আমার প্রিয় শখ ডাকটিকিট সংগ্রহ নিয়ে কিছু কথা।
আসসালামু আলাইকুম ,
আমি রাহিমা খাতুন নেভি। কেমন আছেন সবাই ? আমিও ভালো আছি। আজ রোজ শুক্রবার ২৬ শে নভেম্বর ২০২১ খৃস্টাব্দ , ১১ই অগ্রহায়ন ১৪২৮ বঙ্গাব্দ ও ২০ শে রবিউস সানি ১৪৪৩ হিজরি। আজ ছয়ঋতুর হেমন্তকাল।

আজ শুক্রবার ছুটির দিন ,তাই ভাবলাম আজকে আমার শখের মধ্যেএকটি প্রিয় শখ ডাকটিকেট নিয়ে কিছু কথা লিখি। মানুষের নানারকম শখ থাকে , তেমনি আমার ছোটবেলা থেকেই শখ ডাকটিকেট সংগ্রহ করা। একটি একটি করে জমাতে জমাতে আজ আমার অনেক ডাকটিকেট আছে। যদিও অনেকে বলে এইটা অপ্রয়োজনীয় শখ , তারপর ও আমার ভালো লাগে। ডাকটিকেট আসলো ডাকপরিবহনের মাশুল হিসাবে চিঠির খামে ব্যবহার করার জন্য । আগে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি ,আর চিঠির খামে ডাকটিকেট ব্যবহার করা হতো। এখন প্রযুক্তির উন্নতি হওয়ার কারণে চিঠির ব্যবহার কমে যাওয়ায় , চিঠির সাথে সাথে ডাকটিকেটের ব্যবহার ও কমে গিয়েছে। আমার কাছে দেশি বিদেশী অনেক ডাকটিকেট আছে। একেকটা ডাকটিকেটের পিছনে একেকটা গল্প রয়েছে। আমি আগে অনেকের কাছে এই গল্পগুলা অনেক কৌতুহল নিয়ে শুনতাম। আমার ও অনেক কাহিনী আছে এই ডাকটিকেট নিয়ে। আমার কাছে প্রায় ১২
০০ শ ডাকটিকেট আছে। একবার এক জরুরি প্রয়োজনে কোন এক জেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয়ে গেলাম। সেখানে আমার কাজের জন্য বেশ কিছুক্ষন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল , একটি প্রত্যয়ন পত্র কম্পিউটার এ কম্পোজ করার জন্য আমি অপারেটর এর সামনে বসে আছি , অপারেটর টাইপ করছে , হঠাৎ দেখি অপারেটর এর কি বোর্ড এর নিচে একটি বিদেশী খাম এর একটি পট্টি দেয়া। আমি যেহেতু ডাক টিকেট সংগ্রাহক, তাই নতুন ডাক টিকেট এর আশায় আস্তে করে খামটি হাতে নিয়ে দেখি একটি মালয়েশিয়ার ডাক টিকেট সংযুক্ত । আমি আস্তে করে খামের টিকিটের অংশটুকু ছিড়ে খামটি আগের মত করে রেখে দিলাম। ব্যাস হয়ে গেল আমার আর ও একটি ডাক টিকেট সংগ্রহ । এভাবে আর ও অনেক ভাবে কেনার পাশাপাশি দেশি -বিদেশী বন্ধুদের কাছ থেকে অদল -বদল করে গড়ে তুলেছি আমার সংগ্রহকে। তাছাড়া আমার দুলাভাই বিদেশ যখন ছিল ,তখন উনি যখন চিঠি পাঠাতো, তখন খামের উপর থেকে আমি ডাকটিকেট সংগ্রহ করতাম।কিছুদিন আগে আমার এক বিদেশী বন্ধুর কাছ থেকে
১০০ এর উপর ডাকটিকেট উপহার পেয়েছি ( U.S.A ) । তারপর আমি ও আমার কাছ থেকে ঢাকার G.P.O এর মাধ্যমে সমপরিমাণ ডাকটিকেট পাঠিয়েছি। তারা আমার খাম দেখে জিজ্ঞাসা করলো কি এইটাতে ? আমি বললাম ডাকটিকেট তখন তারা অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো। যাই হোক তাদের তাকানো দেখে আমার মজা লেগেছিলো।
চলুন দেখে আসি, আমার সংগ্রহের কিছু ডাকটিকেটঃ
এই হচ্ছে ডাকটিকেট এলব্যাম, এই খানেই আমি রাখিঅনেক যত্ন করে।
![]() |
---|
এইখানে হাজী শরীয়াত উল্লাহ ,ডক্টর মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ,কামাল আতাতুর্ক , বুলবুল চৌধুরী ও বীরশ্রেষ্ঠদের সহ আরো অনেকের।
বাংলাদেশের শহীদ মিনার, রয়েল বেঙ্গল টাইগার , শাপলা ফুল , কদম ফুল ,চম্পা ফুল , কৃষ্ণচুড়া গাছ সহ আরো অনেক কিছু।
আম,পহেলা বৈশাখ ,সাজেক সহ আরো অনেক কিছু।
অলিম্পিক গেমস, সংসদ ভবন, মানচিত্র , ভাস্কর্য সহ নানান কিছু
সিঁদুরে মৌটুসী,সিঁদুরে সহেলি , কার্জন হল ,সুবজ সুইচোরা সহ নানান কিছু পাখি ।

এইখানে মালয়শিয়ার কিছু ডাকটিকেট
