বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের অভ্যাস নিয়ে আমার লেখা গল্প - পর্ব ০২
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
আমার মতামতকে পছন্দ করছি কি-না তা নিয়ে আমি সবসময়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকি। এটা কেন হয়?
৯. আমার বিবাহিত জীবনে এক ঝড় বয়ে যাচ্ছে। আমরা স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া বিবাদ করছি না বটে, কিন্তু একজন আরেক জনকে মোটেই ভালোবাসতে বা সহ্য করতে পারি না। এ বিষয়ে আমরা অনেক কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলেছি । বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি। কিন্তু আগে আমাদের পরস্পরের প্রতি যে আবেগ ছিল তা কোনোভাবেই প্রকাশ করতে পারছি বলে মনে হয় না। এ বিষয়ে কী করতে পারি?
উপরোল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলোতে যে সমস্যার কথা বলা হয়েছে সেগুলো প্রত্যেকটি মানুষের মনের গভীরে লালিত কষ্টের কথা । এর কোনো তাৎক্ষণিক সুরাহা হয় না। বেশ ক'বছর আগে আমি ও আমার স্ত্রী সান্দ্রা এ রকম একটি সমস্যা নিপতিত হয়েছিলাম। আমাদের ছেলের স্কুলে ঝামেলা হচ্ছিল। লেখাপড়া ও খেলাধুলায় সে ভালো করছিল না। পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র বুঝতে তার অসুবিধা হচ্ছিল। সামাজিক জীবনে সে ছিল একেবারেই অপরিণামদর্শী। আপনজনদের সান্নিধ্য সে অধিকাংশ সময় বিব্রত বোধ করতো। তার শরীর ছিল হালকা পাতলা এবং খাটো করে। ব্যাট দিয়ে বল খেলতেও তার কষ্ট হতো । সবাই তাকে নিয়ে মশকরা করতো।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 16 Pro |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
আমার স্ত্রী এবং আমি ছেলেকে সহযোগিতা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। তখন মনে হয়েছিল, জীবনে যদি সাফল্য বলতে কিছু থাকে তবে তা হলো বাবা-মা হিসেবে সন্তানের জীবন গড়ে দেয়া। তাই সন্তানের প্রতি আমাদের আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গির বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করি। আমরা একটি কৌশল গ্রহণ করি। এটা হলো, সন্তানের প্রতি সব সময় সদয় দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা। আমরা তাকে বাহবা দিতাম। সে যখন বেসবল খেলতো আমরা তাকে অনুপ্রেরণা দিতাম। “ তুমি পারছো, ঠিক আছে। আমাদের 66 বিশ্বাস তুমি পারবে। ঠিক করে ব্যাটটা ধরো। বলের দিকে খেয়াল রাখো। বল কাছাকাছি না আসা পর্যন্ত ব্যাট তুলে মারত্বে যেও না কিন্তু। সে যদি একবার বল ঠিকমতো মারতে পারে তা হলেই আমরা বলতাম, 'এভাবেই মারবে, এইতো হয়েছে, ঠিক আছে।
তাকে নিয়ে অন্যেরা যখন হাসাহাসি করত তখন আমরা তাদেরকে বলতাম, “ওকে নিয়ে হাসাহাসি করো না। ওকে খেলতে দাও। সে শিখছে মাত্র।" এরকম ঘটনায় সে আগে কেঁদে ফেলত। সে কখনও খেলায় ভালো করতে পারবে না তাই সে বলত, এবং সে বেসবল খেলা পছন্দ করে না।
কিছুদিন এ রকম করার পর আমাদের মনে হলো আমরা আসলে তাকে সাহায্য করতে পারছি না। তার আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের সাহায্য প্রভাব ফেলছে না। প্রতিটি কৌশলের পুনরাবৃত্তি করেও আমরা যখন ব্যর্থ হই তখন বিষয়টিকে ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে চেষ্টা করি।
পেশাগতভাবে আমি তখন সারাদেশে নেতৃত্বের উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। সে সময় আমি ইন্টারন্যাশনাল বিজেনেস ম্যানেজম্যান্ট (আইবিএম)-এর নির্বাহী-উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের জন্য দ্বিমাসিক সেমিনার করতাম ও প্রশিক্ষণ দিতাম। এই প্রশিক্ষণের বিষয়বস্তু ছিল মানুষের প্রত্যক্ষণ এবং মানুষে মানুষে যোগাযোগ বা ভাববিনিময়। এর জন্য আমাকে নানা বিষয়ে পড়াশুনা করতে হয়। ফলে কীভাবে আমাদের প্রত্যক্ষণ গড়ে ওঠে আর কীভাবে আমাদের প্রত্যক্ষণ আমাদের অবলোকনের দৃষ্টিকে পরিচালিত করে, এবং দৃষ্টি কীভাবে আমাদের আচরণকে পরিচালিত করে সে বিষয়ে আমি বিশেষভাবে মনোযোগী হয়ে উঠি। সেজন্য আমি তখন expectency theory Ges self fulfilling prophecies অথবা pygmalion effect সম্পর্কেও পড়াশুনা করি। এসব গবেষণা থেকে আমি যা শিখি তা হলো, আমরা যে জগতকে দেখি সেই জগতের দিকে আমরা যেমন তাকাই তেমনি যে লেন্স দিয়ে এই জগতকে দেখি সে লেন্সের দিকে তাকানোও আমাদের খুবই প্রয়োজন। আমরা জগতকে কীভাবে ব্যাখ্যা করব তা ঠিক করে দেয় এই লেন্সই।
প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে আমি সান্দ্রার সঙ্গে কথা বলি, এবং আমরা দুজনে আমাদের নিজেদের অবস্থা বিশ্লেষণ করে বুঝতে চেষ্টা করি। আমাদের মনে হয়, সন্তানকে সহায়তা করার জন্য আমরা যা করেছি তা আসলে তাকে আমরা যেভাবে দেখেছি তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারণ, তার সম্পর্কে আমাদের অন্তর্জগতের যে প্রত্যক্ষণ ছিল তা হলো, সে আসলে অযোগ্য এবং কোনো-না-কোনোভাবে পিছিয়ে পড়া। আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের উপর যতই গুরুত্ব দেই না কেন আমাদের শ্রম সফল হয়নি। কারণ, আমরা তাকে যত কথা বলেছি এবং তার জন্য যত কাজ করেছি সব কিছুর দ্বারা তাকে একটি কথাই বুঝাতে চেয়েছি যে, 'তুমি সক্ষম
নও, তোমাকে রক্ষা করা দরকার'।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 21.1785064756514 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.