রেসিপিঃশিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের মজাদার ঝোল ।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সব সময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২১শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ,৪ঠা এপ্রিল ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ । আজ একটি রেসিপি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। আর তা হচ্ছে রেসিপি ব্লগ। আমি সব সময় চেস্টা করি রান্নায় কম তেল ব্যবহার করতে। এবং সাধারনত কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করতে। কাঁচা মরিচের তৈরি যে কোন খাবার শরীরের জন্য বেশ ভালো। কেবল মাত্র রং এর জন্য খুবই সামান্য মরিচের গুড়া ব্যবহার করি।সেই সাথে তাজা মাছ আমি না ভেজেই রান্না করতে পছন্দ করি। আজ আমি রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের ঝোল রেসিপিটি তৈরি করেছি। রেসিপিটি তৈরি করতে আমি উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করেছি রুই মছ ও শিমের বিচি সহ আরও কিছু উপকরণ। বন্ধুরা তাহলে আর দেরী না করে চলুন দেখে নেয়া যাক,রেসিপি বানানোর ধাপ সমূহ। আশাকরি ভালো লাগবে আপনাদের।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
রুই মাছ | ৫ টুকরা |
---|---|
শিমের বিচি | ২ কাপ |
টমেটো | ১ টি |
হলুদ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
পিয়াজ কুচি | ৩ টেঃ চামচ |
লবন | স্বাদ মতো |
ধনে পাতা | প্রয়োজন মতো |
কাঁচা মরিচ | ৬-৭টি |
আদা | আধা ইঞ্চি |
রসুনের কোয়া | ৩টি |
ধনে গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
ডালের বড়ি | ১০-১৫পিস |
সয়াবিন তেল | প্রয়োজন মতো |
মরিচ গুড়া | ১ চাঃ চামচ |
রন্ধন প্রণালী
ধাপ - ১
প্রথমে মাছের টুকরাগুলো ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। মাছের মধ্যে সামান্য হলুদ গুড়া,মরিচ গুড়া ও লবন দিয়ে মেখে রেখে দিয়েছি
ধাপ - ২
পিয়াজ,কাঁচা মরিচ,রসুন ও আদা বেটে নিয়েছি।
ধাপ - ৩
শিমের বিচি ছিলে ভালোভাবে ধুয়ে পরিস্কার করে নিয়েছি।
ধাপ - ৪
চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে দিয়েছি। কড়াইটি গরম হলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তাতে ডালের বড়ি দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিয়ে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ - ৫
পুনরায় চুলায় একটি হাড়ি বাসিয়ে দিয়েছি। হাড়ি গরম হয়ে এলে তাতে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে এলে তাতে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ব্রাউন করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৬
পিঁয়াজ ভাজা ভাজা হয়ে এলে তাতে বাটা মশলা দিয়ে দিয়েছে। কিছুটা ভেজে নিয়ে সকল গুড়া মশলা দিয়ে দিয়েছি। মশলা যাতে পুড়ে না যায় সেজন্য সামান্য পানি দিয়ে মশলা ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৭
কষানো মশলায় ধুয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাছগুলো ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৮
একই মশলায় শিমের বিচি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিয়েছি।শিমের বিচি কিছুটা সিদ্ধ হয়ে এলে তাতে কষিয়ে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি।
ধাপ-৯
এরপর তাতে ভেজে রাখা ডালের বড়ি দিয়ে দিয়েছি। ডালের বড়ি সিদ্ধ হয়ে এলে এবং ঝোল কিছুটা কমে এলে তাতে ধনেপাতা কুচি দিয়ে নামিয়ে নিয়েছি।্ব্যস তৈরি হয়ে গেল মজাদার শিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের মজাদার ঝোল।
পরিবেশন
এবার একটি বাটিতে তুলে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য। সাথে কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আশাকরি, আজকের শিমের বিচি ও ডালের বড়ি দিয়ে রুই মাছের মজাদার ঝোল রেসিপিটি আপনাদের ভালো লেগেছে।আমি চেষ্টা করি সব সময় নতুন নতুন রেসিপি শেয়ার করতে। এবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আবার দেখা হবে নতুন কোন রেসিপি নিয়ে সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।শুভ দুপুর।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণি | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung A-10 |
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ৪ঠা এপ্রিল, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
সত্যি কথা বলতে আমি এমন রান্না কখনো খাইনি। তবে দেখে মনে হচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে খেতে। আমাদের এখানে সিমের বিচি আলাদা করে বাজারে বিক্রি করা হয় আমি অবশ্যই একবার এমন করে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করব। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন দাদা ।খেতে দারুন লাগে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
https://x.com/selina_akh/status/1908055210783813895
link
https://x.com/selina_akh/status/1908031016117424385
https://x.com/selina_akh/status/1908155390141034981
https://x.com/selina_akh/status/1908156240775307654
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাঁচা মরিচ দিয়ে রান্না করা যে কোন তরকারি আমাদের জন্য অনেক বেশি ভালো। যদিও শুকনো মরিচ গুড়ো খুব বেশি স্বাস্থ্যকর নয়। তবুও তো খেতে হয়। যাই হোক সিমের বিচি আর বড়ি একসাথে কখনো রান্না করা হয়নি। বিশেষ করে বড়ি আমাদের এদিকে পাওয়াই যায় না। রুই মাছ দিয়ে রান্নাটা দারুন করে করেছেন, দেখেই লোভ লাগছে।
আমি রান্নায় সব সময় কাঁচা মরিচ ব্যবহার করার চেস্টা করি। গুড়া মরিচ খুবই কম ব্যবহার করি।ধন্যবাদ আপু।
আমরাও কাঁচা মরিচ টাই বেশি ব্যবহার করি রান্নায়। শিমের বিচি আমার খুবই পছন্দ। মাছ দিয়ে রান্না করে খাওয়া হয়েছে তবে ডালের বড়া দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি। এভাবে খেতেও নিশ্চয়ই খুব সুস্বাদু। ভালো লাগলো আপনার আজকের রেসিপি টা দেখে। খুবই লোভনীয় লাগছে দেখতে। সুস্বাদু একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
এই রেসিপিটি খেতে বেশ মজা। একদিন ট্রাই করতে পারেন। আশাকরি ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আমার কাছে মনে হয় আপু কাঁচামরিচ দিয়ে তরকারি রান্না করলে খেতে যেন বেশি ভালো লাগে। রুই মাছ দিয়ে শিমের বিচি দারুনভাবে রান্না করেছেন। এভাবে কখনো সিমের বিচি রুই মাছ দিয়ে রান্না করে খাইনি। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক লাগল। বাড়িতে একদিন তৈরি করার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই করবেন আপু। রেসিপিটি খেতে অনেক মজা আপু।