আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 173
'তা হলে? আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন।'
'পারছি। আর সেই জন্যেই ডিফারেন্স যেটা হবে সেটা আপনাদের কোম্পানিকে দিয়ে অ্যাপ্রুভ
করাবার দায়িত্ব আপনাকেই নিতে হবে।' রঞ্জনা হাসল। 'মাই গড! আপনি তো দেখছি দারুণ বুদ্ধিমতী।'
'এটাকে নিশ্চয়ই আমি প্রশংসা বলে ধরতে পারি।' রঞ্জনা উঠে দাঁড়াল, 'ঠিক আছে, আমি কালই আপনাকে রিভাইজড বাজেট পাঠিয়ে দেব।'
'দাঁড়ান। এই ডিফারেন্সটা কত হচ্ছে সেটা আমাকে না জানিয়ে বোম্বেতে চিঠি দেবেন না।'
'নিশ্চয়ই না। তা ছাড়া আপনি যতক্ষণ না আমাদের লিখিতভাবে পরিবর্তনগুলো চাইছেন ততক্ষণ আমরা কী করে আগ বাড়িয়ে ওদের বলব?'
'গুড।' ঘড়ি দেখলেন নবীন, 'এই ডিফারেন্সটা যদি আজই জানা যেত! ও গড, আপনি এখন কোনদিকে যাচ্ছেন তা জানতে পারি কি?'
'আমি অফিসে ফিরব।'
'এখান থেকে তো বেশি দূর নয়, চলুন না তাজটা ঘুরে আসি।'
'তারপর?'
'কথা বলে দেখি ওদের সঙ্গে।'
'সেটা তো টেলিফোনেও সম্ভব।'
'সামনাসামনি বললে যতটা সুবিধে আদায় করা যাবে টেলিফোনে তা যাবে না।'
'আপনি বলছেন, আমি যেতে পারি। কিন্তু কথা আপনি বলবেন।'
'কেন?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা হাসল, 'আপনি যখন দোকান থেকে কোনও জিনিস কেনেন তখন কি জানতে পারেন - সেই দোকানদার হোলসেলারের কাছ থেকে কী দামে জিনিসটা কিনেছে?'
'না, পারি না। কিন্তু!'
'এ ক্ষেত্রে আপনি খদ্দের, আমরা দোকানদার আর হোটেল ম্যানেজমেন্ট হল হোলসেলার।'
ঘরি দেখল রঞ্জনা, 'যেতে হলে এখনই চলুন।'
হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে ছিলেন নবীন দত্ত। বললেন, 'আপনাকে একটা প্রশ্ন করলে আপনি কিছু
মনে করবেন কি?'
'সেটা প্রশ্নের ওপর নির্ভর করছে।'
'ওয়েল, আপনার অভিজ্ঞতা কত দিনের?
রঞ্জনা হাসল, 'ও, এই কথা! এমন ভাবে বললেন যে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমার অভিজ্ঞতর বয়স এখনও একমাস হয়নি।'
'মাই গড! আপনার সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ আমার বেড়ে গেল। ঠিক আছে, আপনার কথা মনে রেখে আপনাকে নিয়ে আজ তাজে যাচ্ছি না। চিঠিটা কাল ফার্স্ট আওয়ারে আপনারা পেয়ে যাবেন।'
'অনেক ধন্যবাদ। তা হলে এলাম!'
'এক সেকেন্ড। আপনাকে আপনার অফিসে পৌঁছে দেওয়ার সৌভাগ্য কি আমার হতে পারে? আপনি হ্যাঁ বললে আমি খুশি হব।' নবীন দত্ত উঠে দাঁড়ালেন।
'অনেক ধন্যবাদ। আমি অফিসের কাজে এসেছি, সঙ্গে গাড়ি আছে। গাড়ি নিয়ে ড্রাইভার একা
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
ফিরে যাবে এটা ভাল দেখায় না। আচ্ছা নমস্কার।'
দ্রুত বেরিয়ে এল রঞ্জনা। তার ভয় হচ্ছিল নবীন দত্ত যদি আবার এক সেকেন্ড বলে তাকে পিছু ডাকে। গাড়িতে উঠে বসার পর সে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।
নবীন দত্তের সঙ্গে প্রথম দিকে কথা বলতে তার কোনও অসুবিধে হচ্ছিল না। কিন্তু শেষদিকে সে অনুভব করছিল মানুষটা একটু একটু করে তার কাছাকাছি আসতে চাইছে। অথচ সৌজন্য, ভদ্রতাবোধ বিন্দুমাত্র ত্যাগ করেনি। এরকম মানুষের সঙ্গে কখনও মেশেনি এর আগে। আর হ্যাঁ, উপাসনার কথা ঠিক, লোকটার মধ্যে আশ্চর্য রকমের আকর্ষণ ক্ষমতা আছে। এটা প্রথমে টের পাওয়া যায় না।
অফিসে ঢুকে টেবিলে বসতেই বেয়ারা জানাল ম্যাডাম তাকে দেখা করতে বলেছেন। আবার কী হল? ব্যাগটা রেখে রঞ্জনা ম্যাডামের চেম্বারে ঢুকল। উপাসনা আর একটা ফাইল দেখছিল। চোখ তুলে বলল, 'কনগ্র্যাচুলেশন।'......