শেষ বিকেলের মায়া - আমার লেখা ছোট একটি গল্প - পার্ট ৮৭

আসসালামুআলাইকুম

গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......

..

সে মাথা নেড়ে বলল, 'আমি চাই না মা চলে যাক; কিন্তু বাবা বললেন, মাকে যেতে হবে বোনের কাছে।'
তারপর আবার নীরব ব্যাথা নিয়ে পুতুলের দিকে তাকাল। আমি তাড়াতাড়ি মানিব্যাগে হাত দিয়ে বললাম, 'আচ্ছা, আরেকবার গুনতে দেখি। হয়তো যথেষ্ট টাকা আছে, কিন্তু আমরা ভুল হিসাব করেছি।' ছেলেটি সম্মতিতে ডানদিকে সামান্য মাথা নাড়ল। আমি গোপনে নিজের কিছু টাকা যোগ করে বললাম, 'আশা করি এবার ঠিকমত গুনতে পারব।' তারপর আমি গণনা শেষ করে বললাম, 'বাহ! এখানে অনেক টাকা আছে। পুতুল কেনার পরও এখানে টাকা বেশি থাকবে।' বাবা তার পলকহীন চোখে স্বর্গীয় হাসি দিয়ে বললেন, 'আলহামদুলিল্লাহ!' তারপর তিনি সরাসরি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'গত রাতে আমি ঘুমাতে যাওয়ার আগে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলাম যেন আমাকে পুতুলটি কেনার টাকা দেন। এবং আমি আমার মায়ের জন্য একটি সাদা গোলাপ কিনতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমি আল্লাহর কাছে আরও কিছু চাইতে সাহস করিনি। আল্লাহ আমাকে পুতুল এবং সাদা গোলাপ দুটোই কেনার টাকা দিয়েছেন।

For Photos I use:

---

Camera	Iphone 12 Mini
Lens	Wide 26 mm-Equivalent
Photographer	@fxsajol
Location	Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh
Processing photos	Outdoor

---

মনটা খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে গেল। মনে হল ছোট্ট ছেলেটির মস্তিষ্কের নিউরনে গেঁথে গেছে। কোনোভাবেই নড়তে পারছিলাম না। হঠাৎ দুদিন আগে খবরের কাগজে দেখা একটা লেখার কথা মনে পড়ল। এতে বলা হয়েছে যে একজন মাতাল ট্রাক ড্রাইভার একটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে। শিশুটি ঘটনাস্থলেই মারা যায়, এবং মেয়েটির মা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এই ছোট ছেলেটি কি সেই পরিবারের?

ছোট ছেলের সাথে কথোপকথনের দুদিন পর খবরের কাগজে দেখলাম মহিলাটিও মারা গেছে। নিজেকে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না। আমি কিছু সাদা গোলাপ কিনে মহিলার জানাজায় অংশ নিয়েছিলাম। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া শেষে, আমি একটি সাদা গোলাপ, পুতুল এবং কবরের পাশে বৃদ্ধের হাসিমাখা ছবি লক্ষ্য করলাম। আমি কান্নার বন্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে এলাম। এবং আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে আমার জীবনের একটি টার্নিং পয়েন্ট এখানে এসেছে। ছোট ছেলেটি তার মা বোনকে যতটা ভালবাসে,
আজ এত অকল্পনীয়, কিন্তু এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশে; একজন মাতাল চালক তার কাছ থেকে সবকিছু কেড়ে নেয়।

তার কাছে ফিরে আসা
এটি একটি ঘটনা যা আমার কাছে খুবই ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি আপনিও কিছু শিখবেন এবং উপকৃত হবেন। বিসমিল্লাহ বলে শুরু করি।
চলুন

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিকে আরেক মুসলিম ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। আমরা একেবারে সেরা বন্ধু হয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের বন্ধুত্ব আর পাঁচটি সাধারণ বন্ধুত্বের মতো ছিল না। আমি তার জন্য কিছু করতে হবে. তিনি আমার নিজের ভাইয়ের মতো ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শেষ বর্ষে, আমার এই ভাই আমাকে বলেছিলেন যে তার বাগদান হয়েছে এবং তিনি স্নাতক শেষ করার পরে বিয়ে করতে চলেছেন। আর এর মধ্যেই একটা চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। আমরা দুজনেই খুব খুশি ছিলাম। তিনি এত খুশি ছিলেন যে তিনি সব সময় কথা বলতে পারেন।

ভাবী বউ নিয়ে অন্তহীন কথা। 'কী হয়েছে?' আমি জিজ্ঞেস করলাম। "আমরা কি একা কোথাও কথা বলতে পারি?" সে মলিন মুখে জিজ্ঞেস করল। আমি রাজি হয়ে গেলাম। অবশেষে তার মন খারাপের কারণ জানতে পারলাম। আমি কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে গেলাম। তিনি বলেছিলেন যে তিনি জানতে পেরেছিলেন যে তার একটি ব্রেন টিউমার রয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুতর; অর্থাৎ ক্যান্সার হয়ে গেছে। যখন সে আমার সাথে এই কথাগুলো বলেছিল তখন তার কণ্ঠ কাঁপছিল, এবং তার গলা কান্নার বন্যায় ভিজে গিয়েছিল।

This is original content by @fxsajol . Stay with me and get more post about travel, photography, life, story, technology and motivation etc. Please upvote, comment and resteem my post. Again thank you so much 😊

সময় নিয়ে গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