আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 171
'নবীন দত্ত হিয়ার।' অতিরিক্ত শিক্ষিত গলা।
রঞ্জনা অফিসের নাম করে পরিচয় দিল।
'ও হ্যাঁ, আমি আপনাদের ফোন করতে যাচ্ছিলাম। ওয়েল।' ভদ্রলোক থেকে গেলেন।
'আমি কাজের ব্যাপারে আপনার সঙ্গে দেখা করতে চাই।' রঞ্জনা বলল। 'নিশ্চয়। চলে আসুন। আমি অফিসেই আছি ছ'টা পর্যন্ত।' লাইন কেটে গেল।
ফাইলের চিঠিতে ঠিকানাটা পড়ল রঞ্জনা। তারপর হরিপদবাবুর কাছে গেল।
'বর্ধমান রোডটা কোথায় বলুন তো।'
'নবীন দত্তর অফিস। আলিপুরে।'
'আপনি গিয়েছেন?'
'না না, ওসব হাই ফাই জায়গায় ম্যাডাম আমাকে পাঠাবেন কেন?'
'আমাকে যেতে হবে। ভদ্রলোক আজই যেতে বলেছেন। কীভাবে যাই?'
'ট্যাক্সিওয়ালাকে বললে পৌঁছে দেবে। পরে বিল করে দেবেন।' হরিপদবাবু কথা শেষ করা মাত্র উপাসনা বেরিয়ে এল তার চেম্বার থেকে। ওদের কথা বলতে দেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল, 'নবীন কী বলেছে?'
'আজই যেতে বলেছেন।"
'গুড। আমরা যে যে টার্মসে রাজি হয়েছি তার থেকে বেশি কিছু বললে তুমি রাজি হবে না। যদি অল্টার করতে চায় তা হলে একদিন সময় নেবে।' উপাসনা বলল।
'যদি পার্ক হোটেলের বদলে গ্র্যান্ড করতে বলে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'মামার বাড়ি। দুটো জায়গায় ভাড়া এক? অবশ্য ডিফারেন্সটা দিতে যদি ওর হেড অফিসে রাজি করাতে পারে তা হলে এক কথায় হ্যাঁ বলবে, শুধু কন্ডিশন রাখবে যদি জায়গাটা পাওয়া যায়। তুমি কীসে যাচ্ছ?'
'ট্যাক্সিতে।'
'না। অফিসের গাড়ি নিয়ে যাও। এসব লোকের কাছে ট্যাক্সিতে গেলে তোমার ওজন কমে যাবে। এখানে তুমি মানে আমাদের কোম্পানি।'
'কিন্তু উনি কী করে জানবেন?'
উপাসনা তাকাল একটু। তারপর বলল, 'সবসময় মনে রেখো, পৃথিবীর সব মানুষ তোমার থেকে বুদ্ধিমান। তা হলে কখনও পস্তাবে না।'
অফিসের গাড়িতে বসে রঞ্জনা উপাসনার কথা ভাবছিল। একসঙ্গে পড়ত ওরা। কিন্তু আজকের উপাসনা নিজেকে কত বদলে নিয়েছে। কলেজের সেই মেয়েটা একদম হারিয়ে গিয়েছে। বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর একাই থাকে, এত বড় ব্যবসা চালায়, পুরুষমানুষ সম্পর্কে বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। মদ খায় ঘুমাবার আগে। অর্থাৎ একা। কিন্তু কাজের ব্যাপারে খুব প্র্যাকটিক্যাল। ট্যাক্সি আর গাড়ির পার্থক্যটা চমৎকার বোঝে। নবীন দত্ত সম্পর্কে ওর ইঙ্গিত মনে পড়ল রঞ্জনার। সে হেসে ফেলল।
ঘরে ঢোকামাত্র নবীন দত্ত উঠে দাঁড়ালেন। অত্যন্ত সৌজন্য দেখিয়ে বসতে বললেন রঞ্জনাকে। চল্লিশের কাছাকাছি বয়সের মানুষটিকে সুন্দর বললে কম বলা হয়, অদ্ভুত চটক আছে মুখ চোখে, চেহারায়। কথা যখন শুরু করলেন তখন বোঝা গেল ওঁর একটা নিজস্ব স্টাইল আছে।
'আমি খুব খুশি হয়েছি আপনি এসেছেন বলে। একটু আগে উপাসনার সঙ্গে কথা বলছিলাম। শুনলাম আপনার সিদ্ধান্তই শেষ কথা। কাজের কথা বরং পরে হবে, আগে বলুন কী খাবেন? ঠাণ্ডা না
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
গরম?' নবীন দত্ত হাসলেন। ভদ্রলোকের গজদাঁত আছে। এরকম প্রস্তাবের জবাবে কী বলা উচিত? যেখানে অনেক টাকার কাজ শুরু হতে চলেছে সেখানে প্রত্যাখ্যান করাটা কি ঠিক হবে? রঞ্জনা মাথা নাড়ল; 'কফি। অসুবিধে হবে না তো?'
'বিন্দুমাত্র নয়। সাদা না কালো।'
'কালো তবে চিনি ছাড়া নয়।'
'গুড।' ইন্টারকমে দু'কাপের হুকুম চালান করে নবীন দত্ত বললেন, 'আপনাদের মিস বেঙ্গল
কম্পিটিশনের নেমন্তন্ন পেয়েছিলাম, কাগজেও দেখলাম।'
'আপনি গিয়েছিলেন?' ভদ্রতা করল রঞ্জনা।
'নাঃ। অত সুন্দরীদের একসঙ্গে দেখলে সৌন্দর্যের আকর্ষণ কমে যায়।'
'আমরা এবার কথা শুরু করতে পারি।'