালাচ্ছিলাম এবং কাজ করছিলাম। ওখানে আবার মশা বাবাজিরা এসে দল বেঁধে আমার গায়ে ভোজন করতে বসলেন, ইস কি যে একটা অবস্থা পা হাত ব্যথা হয়ে গেছে। যদিও বাসায় ছোট্ট একটা সোলার প্যানেল আছে এবং সেই সাথে একটা ফ্যানও রয়েছে । কিন্তু একটা যেহেতু ফ্যান, আমার আব্বু মাঝখানে রুমে ঘুমাচ্ছেন উনাকেই ফ্যানটা দেয়া হয়েছে, আসলে আব্বু রাতে কাজে যাবে তাই এখন একটু ঘুমিয়ে নিচ্ছে ওই জন্য আমরা আর কেউ ডিস্টার্ব করতে ছিলাম না আব্বু একাই ঘুমাচ্ছিলেন। আমি যখন পোষ্টের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করছি তখন আমার একটা ভাই পাশে বসে ছিল ভাইকে বলছিলাম চলেন তো এক্ষুনি বাজারে গিয়ে একটা একটা ফ্যান কিনে আনি এই গরমের ঠেলায় তো আর বাছা যাচ্ছে না।
তো তারপরে এই কথা বলতে, বলতে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ চলে আসলো। বাপরে!!! বিদ্যুৎ আসার পরে একটু যেন স্বস্তি মিললো এখন একটু ভালো আছি এবং মোটামুটি কাজও করতে পারতেছি। আসলে বর্তমানে এই গরম আমার মনে হয় সব জায়গায় প্রখর ভাবে পড়তেছে আসলে আমাদের এদিকে কি একটা অবস্থা সেই বিষয়গুলো আপনাদের সামনে আজকে তুলে ধরলাম ।আপনাদের ওদিকে কেমন গরম পড়তেছে এই সম্পর্কে আপনারা চাইলে কমেন্টে জানাতে পারেন, আসলে আপনাদের সঙ্গে মনের ভাবগুলো প্রকাশ করতে অনেক মজা লাগে এবং যখন আপনাদের মন্তব্যগুলো পড়ি তখন মনে হয় যে আমার এ কথাগুলোর অনেক গুরুত্ব রয়েছে এবং তখন নিজের প্রতি একটা ভালো লাগা কাজ করে। যেহেতু আর গরমের কথা বলতেছি তাহলে আমার অনুমান অনুযায়ী শহরের কথা একটু আপনাদের বলি।
আজকে বাসায় পানির কলটা নষ্ট হয়ে গেছিল। আমার আব্বু সারাদিন কাজ করে এসে বিকেল বেলায় একটু শুধু বিশ্রাম করে এবং রাতে ঘুমিয়ে আবার কাজে চলে যায়। তো আমি ভাবলাম আবু যেহেতু রোজা তার উপরে আবার এত পরিশ্রম করে তাই আমি একটু সময় করে কলটা ঠিক করে ফেলি, তো তারপরে কলটা খোলার পরে বুঝতে পারলাম অনেক কিছুই নষ্ট হয়েছে তো আম্মুর সঙ্গে কথা বলার পরে আম্মু বলল যে এগুলো নতুন কিনলেই আমার মনে হয় সবকিছু ভালো হবে। তো তারপরে বাইকটা নিয়ে বাজারের দিকে রওনা হলাম এবং ওখানে গিয়ে তো দেখি আরেক অবস্থা, যতক্ষণ বাজারে ছিলাম তখন ততক্ষণ মনে হচ্ছে গরমে ঝলসে যাচ্ছি। আসলে আমাদের গ্রামের এদিকে অতিরিক্ত গরম পড়লেও যেহেতু গাছ-গাছালি রয়েছে তাই একটু বাতাস বয় কিন্তু শহর অঞ্চলে গাছ গাছালি কম থাকার কারণে গরম মারাত্মক আকার ধারণ করে। যাইহোক সবাইকে এটাই বলতে চাই এই গরমে নিজের শরীরের যত্নে নিন এবং সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 । আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ কিছুদিন ধরে সব জায়গায় প্রচন্ড রকম গরম পড়েছে। আপনি খুব ভালো কাজ করেছেন যে আপনার আব্বুকে ডিস্টার্ব না করে নিজেই কল ঠিক করার চেষ্টা করেছেন। এরকম জিনিস গুলো না সারিয়ে নতুন লাগালেই ভালো। এতে খরচ প্রায় কাছাকাছি পরে। আসলে এই গরমে আমাদের সকলেরই আরো বেশি সাবধানে থাকা উচিত।
