বাগার বাটা দিয়ে চিকেন কারি || @shy-fox 10% beneficiary
হ্যালো
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার নতুন একটি রেসিপি ব্লগে স্বাগতম। আজকে আমি একদমই ভিন্ন স্বাদেরর একটি রেসিপি শেয়ার করব। আশা করছি আজকের রেসিপিটা আপনাদের কাছে খুবই ভালো লাগবে। তো আজকে আমি চিকেন কারি করেছি বাগার বাটা দিয়ে। বাগার বাটা বলতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা যা কিছু মসলা আছে তেলে ভেজে নিয়ে আমি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে যে মসলার পেস্ট টা তৈরি করেছিলাম সেটাই। এভাবে রান্না করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আর সেই মজাদার রেসিপিই আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। তো চলুন রেসিপি শুরু করা যাক।
উপকরনসমূহঃ |
---|
মুরগির মাংস |
পেঁয়াজ কুচি |
রসুনের কোয়া |
আদা কুচি |
টমেটো কুচি |
জিরা |
ধনিয়া |
কয়েকটি কাঁচামরিচ |
সাদা এলাচ, কালো এলাচ |
দারচিনি, তেজপাতা |
শুকনা মরিচের গুঁড়া |
ভাজা জিরার গুঁড়া |
হলুদ গুঁড়া |
লবণ |
তেল |
প্রস্তুতপ্রনালি
ধাপ-১
প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়েছি। কড়াই গরম হয়ে গেলে কড়াইয়ে তেল দিয়ে আমি সাদা এলাচ, কালো এলাচ, দারচিনি এবং জিরা ধনিয়া দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুনের কোয়া, আদা কুচি এবং টমেটো কুচি গুলো দিয়ে ভালো করে লাল লাল করে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-২
এরপর ভাজা মসলাগুলোকে একটা প্লেটে তুলে নিয়ে ঠান্ডা হয়ে গেলে আমি এগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে একটা পেস্ট তৈরি করে নিয়েছি।
ধাপ-৩
এরপর একই তেলে দুটো তেজপাতা দিয়ে আমি পেস্ট করা মসলাগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে হলুদ গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে সামান্য পানি দিয়ে মশলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে নিয়েছি।
ধাপ-৪
মসলা কষানো হয়ে গেলে আমি আগে থেকে ধুয়ে রাখা মাংসগুলো দিয়ে মসলার সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করে নিয়েছি।
ধাপ-৫
খানিকক্ষণ কষিয়ে রান্না করার পর আমি এখানে রান্নার জন্য গরম পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করে নিয়েছি যখন ঝোলটা গায়ে মাখা হয়েছে তখন আমি কয়েকটি কাঁচামরিচ এবং ভাজা জিরার গুড়া ছিটিয়ে রান্নাটি নামিয়ে পরিবেশন করেছি।
আজকের এই রান্নার গ্রেভিটা ছিল অসাধারণ। যদি রুটি দিয়ে খাওয়া যেত খুব ভালো লাগতো কিন্তু কি করবো রুটি তো বানানো নাই বাসায়।আমরা সব সময় একইভাবে মাংস রান্না করে থাকি কিন্তু মাঝেমধ্যে এভাবে ভিন্নভাবে রান্না করলে বেশ ভালো লাগে খেতে।রেসিপিটা ভালো লাগলে অবশ্যই বাসায় একদিন চেষ্টা করবেন। আমার বিশ্বাস এটা আপনারা পছন্দ করবেন। তো বন্ধুরা দেখা হবে পরবর্তীতে কোন রেসিপি নিয়ে। ততক্ষণ সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি টাইটেল দেখে বেশ অবাক হলাম বাগার বাটাটা কি জিনিস।তারপর পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম সব মসলা ভেজে তারপর ব্লেন্ড করে তারপর রান্না করা।যাই হোক খেতে বেশ ভালো হয়েছে মনে হচ্ছে।হ্যা রুটি দিয়ে খেতে বেশ ভালো লাগবে।ভালো ছিলো আপু।প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
জ্বী আপু এভাবে মসলা ভাজা বা ফোড়ন দেওয়াকে আমরা বাগার বলে থাকি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদম সঠিক কথাই বলেছেন আপু, সব সময় একই ধরনের রান্না খেতে খেতে মুখে অরুচি ধরে যায়। তাই স্বাদের ভিন্নতা নিয়ে আসলে সেই খাবার খেতে দারুন লাগে। আর আজ আপনি যে রেসিপি তৈরি করেছেন, তা এই প্রথম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম। বাগার বাটা কথাটি প্রথমে বুঝতে পারিনি, তবে পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম বাগার বাটা কি। যেহেতু এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি তাই খুব ইচ্ছা করছে নতুন এই রেসিপিটি তৈরি করে খেতে। একদম ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলতে কি ভাইয়া এভাবে রেসিপিটা আমি প্রথমবার রান্না করেছি এবং খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। আপনি অবশ্যই একদিন বাসায় চেষ্টা করবেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আমি প্রথমে মনে করেছিলাম বাগার বাটা মানে ধনিয়া বাটা।কারন আমাদের গ্রামের দিকে অনেকেই ধনিয়াকে বাগার বলে।যাক অবশেষে বুঝতে পেরেছি বাগার বাটা মানে কি। কিন্তু আপনি অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছেন বাগার বাটা দিয়ে।এভাবে রেসিপি করলে খেতে অসাধারণ লাগে। আপনার পরিবেশনাটি অনেক ভাল লেগেছে আপু ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমত বলছি আপু আমি ধনিয়া পাতা খাইনা। আর এভাবে বাগার বাটা দিয়ে মুরগির মাংস রান্না করলে অসাধারণ লাগে খেতে। অবশ্যই বাসায় একদিন রান্না করবেন। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যে জন্য।
