মেয়ের খেলনা কেনার বায়না পূরণ।

in #shoppinglast year

গতকাল বিকেলে জরুরি একটি কাজে বাইরে বের হয়েছিলাম। কাজটা শেষ করে যখন বাসায় ফিরবো তখন হঠাৎ করে দেখতে পেলাম আমার স্ত্রী আমাকে ফোন দিয়েছে। ফোন রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে আমার মেয়ের গলা শুনতে পেলাম। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি ব্যাপার কেনো ফোন দিয়েছো? তখন মেয়ে আমাকে বলল আমাকে নিয়ে আজকে বাইরে যাওয়ার কথা না? তুমি এখনো বাসায় ফিরছো না কেনো? তখন আমার মনে পড়লো সন্ধ্যার সময় তো মেয়েকে নিয়ে বাইরে যাওয়ার কথা ছিলো।
কিছুদিন আগে আমার মেয়ের রেজাল্ট হয়েছে। পরীক্ষায় সে ফার্স্ট হয়েছে। ভালো রেজাল্ট করার জন্য সে আমার কাছ থেকে এবং তার মার কাছ থেকে ওয়াদা নিয়েছিলো তাকে বাইরে খেতে নিয়ে যেতে হবে। সাথে গিফট ও কিনে দিতে হবে। যেহেতু আগের দিন আমরা বাইরে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছি। তাই পরদিন সে গিফট কেনার জন্য বায়না ধরেছে। আমি ফোন করে আমার স্ত্রীকে বললাম তাহলে তুমি মেয়েকে নিয়ে গিয়ে গিফট কিনে দাও। আমি এখন বাসায় ফিরছি। তবে এই কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই মনে হল যেহেতু ওরা আসছে আর আমিও মার্কেটে রয়েছি। তাই একসাথে কেনাকাটা করেই বাসায় ফিরি। কারণ ইতিমধ্যে সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার পরে আমি ওদেরকে কখনো একা বাইরে থাকতে দিতে চাই না।
যাই হোক আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আমার স্ত্রীকে ফোন দিলে সে জানালো তারা মার্কেটে চলে এসেছে। কেনাকাটার জন্য আমার মেয়ের পছন্দের একটি জায়গা হচ্ছে 1 টু 99 শপ। তাই তারা সরাসরি সেখানেই গিয়েছে। আমি যখন ফোন দিয়ে জানতে পারলাম তারা সেখানে পৌঁছে গিয়েছে। আমিও দ্রুত সেখানে চলে গেলাম। গিয়ে দেখলাম মেয়ে খেলনা দেখছে কেনাকাটার জন্য। তবে অনেকক্ষণ পার হয়ে গেলেও দেখি তার কোন কিছুই পছন্দ হচ্ছে না। কারণ সে যেটাই পছন্দ করছিল সেটা আবার আমাদের কাছে ভালো লাগছিলো না।
শেষ পর্যন্ত অনেকক্ষণ ঘোরাফেরার পরে সে কয়েকটা খেলনা কিনলো। পরে আরো কিছু টুকিটাকি কেনাকাটা করলো। কেনাকাটা শেষ হলে আমরা সেখান থেকে বের হয়ে গেলাম। আমি সাধারণত পরিবার নিয়ে বাইরে বের হলে হালকা কিছু খাওয়া দাওয়া করি। তবে যেহেতু আগের দিন খাওয়া দাওয়া করেছিলাম। তাই সেদিন আর তাদের খাওয়া দাওয়া করার খুব একটা ইচ্ছা ছিলো না। তাই আর দেরি না করে আমরা বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।