আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 169

আসসালামুআলাইকুম

হবে একটি বেলায়। রঞ্জনা দেখল ঘটনাটি ঘটতে আর ষোলো দিন বাকি আছে। ইতিমধ্যে হোটেলে ঘর বুক করা হয়ে গেছে। রঞ্জনা ফাইলটা নিয়ে উপাসনার ঘরে গেল।
'ইয়েস।' উপাসনা ফোন নামিয়ে ঘুরে বসল।
'এই সেমিনারটার ফাইল এইমাত্র পেলাম।'
'গুড। তুমি নবীন দত্তের সঙ্গে দেখা করো।'
'নবীনদত্ত।'
'ফাইলটা পড়নি ?... চিঠিগুলোতেও ওর রেফারেন্স আছে।'
রঞ্জনার মনে পড়ল। কোম্পানির কলকাতা শাখার কর্তা নবীন দত্ত। ও মাথা নাড়ল, 'হ্যাঁ। সরি, চট করে ধরতে পারিনি।'
'ভাল করে ফাইলটা স্টাডি করো। তারপর ওর সঙ্গে অ্যাপয়ন্টমেন্ট করে দেখা করো। আমরা কীভাবে অর্গানাইজ করছি তার ব্লু প্রিন্ট কখনও ওকে দেবে না। ও কী কী চায় তাই দেখে নেবে এবং সেগুলো যেন লিখিতভাবে দেয়।' কথাগুলো বলে হাসল উপাসনা, 'ছেলেরা আর আমাকে আকর্ষণ করে না কিন্তু ফর ইওর ইনফর্মেশন, নবীন দত্ত যে কোনও মেয়ের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় পুরুষ।'

1735708637441.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

লাঞ্চ পর্যন্ত ফাইলটা স্টাডি করল রঞ্জনা। তারপর টেলিফোন নাম্বার দেখে নিয়ে নবীন দত্তকে ফোন করল। অপারেটার জানাল, 'এখন লাঞ্চ আওয়ার। এক ঘণ্টা বাদে ওকে পাওয়া যাবে।'
এই অফিসে লাঞ্চ খাওয়ার জন্যে আলাদা ব্যবস্থা নেই। রঞ্জনা অফিস থেকে বেরিয়ে এল। এখানে ফুটপাথে হরেক রকম খাবার নিয়ে হকাররা বসে আছে। আশেপাশের অফিসের লোকজন এখানেই লাঞ্চ সারে। কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে খেতে একটুও ইচ্ছে হয় না রঞ্জনার। এর আগে কয়েকদিন ও বেয়ারাকে দিয়ে অবশ্য এখান থেকেই খাবার আনিয়ে নিজের চেয়ারে বসে খেয়েছে।
'আরে। আপনি এখানে?'
গলাটা শুনে তাকাল রঞ্জনা। সুমিতাভ। সুবীরের বন্ধু। দু'তিনবার বাড়িতে এসেছে।
রঞ্জনা হাসল, 'আপনি এখানে কেন?'
'বাঃ। এটাই তো আমার অফিসপাড়া।'
'তাই? আমারও।'
'আচ্ছা। সুবীর আমাকে বলেছিল আপনি চাকরি করতে চাইছেন!'
'চাইছি না, করছি।'

1735708637410.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'সুবীরের ইচ্ছের বিরুদ্ধে!'
'আপনি দেখছি খবরটা জানেন।' রঞ্জনা গম্ভীর হল। 'হ্যাঁ। আমি ওকে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু যে গোঁয়ারতুমি করতে চায় তাকে কী করে বোঝাব।
বউ চাকরি করছে বলে কেউ মদ খেতে শুরু করেছে এমনটা কখনও শুনিনি।'
'মদ তো আপনারাও খান।'
'হ্যাঁ। খাই। সেটা শোভনসীমার মধ্যে থাকে। এতদিন আমরা-খেতাম আর সুবীর বসে খাবার
খেত। এখন ওর খাওয়া আমরা দেখছি।'
'মারপিটের সময় আপনি ছিলেন?'
'সনৎ বলেছিল, ভালই তো, তোর রোজগার বেড়ে গেল, ডাবল ইনকাম। একদিন ভাল করে খাওয়া। এতে খুব খেপে গিয়েছিল। পাশের টেবিলের একটা লোকের সঙ্গে গায়ে পড়ে ঝগড়া শুরু করেছিল। লোকটা তার বন্ধুকে বলেছিল জরুকা গোলাম। সুবীরের ধারণা হয়েছিল সনৎ-এর কথা শুনে লোকটা তাকে উদ্দেশ করে বলেছে। হঠাৎ দেখলাম হাতাহাতি শুরু হয়ে গেছে। লোকটা ঘুষি মারতে উলটে পড়ে গিয়ে টেবিলের কোণে চোট পেল মাথায়। একদম সিলি ব্যাপার। অফিসে ফোন করে জানলাম আসেনি। কেমন আছে এখন?'
'কেমন থাকতে পারে বলে মনে হয়?'
'আমি ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। ডাক্তার বললেন যদি ইন্টারন্যাল হেমারেজ না হয়ে গিয়ে থাকে তা হলে ভয়ের কিছু নেই। যদি হয় তা হলে সেটা আজ সকালের মধ্যেই বোঝা যাবে। ও কথা বলছে?'
'স্বচ্ছন্দে।'
'তা হলে ভয়ের কিছু নেই।' সুমিতাভ বলল, 'তবু একবার ডাক্তারের কাছে যাওয়া উচিত। আজ সকালে নিয়ে গিয়েছিলেন?'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।