গ্রাম অঞ্চলের অবস্থা খুবই খারাপ ভাই।শহরে যারা বসবাস করে পাঁচ তলা, ছয়তলা তাদের জন্য বেশ কষ্টকর নয়। কারণ বেশ ঠান্ডা থাকে। যারা গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে একতলা বাড়ি অথবা টিনের বাড়ি এতটা ভয়াবহ দিন পার করতে হয় দিনের বেলায়। সত্য কথা বলতে বেশ কষ্টকর। ফ্যানের বাতাস খাওয়া মানে আগুন উপর থেকে পড়তেছে। আজকে দুপুর বেলা বাইরে বের হয়েছিলাম রোদের জ্বালায় চোখ দিয়ে পানি বের হচ্ছে। এতটা কষ্ট হচ্ছিল তাকাতেই পারছিলাম না। আপনার আব্বু যেহেতু রোজায় আপনি আব্বুর পরিশ্রমে কথা চিন্তা করে কলটা ঠিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। প্রতিটা সন্তানের উচিত বাবার এরকম খেয়াল রাখা। অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে যে পোস্টটি শেয়ার করেছ সত্যিই ঠিক বলেছ খুবই গরম পড়ছে আজ কয়েকটি দিন। এ গরমে মনে বলছে বারবার গোসল করতে তবে দুঃখের বিষয় তোমাদের টিউবয়েল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যাক পরবর্তীতে সেরেছ জানতে পেরে ভালো লাগলো। কারণে গরমের সময় টিউবয়েল যদি ভালো না থাকে তাহলে পানি তুলে গোসল করা খুবই সমস্যা ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে বন্ধু আজকে দুইদিন আমাদের এলাকাতে তাপমাত্রা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকালকে আমি দেখেছিলাম আমাদের মেহেরপুর জেলাতে তাপমাত্রা ছিল প্রায় ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসলে এত গরমে বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই এই কারণে মানবজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। তবে আমি মনে করি তোমার বাসাতে যেমন সোলার বসানো রয়েছে প্রত্যেকের বাসায় যদি সোলার বসানো যায় তাহলে এই গরম থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যাবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট লিখে শেয়ার করার জন্য।
গ্ৰীষ্মের তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। যদি বিদ্যুৎ ডিস্ট্রাব না দিতো তাহলে হয়তো কিছুটা গরম থেকে রেহাই পাওয়া যেত। কিন্তু যত বেশি গরম বাড়ছে তত বেশি লোড শোডিং এর চাপ বাড়ছে। এটা আসলেই আমাদের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ এখন বিদ্যুৎ উপর বিরক্ত হয়ে পড়েছে।
সব জায়গাতেই প্রচন্ড গরম পড়েছে ভাই। শহরাঞ্চলেও প্রচন্ড পরিমাণে গরম পড়েছে,তবে ঠিকই বলেছেন গ্রামের দিকে লোডশেডিং এর পরিমাণ টা একটু অতিরিক্ত হয়। যাইহোক, কারেন্ট না থাকায় গ্রীষ্মের দাবদাহে আপনি অনেকটাই অস্বস্তিতে ভুগছেন দেখছি। তারপর আবার জলের কলও খারাপ হয়ে গেছিল দেখছি।
অনেক ধন্যবাদ গরমের অস্বস্তিকর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য, যেহেতু এখন কমিউনিটিতে এ্যাকটিভ ইউজারের সংখ্যা বেশী সেহেতু পোষ্ট করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। প্রয়োজনে পোষ্ট একাধিকবার রিভিউ করে নিবেন, যাতে বানান ভুল হওয়ার সুযোগ না থাকে।
অবশ্যই ভাইয়া, এবার থেকে খেয়াল রাখছি তাহলে। ❤️❤️
ইন্টারনেটের কথা না হয় বাদ দিলাম ভাই, তবে দিনরাত মিলে যদি ছয় সাত ঘন্টা কারেন্ট না থাকে এই গরমে তাহলে তো খুবই খারাপ অবস্থা। আমাদের এদিকেও প্রচন্ড গরম পড়েছে কিন্তু লোডশেডিং হয় না কখনো। সারাদিনে খুব বেশি হলে পাঁচ মিনিট কারেন্ট যেতে পারে, তাও যায় না মাঝে মাঝে। তবে সব থেকে ভালো লাগলো এটা জেনে যে, এই গরমে আপনি আপনার বাবার কষ্ট বুঝেছেন এবং তাকে কিছু কাজে সাহায্যও করেছেন।