বাগার লিখাটি দেখে আমি চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। আসলে এটা কোন সবজি কিনা তাই ভাবছিলাম। এরপর যখন সম্পূর্ণ পোস্ট পড়লাম তখন বুঝতে পারলাম আসলে এটা এক প্রকারের মসলা তৈরি করেছেন। সবকিছু তেলে ভেজে নিয়ে মসলা তৈরি করলে এটাকে বাগার বলে সেটা জানতে পারলাম আপু। তবে এভাবে কোনদিন খেয়েছি বলে মনে পড়ছে না। আজকেই প্রথম এই রেসিপি দেখলাম আপু। আপনার তৈরি করা রেসিপি একেবারে ইউনিক হয়েছে আপু।
আসলে আপু নিজেও কোনদিন আমি এভাবে রান্না করে খাইনি। হঠাৎ করেই মাথায় এসেছিল তাই রান্না করলাম। আর সব সময় যেহেতু রেসিপি করা হয় এজন্য একটু ভিন্নভাবে করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাগার দিয়ে এভাবে কখনো মুরগি রান্না করে খাওয়া হয়নি। তবে আজকে আপনি যেভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আশা করি আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি একবার বাসায় তৈরি করতে পারব। অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আজকে শেয়ার করলেন আপু। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য ।
জ্বি আপু একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেনৃ। এটা খুবই ভালো লাগে খেতে এবং অবশ্যই আপনার রেসিপির অপেক্ষায় থাকলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
মনে মনে ভাবছিলাম বাগার বাটা কি সেজন্যই খুঁজতেছিলাম বাগার বাটা উপকরণের মধ্যে। পরে অবশ্য বুঝতে পেরেছি বাগার বাটা কি। যাই হোক আপু আপনি খুব সুন্দর করে চিকেন কারি রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।এভাবে কখনো চিকেন কারি করা হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুব ভালো হয়েছে এবং মাটির পাত্রে ডেকোরেশন বেশ ভালো লেগেছে।
আমরা মূলত ফোড়ন দেওয়াকে বাগার দেওয়া বলে থাকি। এজন্য আমি বলেছি বাগার বাটা দিয়ে মুরগির মাংস রান্না। তো যাইহোক আপু আপনি পরে বুঝতে পেরেছেন এটা জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
বাহ্!আপনার বানানো বাগার বাটা চিকেন কারি দেখে আর লোভ সামলানো যাচ্ছে না🤤।আমার রেসিপিটি অনেক অনেক ভালো লেগেছে। কালারটাও খুব চমৎকার লাগছে। বাসায় একদিন তৈরি করে খেতেই হবে। এত সুস্বাদু ও মজাদার রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জ্বী ভাইয়া এটা খেতে খুবই অসাধারণ ছিল। অবশ্যই আপনি বাসায় একদিন তৈরি করবেন এবং আমাদের সাথে শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আমি প্রথমে ভাবছিলাম বাগার বাটা টা আবার কি জিনিস। তারপর আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারলাম পেঁয়াজ রসুন আদা যা কিছু মসলা আছে তেলে ভেজে নিয়ে আপনি ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে মসলার পেস্ট তৈরি করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে কখনো বাঘার বাটা দিয়ে চিকেন কারি তৈরি করে খাইনি। অবশ্যই বাসায় একদিন এভাবে ট্রাই করে দেখব। আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার জন্যও শুভকামনা রইল আপু। অবশ্যই আপনার রেসিপিন অপেক্ষায় রইলাম। আর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার কথার সাথে আমিও একমত আপু প্রতিনিয়ত একই রকম খাবার না খেয়ে একটু ভিন্নভাবে খেলে অনেক ভালো লাগে । আপনার রেসিপি দেখে ইচ্ছে করছে রুটি দিয়ে খেতে। তবে কি আর করা যাবে রুটি বা রেসিপি দুটোই কোনটাই আমার হাতে নেই। একা একা খাবেন না আপু। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
পরবর্তীতে রান্না করলে সাথে রুটি বানিয়ে অবশ্যই আপনাকে দাওয়াত দিতে ভুলবো না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার রেসিপিটি খুব মজার হয়েছে। কেননা আপনি সব মসলা ভেজে ব্লেন্ড করে নিলেন। এটার কারনে এই রেসিপির স্বাদ বহুগুন বেড়ে গেল।রেসিপিটি খুব মজার হয়েছে।মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।