আমার আরো ডাকটিকেট আছে ,সব গুলার ছবি দেয়া
সম্ভব না। আমার আরো অনেক শখ আছে , আগে নিউজ পেপার থেকে বিভিন্ন ছবি কেচি দিয়ে কেটে জমাতাম। এখন সময়ের সাথে পেরে উঠি না। ছোটবেলার দিন গুলা খুব ভালো ছিল। আজকে আর লিখবো না। পরবর্তীতে আবার আসবো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে ,আপনারা ভালো থাকবেন এই প্রত্যাশায় শেষ করছি আমার আজকের ব্লগ। ধন্যবাদ সবাইকে
ফটোগ্রাফার অবস্থান ডিভাইস
@rahimakhatun
আমার বাসা
samsung SM-A217F
বাহ অসাধারণ। আপনি একজন সৌখিন মানুষ বলতে হয়। এতগুলো ডাকটিকিট সংগ্রহ করা কম কথা নয়। আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আমারও এইরকম একটা শখ আছে। আমি বিভিন্ন দেশের টাকা সংগ্রহ করি। বর্তমানে আমার কাছে পৃথিবীর ৬০ টা দেশের ১৮০ টির মতো নোট রয়েছে। সেদিন থেকে দেখতে গেলে আমিও আপনার পর্যায়ে। আপনার জন্য শুভকামনা।।।
হ্যা ভাইয়া,আমার কাছেও ছিল,,কিন্তুু আমি হারিয়ে ফেলেছি,,তবে আমার কাছে এখনও পুরানো অনেক জিনিস আছে। ভালো লাগে পুরানো জিনিস জমিয়ে রাখতে।
আপনি তো দেখি শখের বশে ডাকটিকেট চুরি করে ফেললেন হাহাহাহা..... উপরের লেখাটি পড়ে তাই বুঝা যাচ্ছে। বেশ মজা পেলাম।
আমারও ছোটবেলায় অনেক শখ ছিল ডাকটিকের্টসংগ্রহের, অনেকগুলো সংগ্রহ করেছিলাম পরে যখন জীবন যুদ্ধে নিয়োজিত হলাম তখন আর কোথায় চলে গেলে শখ। তবে আপনি শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরের ও বেশকিছু ডাকটিকেট সংগ্রহ করেছেন বেশ ভালো লাগছে দেখে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে এগুলোকে শেয়ার করার জন্য।
হ্যা ভাইয়া,,তখনতো ছোট ছিলাম,বুঝতেই পারি নাই, এটা চুরি।শুধু একটাই মাথায় কাজ করতো,কিভাবে এগুলা বেশি করা যায়।ভাবলাম ওরা এইটা ফেলে দিবে,থাক আমিই নিয়ে যাই।এখনের মত হয়লে হয়ত বলেই নিয়ে আসতাম।
আপনার ডাকটিকিটের সংগ্রহ দেখে অবাক হলাম। খুবই সুন্দর একটা শখ আপনার। এক সময় অনেকেই ডাকটিকিট সংগ্রহ করতেন কিন্তু সময়ের বিবর্তনে ডাকটিকিটের ব্যবহার এখন আর তেমন নেই বললেই চলে। হয়তো ধীরে ধীরে একসময় ডাকটিকিট বিলুপ্ত হয়ে যাবে।তখন আপনার সংগ্রহ দেখবে আগামী প্রজন্ম।
চমৎকার ভাই এতো ডাক টিকিট জীবনেও দেখিনি আজকে দেখলাম আপনার সখের জবাব নেই ভাই ।আর বিভিন্ন ধরনের ডাকটিকিট দেখলাম আপনার মাধ্যমে ।ধন্যবাদ ভাই এতো সুন্দর বিষয় শেয়ার করার জন্য ।
এ ধরনের সংগ্রহ দেখে ভালো লাগে। আমাদের কমিউনিটির মেম্বার @emon42 এর এই টাইপ এর শখ আছে। এগুলো সংগ্রহ করা সোজা কথা নয়।
হ্যা ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। সত্যি এইরকম শখ পূরণ করা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য এবং অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন।।।
হ্যা ভাইয়া,,আমার সংগ্রহের আরও অনেক কিছু আছে,যেমন লাল পয়সা,আগের পাঁচ পয়সা,আটানা,চারআনা,আগের ১ টাকার নোট।এই জিনিস গুলা পুরানো হলেও আমার কাছে এন্টিক। কোন এক সময় এগুলা নিয়ে লিগবো।
আপু আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক অনেক ভালো লাগলো। ডাকটিকিট সংগ্রহ করে রাখা খুবই একটি সৌখিন কাজ। আপু আপনার ডাকটিকিটে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের ডাকটিকিটগুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপু আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।