শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি - আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার ফটোগ্রাফি।। পর্ব-149

in #story2 days ago
আসসালামু আলাইকুম।। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ, আমি খুব ভালো আছি।।
আজকে আমার লেখা, "শুধু তোমাকে নিয়ে কল্পনা করি" নামক গল্পের 149 তম পর্ব।।
  • নয়টা। স্যার, স্যুটে আপনাকে মানাইছে। শহরের লুকের মতই লাগতেছে। সিরাজ স্যারের ঘরে সেন্ট আছে, নিয়া আসব?
    নাজিম অবাক হল, কত কি যে সে জানে না, কত কি যে এখনও শেখার বাকি। সে মাথা নাড়ল, বলল, স্যুট পরলে সেন্ট মাখতে হয়?
  • হ্যাঁ স্যার। নিয়া আসব?
  • না, তার কাছে না বলে তার কোন জিনিস ধরা ঠিক হবে না। ওতো গতরাতে। ফিরেনি।
    কথাটা আলীর পছন্দ হয়নি। তার চেহারার আকস্মিক ভাবান্তর দেখে বোঝা গেল, বোঝা গেল এ বিষয়ে তার বক্তব্য আছে। নাজিম জিজ্ঞেস করে, কিছু বলবে?
    আমাদের দেশে স্যার নিয়ম থাকে ভাঙার জন্য। একটু চা দিব স্যার?
  • এখন অনুগ্রহপূর্বক তুমি প্রস্থান কর।

IMG_5806.JPG

For work I use:


মোবাইল
Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার
@uncommonriad
লোকেশন
কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

ইংরেজিতে বলল, ইশারা করল।
সেগুনবাগিচা যেতে একঘন্টার বেশি সময় লাগবে না বেবিট্যাক্সিতে। তার মানে এখনও আরও পঁয়ত্রিশ মিনিট সময়ক্ষেপণ করতে হবে। একটা কথা ভাবতে তার খুব সুখ হয়।
তার এই চাকরি পাওয়ার কথা এখন পর্যন্ত সে কাউকে বলেনি। আম্মা, ভাইয়া, শিরীন কাউকে বলেনি। তার বহুদিনের একটি বাসনা, যদি কোনদিন চাকরি হয়, তাহলে প্রথম মাসের বেতন হাতে আসার আগে সেটা কাউকে বলবে না। বেতন পেয়ে প্রথমে ভাইয়ার জন্য পাজামা-পাঞ্জাবি কিনবে সে আড়ং থেকে। আড়ংয়ের জিনিস নাকি খুব ভাল হয়। বহুবার সে ঢুকেছে দোকানটায়। বিদেশী স্টাইল, প্রত্যেক জিনিসের গায়ে দাম লেখা আছে, দামটা একটু বেশিই, বিক্রয়-কর্মচারী সব মেয়ে। ভাল ভাল সুন্দর সুন্দর অভিজাত ঘরের মেয়ে, ওদের সঙ্গে অনেকেই ইংরেজিতে কথা বলে। আব্বা যতদিন জীবিত ছিলেন কোন দিন কোন ভাল জিনিস খাননি, ভাল পরিধেয় ব্যবহার করেননি। সমস্তটা জীবন বলতে গেলে উৎসর্গ করে দিয়েছেন স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের জন্য। অথচ খুব ছোট চাকরি করতেন না।

IMG_5807.JPG

For work I use:


মোবাইল
Iphone 14 Pro Max
ফটোগ্রাফার
@uncommonriad
লোকেশন
কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

একই চাকরি করে তার অনেক সহকর্মী শহরের ভাল ভাল এলাকায় বাড়ি করেছে। গাড়ি চড়ে, ব্যাংকক-সিঙ্গাপুর যায়। তিনি এইসব ক্লেদাক্ত পথে পা দেননি। একটা আদর্শ নিয়ে বুক-মাথা উঁচু করে চলেছেন। আব্বার সংসারের কৃষ্ণসাধনা সবাইকে স্পর্শ করেছে, সবচেয়ে বেশি করেছে আব্বাকেই। জীবনের সমস্ত ভাল থেকে নিজেকে বঞ্চিত করার সান্ত্বনাস্বরূপ আব্বা প্রায়ই বলতেন, আমি ভোগে বিশ্বাস করি না। ত্যাগে বিশ্বাস করি। আমার শান্তি গ্রহণক্ষমতায় নয়, বর্জন মহিমায়। সংসারের প্রয়োজনের মাপকাঠি হল, যা কিছু না হলে চলে তার দিকে তাকাবে না। আব্বা জীবিত থাকলে চাকরির কথা শুনে তিনি খুব খুশি হতেন।

গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ❤

@uncommonriad (5).png
This is original content by @uncommonriad. Thank you so much to visit my blog. Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, love, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much.

uncommonriad.gif

Sort:  

Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 14.114683076646047 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.