পালং শাকের মজাদার রেসিপি
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে আমি একটা রেসিপি শেয়ার করে নেবো। এই রেসিপিটা হলো পালং শাকের। পালং শাকের এই রেসিপিটা করেছিলাম গত দুইদিন আগে। কাঁকড়া দিয়ে পালং শাকের রেসিপিটা খেতে দারুন লেগেছিলো। পালং শাক এখন শীতের সবজি, ফলে এটা এখন খেতে বেশ স্বাদের লাগে। পাতি কাঁকড়াগুলো দিয়ে এইসব সবজি খেতে অনেক স্বাদের হয়ে থাকে। পালং শাকের অনেক গুনাগুন আছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। পালং শাক খেলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। পালং শাকে একধরণের বিটা ক্যারোটিন থাকে যা চোখের অনেক সমস্যার থেকে প্রটেক্টস করে আর এইগুলো সব উচ্চমাত্রায় থাকার কারণে আর সমস্যা হয় না চোখের। তারপর যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রেও এই পালং শাক অনেক উপকারী, কারণ এটি রক্তচাপের মাত্রাকে কমাতে অনেক সহায়তা করে থাকে। এছাড়া এইরকম আরো নানাবিধ উপকার আছে এই পালং শাকে। পালং শাকে একমাত্র ভিটামিন ডি ব্যাতিত আর সবধরণের ভিটামিন থাকে, ফলে পালং শাক আমাদের সবসময় খাওয়া উচিত। তাছাড়া পালং শাক বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায়, অনেকে এখন শীতের সময় পালং পরোটা করেও খেয়ে থাকে। পালং পরোটা কেমন লাগে কিজানি। বাড়িতে একদিন তৈরি করতে বলতে হবে দেখি, অনেকদিন থেকে খাওয়ার ইচ্ছা আছে পালং পরোটা। যাইহোক, এখন এই রেসিপিটার মূল বিষয়ের দিকে চলে যাবো।

✠প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহ:✠
✔এখন রেসিপিটা যেভাবে প্রস্তুত করলাম---
❂প্রস্তুত প্রণালী:❂
❣পাতি কাঁকড়াগুলো কেটে রাখা ছিল এবং আমি শুধু একবার ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পালং শাকগুলো বেছে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম এবং পরে ধুয়ে রেখেছিলাম।
❣আলু দুটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়েছিলাম এবং কেটে ছোট পিচ করে নেওয়ার পরে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছিলাম। এরপর পেঁয়াজ তিনটির খোসা ভালোভাবে ছালিয়ে নিয়ে কেটে নিয়েছিলাম। কাঁচা লঙ্কাগুলোকে কেটে রেখে দিয়েছিলাম।
❣একটি প্যানে সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছিলাম এবং তাতে ২ চামচের মতো লবন দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে চামচ দুই হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছিলাম।
❣হলুদ দেওয়ার পরে প্যানে পাতি কাঁকড়াগুলো সব দিয়ে দিয়েছিলাম। কাঁকড়াগুলো হালকা করে নেড়েচেড়ে লবন আর হলুদের সাথে মিশিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর কিছু সময় ধরে কাঁকড়াগুলো ভালো করে ভেজে তুলে নিয়েছিলাম।
❣অন্য আরেকটি কড়াইতে আবার সরিষার তেল দিয়ে গোটা জিরা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কেটে রাখা পেঁয়াজ দিয়ে দিয়েছিলাম।
❣পেঁয়াজটা ভালোভাবে ভেজে নিয়েছিলাম জিরার সাথে। এরপর আলুর পিচগুলো অন্য প্যানে ভালোভাবে একবারে ভেজে এই কড়াইতে ভাজা পেঁয়াজ এর মধ্যে ঢেলে দিয়েছিলাম।
❣আলু দেওয়ার পরে তাতে কেটে-ধুয়ে রাখা পালং শাক পুরোটা দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে কাঁচা লঙ্কাগুলো সব ধুয়ে দিয়ে দিয়েছিলাম।
❣লঙ্কা দেওয়ার পরে তাতে স্বাদ মতো লবন আর হলুদ দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর উল্টেপাল্টে পালং শাকের সাথে ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছিলাম।
❣মিক্স করার পরে তাতে ভেজে রাখা কাঁকড়াগুলো দিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর তাতে অল্প করে জল দিয়ে ঢেকে রেখে সিদ্ধ করে নিয়ে ঢাকনা তুলে নিয়েছিলাম।
❣ঝোলটা আরো একটু জ্বাল দিয়ে কমিয়ে নিয়েছিলাম এবং পরে তাতে জিরা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিলাম একটু স্বাদটা ভালো আনার জন্য, তবে এটা না দিলেও হয় । এরপর ঝোলটা জ্বাল দিয়ে একেবারে কমিয়ে দিয়েছিলাম।
❣পালং শাকের ঝোল কমিয়ে একটু শুকনো মতো করে এনেছিলাম এবং আমার ঘন্ট রেসিপিটা তৈরি হয়ে গেছিলো। এরপর এটিকে পরিবেশনের জন্য একটি পাত্রে তুলে নিয়েছিলাম।
রেসিপি বাই, @winkles
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




