ইসলামের আলোকে টাইম ট্রাভেলের প্রমাণ। না দেখলে মিস করবেন!

in #science7 years ago

আমরা অনেকেই অনেক সময় টাইম ট্রাভেল নিয়ে ভেবেছি। ইউটিউবেও অনেক ভিডিও দেখেছি এ সম্পর্কে। অনেকে বিশ্বাস করেছি, অনেকে করিনি। তবে আজ আমি মুসলিম ভাইদের জন্য এই পোস্টটি করেছি। এখানে আমি শবে-মেরাজের ঘটনার মাধ্যমে টাইম ট্রাভেলের অস্তিত্ব সম্পর্কে বলব।

তো চলুন শুরু করিঃ-

আমাদের নবী (সাঃ) যখন শবে-মেরাজে গিয়েছিলেন তিনি সাত আসমান অতিক্রম করে গিয়েছিলেন, তা তো আমরা সবাই জানি। হু, বলেন তো মহাবিশ্ব কতটুকু বড়? নিশ্চয় অনেক বড়। অনেকে বলবে তা সীমাহীন। আমি বলব না, সীমাহীন হলে অন্যান্য আসমান কীভাবে সম্ভব। একদল বিজ্ঞানী এটা বিশ্বাস করে যে মহাবিশ্বের সীমা আছে, কিন্তু প্রতিনিয়তই তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার এক আসমান থেকে আরেক আরো খুব বেশি বড়, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তো আসল কথায় আসি। মহানবী এই বিশাল দূরত্ব এক রাতে পার করতে নিশ্চই তাঁর ভাবনাতীত গতিতে যেতে হয়েছে। আর যদি সাধারণ গতিতে যেতেন তাহলে তো তাঁর সারাজীবনেও তিনি সাত আসমানে তো দূরের কথা মহাবিশ্বও পার করতে পারতেন না। কি বলেন কথা ঠিক না? তাহলে এখন আসল কথা- তাঁর এই অসাধারণ ভাবনাতীত গতির মধ্যেই সব লুকিয়ে আছে। আমরা যারা একটু টাইম সম্পর্কে জানি, তারা নিশ্চই এটা জানি যে টাইম ধীরে না দ্রুত চলবে তা গতি ও মহাকর্ষের উপর নির্ভর করে। গতি কম হলে টাইম দ্রুত চলে আর গতি দ্রুত হলে টাইম আস্তে চলে। মহানবী (সাঃ) যেহেতু অসাধারণ গতিতে গিয়েছেন তাই তাঁর জন্য টাইম প্রচন্ড ধীরে চলছিল। সুতরাং তার কাছে তা অনেকদিন আর আমাদের কাছে তা এক রাত ছিল। সুতরাং আমরাও যদি এরকম গতিতে যাই তবে আমরাও এভাবে টাইম ট্রাভেল করতে পারব। অনেকে বলবেন এটা আবার টাইম ট্রাভেল হলো কী করে? আরে ভাই এভাবে যদি আমরা কয়েকদিন থাকি তবে পৃথীবীতে এসে দেখব যে কয়েকশ বছর কেটে গেছে! এভাবে শুধু আমরা ভবিষ্যতে যেতে পারব তবে ভবিষ্যত থেকে আর আসতে পারব না!

ভুল হলে ক্ষমা করবেন। আর ভালো লাগলে Upvote দিয়েন।