আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 165
'একটাই।'
'নায়িকা তো?'
'যাক, আমাদের পাড়ার প্রেস্টিজ বেড়ে গেল। তবে খুব নাম হয়ে গেলে তো এখানে থাকবি না। তখন চিনতে পারবি তো।'
'ভ্যাট।'
তিতির হাঁটতে লাগল। তার ছবি বেরিয়েছে। এই কাগজটা তাদের বাড়িতে আসে না। এখনই একটা কেনা দরকার, মোড়ের মাথায় যে হকাররা বসে তারা কি এত বেলায় আছে? থাকলেও তাদের কাছে গিয়ে কাগজটা চাইতে খুব লজ্জা করছিল। কিন্তু ছবিটা বাবাকে না দেখালেই নয়।
বিজয় ডাক্তারের চেম্বারে সবসময় ভিড়। অনেক বছর আগে বাবার সঙ্গে এখানে এসেছিল একবার, তিতির বুঝতে পারছিল না ভদ্রলোককে কী করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া যায়। পরদার আড়ালে একজন রুগিকে দেখে বিজয় ডাক্তার বেরিয়ে এলেন। সামনে বসা একজনকে তার অসুবিধে কী জানাতে বলতে বলতেই ইনজেকশন তৈরি করলেন। লোকটির কথা শেষ হওয়ার আগেই তুলো দিয়ে হাত মুছে পরের জনকে অসুবিধের কথা জানাতে বললেন। দ্বিতীয়জন যখন ইনিয়ে বিনিয়ে শরীরের অসুবিধে জানাচ্ছে তখন প্রথমজনের হাতে তাঁর ইনজেকশনের সূচ ফুটে গেছে। সিরিঞ্জের তরল পদার্থ যতক্ষণ সম্পূর্ণ শরীরে না ঢোকে ততক্ষণ মন দিয়ে দ্বিতীয়জনের কাহিনী শুনে সিরিঞ্জটি ঝুড়িতে ফেলে আর একটি নতুন সিরিঞ্জ বের করলেন। দ্বিতীয় লোকটি উঠে দাঁড়িয়ে হাত জোড় করল, 'ডাক্তারবাবু, আমি সুই নেব না।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কেন?' বিজয় ডাক্তার বেশ বিরক্ত।
'আপনি আমাকে ট্যাবলেট দিন, ক্যাপসুল দিন।'
'বেশি পয়সা হয়ে গেছে মনে হচ্ছে। ওসব খেয়ে যদ্দিনে রোগ সারবে তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি কাজ করবে এই ইনজেকশন। ওষুধটা একই, মুখের বদলে সোজা রক্তে মিশিয়ে দিচ্ছি বলে কাল সকালেই শরীর ঠিক হয়ে যাবে।' বলতে বলতে বিজয় ডাক্তার তৃতীয় ব্যক্তির হাত ধরলেন।
তিতির একটু এগিয়ে এসেছিল। তাকে দেখে ডাক্তার চোখ কোঁচকাল, 'কী ব্যাপার? খুব চেনা মনে হচ্ছে। কোথায় যেন দেখেছি!'
'আমি এ পাড়াতেই থাকি।' তিতির বলল।
'তোমাকে তো এই চেম্বারে দেখিনি। তার মানে তুমি বেশ কয়েক বছরের মধ্যে অসুস্থ হওনি। চেম্বারের বাইরে গিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকার সময় আমার নেই। কিন্তু আমি দেখেছি, কোথায়
দেখেছি।' ডাক্তারকে অন্যমনস্ক দেখাল।
অপেক্ষায় থাকা রুগিদের একজন বলে উঠল, 'আজকের কাগজে ছবি ছাপা হয়েছে।'
'ইয়েস! তাই!' ডাক্তার টেবিলের ওপর ভাঁজ করে রাখা কাগজটা তুললেন। বিশেষ পাতাটি বের করে যেন মিলিয়ে নিলেন, 'হ্যাঁ, ঠিক। আসা হয়েছে কেন? দেখে মনে হচ্ছে না অসুখবিসুখ হয়েছে!'
'আপনাকে একবার আমাদের বাড়িতে যেতে হবে।'
'কোথায় বাড়ি?'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তিতির বাড়িটা কোথায় বুঝিয়ে দিল। বিজয় ডাক্তার বললেন, 'একটায় এই চেম্বার বন্ধ হবে। তারপর দু'ঘণ্টা আমি প্রাইভেট কল অ্যাটেন্ড করি। তিনটের সময় বাড়ি ফিরে আবার ছ'টায় চেম্বার। আমি একটা দশে তোমার বাড়িতে যাব।'
'এখন যাওয়া সম্ভব হবে না?'
'নো। এদের ফেলে রেখে আমি যদি বাইরের পেশেন্ট দেখে বেড়াই তো কেউ আর এই চেম্বারে আসবে না।' ডাক্তার কাগজটা এগিয়ে ধরলেন, 'এটা দেখেছ?'
মাথা নাড়ল তিতির, 'না।'
'দেন, নিয়ে যাও। আমার পড়া হয়ে গেছে।'