আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 170
'আমি তো সকাল সকাল অফিসে চলে এসেছি। নিশ্চয়ই যাবে।'
কিছু মনে করবেন না, কী হয়েছে আপনাদের?'
'কিছু না। অন্তত আমার তরফ থেকে কিছুই হয়নি। আপনার বন্ধু যদি এখনও মধ্যযুগে বাস করে এবং সেইমতো কথা বলে তা হলে আমার কিছু করার নেই। ওর অফিসে যে সব মহিলা কাজ করেন তাঁরা চরিত্রহীন, নির্লজ্জ জীবন যাপন করেন বলে যদি ও মনে না করে তা হলে নিজের স্ত্রীর বেলায় সে সব ভাবছে কেন? বলুন?' উত্তেজিত হয়েছিল রঞ্জনা।
ঠিকই তো। এই প্রশ্নটা আমিও ওকে করেছিলাম। ও বলেছিল, ওদের অফিসের মেয়েদের বয়স হয়ে গেছে। তা ছাড়া প্রাইভেট ফার্মে যেসব মেয়ে কাজ করে তাদের নাকি নিজের ওপর কোনও কর্তৃত্ব থাকে না। কে ওর মাথায় এমন ধারণা ঢোকাল কে জানে। যাক গে, দেখা হয়েছে ভালই হল, আপনি যেন ভাববেন না, আমরা ওকে মদ খেতে উৎসাহিত করছি।' অদ্ভুত বোকা বোকা হাসি হাসল।
সুমিতাভ। ও তো শিশু নয় যে আপনারা খাওয়ালেই খেয়ে নেবে।'
' 'এটাই হল কথা। যাক গে, আপনি নিশ্চয়ই লাঞ্চ করতে নেমেছেন।' সুমিতাভ বলল, 'ওপাশে একটা ছোটখাটো রেস্টুরেন্ট আছে, চমৎকার খাবার, যেতে পারেন আমার সঙ্গে। আমিও লাঞ্চ করিনি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'নাঃ। সময় বেশি নেই। আর একদিন হবে।'
'ও! আপনি এখনও সুবীরের বাড়িতেই আছেন?'
'মানে?' অবাক হল রঞ্জনা।
'সুবীরকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম এত যখন বিরোধ তখন আপনারা একসঙ্গে আছেন কি না। ও জবাব দেয়নি। তাই।' কথা শেষ করল না সুমিতাভ।
'ও বাড়িটা তো শুধু সুবীরের নয়, আমার শ্বশুর শাশুড়ি ননদও ওখনে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক যতদিন খারাপ না হচ্ছে ততদিন অন্য কোথাও গিয়ে কেন থাকব? আচ্ছা, নমস্কার।' দ্রুত সরে এল রঞ্জনা। এলোমেলো হাঁটল খানিক। তার মনে হচ্ছিল সুমিতাভ পেছন পেছন আসতে পারে! ও হয়তো তার অফিসটা ঠিক কোথায় তা দেখে যেতে চাইবে। তার মানে আবার ওর সঙ্গে কথা বলতে আসতে পারে। সুমিতাভের কথা বলার ভঙ্গি ভাল লাগেনি রঞ্জনার। যেন ওকে এড়াতেই অযথা অনেকটা হেঁটে এল সে।
কাঠে আঘাত পাওয়ার পর যদি সুবীরের মাথায় হেমারেজ হয়ে থাকে তা হলে? এটা সে একদম ভাবেনি। শ্বশুরমশাই বলেছেন যে অন্যায় করেছে তাকে আদর করার কোনও যুক্তি নেই। আজ সকালে যেটুকু রঞ্জনা দেখেছে তাতে সুবীরকে ভয়ানক অসুস্থ বলে মনে হয়নি। তবে প্রথমদিকে সেরকম লক্ষণ না বোঝা গেলেও পরে অসুস্থ হয়ে পড়ার উদাহরণ তো যথেষ্ট রয়েছে। একটা টেলিফোন বুথ দেখতে পেয়ে রঞ্জনা ঢুকে পড়ল। সুবীরের অফিসের নাম্বার ঘুরিয়ে দেখল ওটা এনগেজড হয়ে রয়েছে। চারবার চেষ্টা করার পরেও লাইন না পেয়ে হাল ছেড়ে দিল সে।
অফিসে ফিরে নিজের টেবিলে বসতেই হরিপদবাবু কাছে এলেন। 'ম্যাডাম, আপনার একটা ফোন এসেছিল। তিতির নামের একজন ফোন করেছিলেন।'
'তিতির।' চমকে উঠল রঞ্জনা, 'তিতির? তিতির কী বলেছে?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'না না, এমন কিছু নয়। বলেছে, ওর দাদাকে ডাক্তার দেখে গিয়েছে। কোনও প্রবলেম নেই। আপনাকে চিন্তা না করতে বলেছেন উনি।' হরিপদবাবু আশ্বস্ত করলেন।
চেয়ারে শরীরটা ছেড়ে দিল রঞ্জনা। 'ও, ঠিক আছে, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।'
হরিদবাবু চলে গেলেও মন ঠিক করতে পারছিল না রঞ্জনা। হঠাৎ তিতির তাকে ফোন করল? ওকে তো সে একবারও বলেনি সুবীরকে নিয়ে সে চিন্তায় আছে। তা ছাড়া বাড়ি থেকে বেরুবার আগে ওর সাথে দেখাও হয়নি। তিতির ফোন নাম্বার পেল কী করে? সুবীর দিয়েছে? রঞ্জনার মনে পড়ছিল না যে শাশুড়িকে অফিসের ফোন নাম্বার দিয়েছে কিনা। হয়তো দিয়েছিল।
যাক। সুবীর ভাল আছে। ভাল থাকলেই ভাল। ভাগ্যিস অফিসের ফোনটা পায়নি। পেলে লজ্জায় পড়তে হত। স্ত্রী হয়ে সে জানে না স্বামী বাড়িতেই আছে। তখন কী রকম একটা আবেগ থেকে সে ফোনটা করতে গিয়েছিল! তখনই মনে পড়ল নবীন দত্তের কথা। আজই যোগাযোগ না করলে উপাসনাকে কৈফিরত দিতে হবে। নাম্বার টিপল সে।
অপারেটার মারফত ভদ্রলোকের কাছে লাইনটা গেল।