কিশোর গ্যাং!!
কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বর্তমানে একটি গুরুতর সামাজিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা, বিশেষ করে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা, নানা কারণে এসব গ্যাংয়ে জড়িয়ে পড়ছে। এর পেছনে মূলত পারিবারিক অবহেলা, সামাজিক অবক্ষয়, আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার, মাদকাসক্তি, এবং সঠিক দিকনির্দেশনার অভাব কাজ করে। এই গত কালকে রাতের ঘটনাই উল্লেখ্য করা যায় । রাতে তারাবির নামাজ শেষ করে হোটেলে যাচ্ছি খাওয়ার জন্য এমন সময় রাস্তার অপর পাশে দেখি বিশ পচিশ জনের একটা জটলা। তাদের মধ্যে দুই একজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে ।মুহুর্তেই তা রুপ নিলো রক্তক্ষয়ি মারামারিতে । ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া । একজনকে ধরে মারতে মারতে নাক মুখ ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দিলো । কি এক ভয়াবহ অবস্থা।
picture sourch: pixabay.com
কিশোর গ্যাং থেকে উত্তরণের নানা পথ আছে তার মধ্যে আমি মনেকরি পারিবারিক নিয়মতান্ত্রিকতা সবচেয়ে বেশি কার্যকর এ ধরনের উঠতি বয়সি ছেলে মেয়েদের নিয়ন্ত্রন করার জন্য। পারিবারিক সচেতনাতার অভাবে, ছেলে মেয়ে কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশতেছে এগুলা খোজ না রাখার কারনে কিশোর গ্যাং তৌরি হচ্ছে। যার যার সন্তানকে সেই সেই যদি কন্ট্রোল করতে না পারে তাহলে আমি মনে করি আর কেউ কন্ট্রোল করতে পারবেনা।
কিশোর গ্যাং থেকে উত্তরনের আরো কিছু কার্যকরি উপাই হচ্ছে>>>>:-
✅ পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি
বাবা-মা এবং অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা।
সন্তানদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ রাখা এবং তাদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া।
নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভালো-মন্দের পার্থক্য বোঝানো।
✅ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা
স্কুল-কলেজে নৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আয়োজন করা।
শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করা।
সন্দেহজনক আচরণ দেখলে শিক্ষকদের দ্রুত অভিভাবকদের জানানোর ব্যবস্থা করা।
✅ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম
এলাকায় কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো।
অপরাধী কিশোরদের শুধুমাত্র শাস্তি নয়, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
সাইবার অপরাধ ও অনলাইন গ্যাং কালচার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।
✅ সমাজের দায়িত্ব
স্থানীয় পর্যায়ে যুব সংগঠন ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি পরিচালনা করা।
মাদক, সন্ত্রাস ও অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসা।
সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের উচিত কিশোরদের জন্য ইতিবাচক রোল মডেল হওয়া।
এভাবে সম্মিলিত উদ্যোগ নিলে কিশোর গ্যাংয়ের সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব। তোমার চারপাশে এমন কিছু দেখলে সচেতন হও এবং অন্যদের সচেতন করো।