শীতের সবজি পালং শাক আর এই পালংশাকে এখন অনেক দেখতে পাওয়া যায় বাজারে। আমি গতকাল পালংশাকে কিনে ছিলাম এবং পালং শাক ভাজি করে খেয়েছি। পালং শাকের ভাজি আমার খুবই ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে পালং শাক ভাজি খেতে বেশি মজা লাগে। তবে পালং শাক দিয়ে কাঁকড়া রেসিপি আমি কখনো তৈরি করিনি।আসলে দাদা আপনার কাঁকড়া রেসিপি গুলো আমার খুবই ভালো লাগে, আপনার রেসিপি খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।আজকে আপনি পাতি কাঁকড়ার মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
জি দাদা পালং শাকের অনেক উপকারিতা রয়েছে। পালং শাক খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। কাঁকড়া দিয়ে আপনি অনেক মজাদার শীতকালীন পালং শাকের রেসিপি তৈরি করেছেন। পালং শাকের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ । আপনার জন্য শুভকামনা রইল
দাদা কেমন আছেন, আশাকরি এই শীতে ভালো আছেন।সাবধানে থেকে শীতকে উপভোগ করবেন আশাকরি। আজ আপনার রেসিপিটি খুব লোভনীয় লাগছে। কিন্তু আমি কখনও কাঁকড়া খাইনি তবে চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়েছি বেশ মজার হয়। আপনি পালংশাকের অনেক পুষ্টিগুনের কথা এই রেসিপিতে তুলে ধরেছেন, জেনে বেশ ভাল লাগলো। আপনি রান্নাটি ধাপে ধাপে তুলে ধরেছেন,যা সবার জানতে সহজ হল। মজার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দাদা।
পালং পরোটার কথা কখনো শুনিনি। আপনার কাছ থেকে আজকে প্রথম শুনলাম দাদা। একদিন তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। শীতের শাক সবজির মধ্যে পালং শাক আমার খুব পছন্দ। তবে কাকড়া দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আমাদের বাসায় সব সময় চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করা হয়। অনেক সুস্বাদু হয় খেতে। আপনার রেসিপিটি দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ দাদা, সুস্বাদু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পালং শাকের পরোটা কোনদিন তৈরি করলে আমাকে দাওয়াত দিয়েন দাদা😋। খেয়ে দেখব আমিও। কতসব খাবার দেখলাম কিন্তু খাওয়ার সৌভাগ্য একটাও হলো না। পালংশাকের গুনাগুন সম্পর্কে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আসলে পালং শাক সত্যিই অনেক উপকারী। তবে কাঁকড়া দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। এমনকি কাঁকড়া কখনো খেয়েও দেখিনি। আমাদের এদিকে আসলে খুব একটা কাঁকড়া পাওয়া যায় না। তবে ইচ্ছা আছে কোন একদিন কাঁকড়া ফ্রাই খাব। দাদা আপনার বিয়ের মেনুতে কাঁকড়া ফ্রাই রাখবেন। তাহলে আমরা খেতে পারব আর কি🤪। যাইহোক দাদা খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
পালং শাকের অনেক গুণাগুণ জানা গেল আপনার পোস্ট থেকে। কাকড়া আমি অনেক খেয়েছি তবে বার বি কিউ বা ভুনা করে। আজ সম্পূর্ন ভিন্ন রকম একটি রেসিপি দেখেছি আপনার পোস্টে । কাকড়া দিয়ে পালং শাক খাওয়া হয়নি চিংড়ি দিয়ে খেয়েছি। আপনার রান্নার রেসিপি খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ দাদা।
পালং শাক খেতে ভালোই লাগে, কিন্তু পালং শাকের যে এত গুনাগুন তা জানা ছিল না। আপনার রেসিপিগুলো দেখলে বিভিন্ন সবজির গুণাগুণ সম্পর্কে জানা যায়। তাছাড়া পালংশাকের পরোটার নাম প্রথম শুনলাম। অদ্ভুত অদ্ভুত রেসিপির নাম দাদার কাছ থেকে জানা যায়। মাঝেমধ্যে আমাদের সঙ্গে শেয়ার করলেও তো পারেন দাদা আমরাও শিখে নিলাম। পালং শাকের পরোটা খেলে অবশ্যই রেসিপি শেয়ার করবেন। কাকড়া আমি কখনো খাইনি । আপনার বিভিন্ন সময় কাঁকড়া রান্না দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে। বাংলাদেশে হলে তো একদিন দাওয়াত চেয়ে নিতাম কাকড়া খাওয়ার। সাথে আবার আলু দেওয়ার কারণে মনে হয় অন্যরকম স্বাদ হয়েছে। দেখতে তো বেশ লোভনীয় লাগছে। খেতে না জানি কত সুস্বাদু হয়েছিল।
পাঁতি কাঁকড়া জিনিসটা যে কেমন তা জানিনা,খেয়েও দেখিনি কোনোদিন।শাক আমার খুব একটা ভালো লাগেনা,তাই সেভাবে কোনো শাক খাওয়া হয়না।
ইন্টারেসটিং একটা রেসিপি ছিল। শুভ কামনা জানাই।
কাঁকড়া কখনও খাওয়া হয়নি,পালং শাক দিয়ে তো আরো না।আমাদের বাসায় পালং শাক দিয়ে ছোট ছোট পাঁচমিশালী মাছ দিয়ে রান্না করা হয়।ভালোই লাগে শীতকালে পালং শাক খেতে, তাছাড়া অনেক ভিটামিন তো বিদ্যমান রয়েছে। যাই হোক কাঁকড়া দিয়ে পালং শাক দিয়ে মজার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। দেখেই লোভ লাগছে। ধন্যবাদ
পালং শাকের রেসিপিটি মজাদার হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। পালং শাক খেতে অনেক মজাদার এবং এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকারি। বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।