পুরী ভ্রমণ - পর্ব 0২

in #rmelast year

পুরী ভ্রমণের দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই অর্থাৎ ভোর পাঁচটা বাজার সাথে সাথে আমরা সবাই মিলে পুরীর জগন্নাথদেবের মন্দিরের সামনে জমায়েত হলুম । সূর্য ওঠার তখনও প্রায় এক ঘণ্টা বাকি আছে । বিশাল লম্বা লাইন । মন্দিরে ঢোকার পূর্ব মুহূর্তে সবার মোবাইল, মানিব্যাগ আর জুতো জমা রাখলো । ওগুলো নিয়ে মন্দিরে ঢোকা নিষেধ । এরপরে অনেক লম্বা লাইনের একদম শেষে গিয়ে দাঁড়ালুম ।

মন্দিরে ঢোকার প্রধান তোরণে অসম্ভব ভীড় । এই ভীড় কন্ট্রোলে ব্যর্থ মন্দির কর্তৃপক্ষ । আর পুণ্যার্থীরাও কোনোও নিয়ম কানুনের তোয়াক্কা করে না । ফলতঃ বিশাল ধাক্কাধাক্কি লেগে গেলো । সর্বত্রই বিশাল বিশৃঙ্খলা অবস্থা । এর মধ্যে পুজো দেওয়ার জন্য একজন সরকারি পান্ডা ধরে মন্দিরের পুজো দেওয়ার লাইনে দাঁড়ালো সবাই । সেখানেও অসম্ভব ভীড় আর বিশৃঙ্খলা । হুড়োহুড়ি আর বিস্তর ধাক্কাধাক্কির শেষে অবশেষে জগন্নাথদেবের দর্শন মিললো ।

তারপরে হোটেলে যখন ফিরে এলুম তখন সকাল আটটা দশ বেজে গিয়েছে । দ্রুত ব্রেকফাস্ট সেরে নিয়ে ছোট্ট একটা ঘুম দিলাম । ঘুম থেকে উঠে দেখি প্রায় সাড়ে বারোটা বেজে গিয়েছে । আমরা বাদে আমাদের সঙ্গী সাথীদের সকলের দুপুরের সমুদ্র স্নান সারা । আমরা ৪ জনও অবশেষে নেমে পড়লুম জলে । আমি আর গোলটু হাঁটু অব্দি জলে আর তনুজা কোমর অব্দি জলে নেমে গেলো । পুরীর সমুদ্রে এই সময়টায় অসম্ভব ঢেউ ওঠে । গাঢ় নীলাভ সবুজ জলের মাথায় বিশাল বিশাল সাদা ফেননিভ ঢেউ জাগছে মুহুর্মুহু । দেখতে অসাধারণ লাগছে ।

সমুদ্রের বীচে তখন হাজার হাজার মানুষ । কেউ স্নান করছে, কেউ ঢেউয়ের মাথায় চড়ে হুটোপুটি করছে, কেউ বালিতে শুয়ে রোদ পোহাচ্ছে, কেউ বালি দিয়ে ভাস্কর্য তৈরী করতে লেগেছে, কেউ ফুটবল খেলছে আবার কেউ কেউ উট বা ঘোড়ার পিঠে উঠে ঘুরে বেড়াচ্ছে ।

আমরা প্রায় ঘন্টা খানেক সমুদ্রের জলে কাটিয়ে অবশেষে হোটেলের পথ ধরলাম । ফেরার পথে বীচের এক জায়গায় দেখি ডাব বিক্রি হচ্ছে । ডাব দেখে কি আর লোভ সামলানো যায় ? অগত্যা, ডাব খাওয়া শুরু করলাম । ডাব টাব খেয়ে খুশি মনে অবশেষে হোটেল রুমে ফিরে এলাম । এরপরে লাঞ্চ করে ল্যাপটপ ওপেন করে একটু কাজ সেরে নিতে নিতে সন্ধ্যে । সন্ধ্যেয় আবারো সী বীচে গেলুম । আবার সমুদ্রের জলে পা ভেজালাম । অনেকক্ষণ হাঁটলাম ঠান্ডা ভিজে বালির ওপর দিয়ে । এরপরে মাছ আর চিংড়ী-কাঁকড়া ভাজা খেয়ে ডিনারের জন্য পা বাড়ালাম হোটেলের উদ্দেশ্যে ।

IMG_20231230_074447.jpg

পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দির ।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : ভোর ৫ টা ২৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

পুরীর সী বীচ ।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

পুরীর সী বীচে তনুজা ঢেউয়ে ভিজছে ।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

পুরীর সী বীচে তনুজা আর টিনটিন আনন্দ করছে।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ১২ টা ৫৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

পুরীর সী বীচে প্রচুর সুসজ্জিত উট রয়েছে
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ১৫ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

উটের পিঠে সওয়ার হয়ে আপনিও ঘুরে বেড়াতে পারবেন সী বীচে ।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ৩০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

দুপুর দু'টো নাগাদ আমরা হোটেলের উদ্দেশ্যে সী বীচ ত্যাগ করলাম ।
তারিখ : ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩
সময় : দুপুর ০১ টা ৫০ মিনিট
স্থান : কোলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ।

ক্যামেরা পরিচিতি : OnePlus
ক্যামেরা মডেল : EB2101
ফোকাল লেংথ : ৫ মিমিঃ

------- ধন্যবাদ -------