রোমান্টিক যুবক - আমার নিজের লেখা গল্প এবং ফটোগ্রাফি। পর্ব ০১
শাহেদ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল। আচ্ছা, এত দিন পর মেয়েটা একটু ঘুমাতে পারছে। ঐশীর সাথে সময়টা অবশ্যই তার জন্য কাজ করছে। লাইট নিভানোর সময় সে কিছু একটা শুনতে পেল। চেয়ার টানার শব্দ। এত দেরিতে কে চেয়ার টানবে। ওহ আমার! সে নিশ্চয়ই ভুল শুনেছে। কিন্তু অকারণে তার হৃদয় উত্তেজিত হতে শুরু করে। তাই সে ইচ্ছে না করে সেতুর ঘরের দিকে পা বাড়ালো। পর্দা সরাতেই শাহেদকে প্রত্যক্ষ করতে হলো এক ভয়ংকর দৃশ্য। সেতু ওড়নার মাধ্যমে তার গলা ও পাখার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছিল। মুহূর্তের মধ্যে চেয়ার ভেঙে চিরতরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলেন।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
মুহূর্তের মধ্যে সে তার সমস্ত সত্তা নিয়ে ছুটে এসে সেতুর পায়ের নিচে চেয়ারটা শক্ত করে ধরে রাখল। বিশ্রী নীরবতায় কতটা সময় কেটে গেছে তা দুজনের কেউই বলতে পারেনি। একপর্যায়ে সেতু নিজেই অবসন্ন হয়ে নেমে আসে। বিছানার এক কোণে বসে পরাজয়ের অশ্রু ফেলল। নীরব কান্না। প্রতিবার, সে হেঁচকির মতো টানছিল। শাহেদ চেয়ারের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করে সেতুর পাশে বসেন। চার দেয়ালে এক ধরনের ঘন নীরবতা নেমে এসেছে। বিছানার পাশে সযত্নে রাখা লাইট, ফ্যান, এমনকি ফুলের টবটাও চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে। বারান্দার গ্রিলটা বাইরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। বাইরে অসময়ে বৃষ্টি হচ্ছিল। এরই মধ্যে মেঘের আড়াল থেকে একটি সুন্দর অর্ধচন্দ্র ফিরে তাকাচ্ছে। যে ভুল হওয়ার কথা ছিল না; যে কেউ চায়নি; যে ভুলের কথা ভাবাও যায় না; যে হয়েছে..!
এটা করা হয়েছিল। তখনও খুব ভোর হয়নি। তখন সাড়ে নয়টা। শাহেদ কাজের সময় বাইরে থেকে নাস্তা নিয়ে আসে। টেবিলে রাখতেই ঐশীর কান্নার মিষ্টি আওয়াজ শুনতে পেল সে। এই কান্নার মানে সে জেগে উঠেছে। নীরা একবার বলেছিল। মায়েরাও বোঝেন কান্নার ভাষা। শাহেদ অতটা বুঝতে পারেনি। নীরা শুধু যা বলেছে তা মানতে চেষ্টা করলো। বলেই সেতুর ঘরে উঁকি দিল। এখন ঐশী রাতে সেতুর ঘরে থাকে। রাতে সেতুর ঘর থেকে আর কান্নার আওয়াজ নেই। ঐশীর সাথে হাসি-খেলার শব্দ হচ্ছে। এটা ভাল যে অন্তত কয়েক দিনের জন্য, মেয়েটি বিবাহবিচ্ছেদের ট্রমা থেকে নিজেকে বের করতে সক্ষম হয়।
শাহেদ কি ভেবে সেতুর ঘরে গেল? ঐশী তার বাবার দিকে তাকিয়ে উত্তেজনায় তার হাত পা ছড়িয়ে দেয়। ঐশীকে কোলে তুলে নিতে একটু নিচু হতেই হঠাৎ সেথুর মুখে একটা নিষ্পাপ চাহনি দেখতে পেল। না, মেয়েটাও কাল রাতে কেঁদেছিল। নিষ্পাপ মুখ, চোখ ও মুখ ফুলে গেছে। শাহেদের মনটা অকারণে খুব খারাপ হয়ে গেল।
প্রশ্ন চার দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে সেতুতে আঘাত করতে। নীরব কান্না রাত বাড়ার সাথে সাথে উচ্চস্বরে হয়। সেতুর সাথে দেয়াল, লাইট, ফ্যান। ইদানীং, পাখা খুব কাছে মনে হয়; যেন এই একটা জিনিস সেতুটিকে নিজের দিকে টানছে।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 6.3928904793178 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @fxsajol,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community