বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের অভ্যাস নিয়ে আমার লেখা গল্প - পর্ব ০১
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
বিগত পঁচিশ বছরের বেশি সময় ধরে আমি ব্যবসায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং পারিবারিক ও সামাজিক জীবনযাপন করছেন এমন অনেক লোকের সঙ্গে আলাপ বলেছি। এদের মধ্যে অনেকে তাঁদের সামাজিক ও পেশাগত জীবনে অভূতপূর্ব সাফল্য লাভ করেছেন। কিন্তু তাঁদের মনোজগতে রয়েছে অসম্ভব রকমের অতৃপ্তি। বাহ্যিক সাফল্য নিয়ে তাঁরা তাঁদের অভ্যন্তরীণ অতৃপ্তির সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন। তাঁদের ধারণা, মানুষের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তাঁরা ব্যর্থ।
যে ধরনের সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে সে ধরনের সমস্যার সঙ্গে প্রায় সকলেই পরিচিত। এখানে এর কয়েকটি দৃষ্টান্ত দেয়া হলো। তাঁরা বলেছেন-
১. আমার জীবনে অবিশ্বাস্য রকমের পেশাগত সাফল্য এসেছে। আমার লক্ষ্য স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট। কিন্তু এই সাফল্যের জন্যই আমি আমার ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের সুখ শান্তি হারিয়েছি। আমার স্ত্রী ও সন্তানরা আমার কাছে অপরিচিত হয়ে উঠেছে। আমি নিজেকে চিনি কি-না এ বিষয়েও ছিলাম সন্দিহান। আমার কাছে কোন জিনিসটা মূল্যবান তা কি আমি বুঝতে পেরেছি? যা পেয়েছি তা আমার প্রয়োজন ছিল কি-না-এ প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছা করে ।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 12 Mini |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
২. গত এক বছরে আমি একাধিক বার খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করেছি। আমি ওজন কমাতে চাই। এর জন্য কী কী করতে হবে তাও আমার জানা। ওজন কমানো সম্ভব এ আত্মবিশ্বাস আমার ছিল। কিন্তু আসলে পারিনি। কয়েক সপ্তাহ পরেই সব ভেস্তে গেছে। আমার সমস্যা হলো, আমি নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে তা ধরে রাখতে পারি না।
৩. ব্যবস্থাপনার সাফল্যবিষয়ক অনেকগুলো কোর্সে আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কর্মচারীদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু প্রত্যাশা করি। তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো হয়ে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছি। তাদের কাজ শেখাতে চেয়েছি। কিন্তু আমার প্রতি তাদের সামান্যতম আনুগত্য আছে বলে বোধ করি না।
৪. আমার ছেলের বয়স পনেরো বছর। সে একেবারে অবাধ্য, মাদকাসক্ত। আমি কতভাবে তাকে বোঝাবার চেষ্টা করছি। কিন্তু কোনো কাজে আসছে না। কোনোভাবেই তাকে কথা শোনাতে পারছি না। আমি অসহায়, কী করি বলুন তো?
৫. অসংখ্য কাজ। একেবারেই সময় নেই। আমি সারাদিন খুব চাপের মধ্যে থাকি। সবকিছু এলোমেলো করে ফেলি। পুরো সপ্তাহ আমার একইভাবে কাটে। সময়-ব্যবস্থাপনার অনেকগুলো কোর্সে আমি প্রশিক্ষণ নিয়েছি এবং বিভিন্ন ধরনের প্রায় আট ডজন পরিকল্পনা মেনে চলার চেষ্টা করেছি। এতে কিছুটা উপকার হয়েছে বটে, তবে খুব সুখী, সৃজনশীল ও শান্তিপূর্ণ জীবনযাপন করছি- এ কথা বলতে পারছি না ।
৬. আমি চাই আমার সন্তানরা শ্রমের মর্যাদা সম্পর্কে বুঝুক এবং জানুক। কিন্তু তাদের দিয়ে কোনো কাজ করাতে হলে সব সময় পেছনে লেগে থাকতে হয় এবং প্রতিটি পদক্ষেপে উদাহরণ টানতে হয়। এর চেয়ে বরং নিজে কাজটি করে দেয়া অনেক ভালো। কেন তাদেরকে বারবার কাজের কথা মনে করিয়ে দিতে হয়? কেন তারা নিজেরাই স্বাচ্ছন্দ্যে নিজেদের কাজ করতে পারে না?
৭. আমি ব্যস্ত, অসম্ভব রকমের ব্যস্ত । জীবনকে আমি অর্থপূর্ণ দেখতে চাই । অর্থাৎ দেখতে চাই, কোনো স্থানে আমার উপস্থিতি এমন কিছু পরিবর্তন এনেছে যা আমি না থাকলে সম্ভব হতো না। কিন্তু মাঝে মধ্যেই আমার সন্দেহ হয় । আমি কি তা করতে পেরেছি? আমি যা করছি তার কি কোনো সুদূরপ্রসারী গুরুত্ব আছে?
৮. যখন শুনি, আমার কোনো বন্ধু বা আত্মীয় কোনো কিছু অর্জন করেছে, বা তার জীবনে কোনো সাফল্য এসেছে তখন আমি তাকে হাসিমুখে অভিনন্দিত জানাই । কিন্তু ভেতরে ভেতরে আমার অন্তর পুড়ে যায়। কেন এ রকম ভাবি? মানুষের উপর আমি প্রভাব বিস্তার করতে পারি। কোনো আলোচনার ফলাফলকে আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। যার সাথে আলোচনা করি সে যাতে আমার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সেভাবে আমি তাকে প্রভাবিত করতে পারি। আমি বিশ্বাস করি, আমি যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি তা সকলের জন্য মঙ্গলজনক, কিন্তু এরপরও কেন অস্বস্তি বোধ করি।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 21.178507982766774 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.