আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 168
'মাতাল হয়ে মাথা ফাটিয়ে বাড়ি ফিরে আসে যে তার কোনও রাইট নেই এই ব্যাপারে কিছু প্রলার। তবে হ্যাঁ, তিতির, তুমি এমন চরিত্রে কখনরই অ কোনও রাইটন নিয়ে দেখতে আমাদের খারাপ লাগবে। সন্ধ্যারানিকে কেউ কখনও অসম্মান করেনি কিন্তু যারা ভ্যাম্পের চরিত্র করতে গিয়ে পরিচালকের নির্দেশে অশ্লীল ভঙ্গি করে তাদের দর্শক কখনওই নিজের বাড়ির মেয়ে হিসেবে ভাবে না। অতএব কোন চরিত্রে তুমি অভিনয় করবে তা নিজে ভেবে-চিন্তে ঠিক করবে।' বাবা খেতে
বসলেন। 'কোন চরিত্রে করবে মানে?' মায়ের গলা উঠল, 'ওকে মাত্র এই সিরিয়ালটায় অভিনয় করতে বলা হয়েছে। শখ মিটিয়ে নিক। এর পরে আর করা চলবে না।'
'নিলে তো করব।' তিতির কাগজটা তুলে নিল।
'তার মানে?' মায়ের গলায় সন্দেহ।
'আমার অভিনয় যদি ভাল না হয়, আমাকে দেখতে যদি খারাপ লাগে তা হলে কেউ পরের সিরিয়ালে কাজ দেবে? দেবে না।' তিতির মাথা নাড়ল।
'না দিলে দেবে না।' মা মুখ ঘোরাল।
'ও, তুমি তা হলে আমার বদনাম হোক তাই চাইছ?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'আমি জানি না, কিছু জানি না।' মা দুদ্দাড় পা ফেলে রান্নাঘরে চলে গেল। খেতে খেতেই বাবা বললেন, 'যাক রণে ভঙ্গ দিল। শোনো, আমি চাই না তুমি যে কাজ করছ তাতে তোমার বদনাম হোক। লোকে ভাল বলুক, সুখ্যাতি করুক, তারপর যদি তোমার মনে হয় আর অভিনয় করবে না তো কোরো না, অর্থাৎ সিদ্ধান্তটা তুমি নেবে, ওরা যেন তোমাকে বাতিল না করে।'
তিতির নিজের ঘরে ফিরে এল। ছবিটার দিকে তাকিয়ে হঠাৎ সে কেঁপে উঠল। ছবির তিতির তার দিকে তাকিয়ে আছে অদ্ভুত চোখে। নিজের চোখে যে এমন দৃষ্টি আছে তা নিজেই জানত না তিতির। তা হলে কি অভিনয় করার সময় সে একদম বদলে যায়? একেই কি বলে চরিত্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া?
উপাসনা শুধু ত্রুটিগুলোর কথা বলল না, প্রত্যেককে ধন্যবাদ দিল গ্র্যান্ড হোটেলের কাজটা ভালভাবে শেষ হয়েছে বলে। তারপর কথা শেষ করল রঞ্জনার দিকে তাকিয়ে, 'আমরা যে অনুষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টে থাকব তার দায়িত্ব অনুষ্ঠন শেষ হয়ে গেলেই ফুরিয়ে যায় না। তুমি হয়তো কথাটা জানতে না কিন্তু এখন জানানো হল। এর পরে আর ভুল কোরো না।'
রঞ্জনা বলতে চাইল, 'আমি তো অনুমতি!'
'হ্যাঁ। চেয়েছিলে এবং আমি না বলিনি। কারণ সেখানে পার্টির লোকজন ছিল।'
'আসলে আমার আত্মীয়রা এসেছিলেন, দেরিও হয়ে গিয়েছিল!'
'কারণ নিশ্চয়ই তোমাকে বাধ্য করেছে। কিন্তু কাজের জায়গায় আত্মীয়দের না নিয়ে আসাই ভাল বিশেষ করে যাঁরা নিজেদের দায়িত্ব নিতে পারেন না।' উপাসনা নির্বিকার মুখে বলেছিল।
নিজের টেবিলে ফিরে এসে কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ বসে থাকল রঞ্জনা। উপাসনা খুব ভদ্রভাষায় তাকে সতর্ক করল। ঠিকই তো, বিউটি কনটেস্ট দেখতে তো তারা যায়নি। তাদের কোম্পানি অনেকটা ডেকোরেটার বা ক্যাটারারের মতো। সব অতিথি চলে যাওয়ার পর গুছিয়ে নিয়ে না ফেরা পর্যন্ত কাজ শেষ হয় না।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
হরিপদবাবু একটা ফাইল নিয়ে এলেন, 'ম্যাডাম, এটা জরুরি।'
'কী এটা?'
'বোম্বের একটি বড় কোম্পানি এখানে তিনদিন সেমিনার করতে চায়। পড়ে দেখুন।' হরিপদবাবু চলে যেতে গিয়ে দাঁড়ালেন, 'প্রথম প্রথম ভুল সবাই করে। ম্যাডামের কথা শুনে মন খারাপ করবেন না।
ভদ্রলোক চলে গেলে ফাইলটা নিয়ে বসল সে। প্রায় মাস আটেক ধরে চিঠিপত্র লেখা চলছে। সবগুলো মন দিয়ে পড়ল। পার্ক হোটেলে তিনদিনের সেমিনার হবে। তাদের কোম্পানি অনেকগুলো শর্তসাপেক্ষে কাজটা পেয়েছে। শর্তগুলোর মধ্যে সবচেয়ে যেটা প্রধান সেটা হল কোনও প্রতিনিধি যেন অসুবিধে হয়েছে এই অভিযোগ না করে। দেশ এবং বিদেশ থেকে মোট আঠাশজন প্রতিনিধি আসছেন। তাঁদের হোটেল, খাওয়া, এয়ারপোর্ট টু এয়ারপোর্টে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা ছাড়া সেমিনারের জন্যে যা কিছু প্রয়োজন সব করতে হবে। এর মধ্যে সাইট সিয়িং-এর আয়োজন করতে.......