আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 161
'পাগল। এদের বিয়ে করার জন্যে এখন কোটি কোটি ছেলেরা লাইন দিয়ে দাঁড়াবে। ওসব কথা এখন সেকেলে হয়ে গেছে।' তিতির বলল।
অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর সবাই যখন বেরিয়ে যাচ্ছে তখন মা বলল, 'দ্যাখ, তোর বউদির কাণ্ড, একবার ভদ্রতা করে দেখা করতেও এল না।'
'এসেছিল, কথা বলে গেছে।'
'ও! তা এখন সে কোথায়?'
কিছু মানুষ তখনও দাঁড়িয়ে। বিচারকদের ফেরার ব্যবস্থা করে রঞ্জনা প্রায় দৌড়ে এসেছিল তিতিরদের কাছে। কাজের দোহাই দিয়ে ওদের চলে যেতে বলা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। তার খুব খারাপ লাগছিল।
এই সময় হন্তদন্ত হয়ে এগিয়ে আসা মিস্টার সান্যালের সঙ্গে আর একটু হলে ধাক্কা লেগে যাচ্ছিল যদি রঞ্জনা নিজেকে না সামলাত। মিস্টার সান্যাল বললেন ব্যস্ত গলায়, 'এই যে, আপনাকেই খুঁজছিলাম। আমি দুঃখিত, খুব লজ্জিত। এই মাত্র মোবাইলে জানতে পারলাম আমার মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বুঝতেই পারছেন আমাকে এখনই বাড়িতে যেতে হবে। আপনাকে, মানে, আপনাদের ডিনারের জন্যে বলেও শেষ পর্যন্ত... বুঝতেই পারছেন...।'
সঙ্গে সঙ্গে রঞ্জনার গলা থেকে শব্দ ছিটকে বের হল, 'না না, আপনি এখনই চলে যান। বাড়িতে
অসুস্থ মানুষকে রেখে এসব হয় নাকি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
মিস্টার সান্যাল বললেন, 'আপনি কিছু মনে করলেন না তো?'
'একটুও না।' দ্রুত মাথা নাড়ল রঞ্জনা।
'আপনি দয়া করে উপাসনাকে ব্যাপারটা বলে দেবেন।'
মিস্টার সান্যাল চলে গেলে রঞ্জনার মনে হল বুকের ওপর থেকে একটা বিশাল ওজন সরে গেল। এইভাবে মুক্তি পাওয়ার কথা সে একবারও ভাবেনি। দ্রুত এগিয়ে এসে সে তিতিরকে বলল,
'তোমরা একটু দাঁড়াবে?'
মা জিজ্ঞাসা করল, 'কেন?'
'আমি একটু গুছিয়ে আসছি।'
তিতির বলল, 'ঠিক আছে এসো।'
রঞ্জনা চলে গেলে মা বলল, 'গুছিয়ে আসা আবার কী। সব তো শেষ হয়ে গেছে।'
তিতির হাসল, 'সবার খাওয়া হয়ে গেলেই কি তোমার রান্নাঘরের কাজ শেষ হয়ে যায়?
'সে তো আমি তোদের বাড়ির বিনা পয়সার ঝি বলে।'
'বউদিও তো এখানে চাকরি করে, মাইনে পায়।'
'ই।' মা একটু ভাবল, 'কত মাইনে পায় তা কখনও বলেনি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'বাঃ, মাইনে পেয়ে তো তোমাকে টাকা দিতে এসেছিল, বাবাই তো বলেছে ব্যাঙ্কে জমিয়ে রাখতে। আর তা ছাড়া, মাইনের খবর জেনে তোমার কী লাভ!'
হস্তদন্ত হয়ে এল রঞ্জনা, এসে বলল, 'চলুন।'
'তোমার সব কাজ শেষ হয়ে গেছে?' মা জিজ্ঞাসা করল।
'না মানে, ম্যানেজ করে এলাম।' ঘড়ি দেখল রঞ্জনা, 'রাত অবশ্য খুব বেশি হয়নি।'
তিতির বলল, 'সাড়ে দশটা। কাল আমার শুটিং আছে।'
একতলায় নেমে এসে মা বলল, 'হোটেলটা একটু ঘুরে দেখা যায় না?'
তিতির বলল, 'ঘুরে কী দেখবে? সুন্দর দামি জিনিসে সাজানো ঘর।'
মা বলল, 'এরা যেখানে খাওয়া-দাওয়া করে সেখানটা একটু দেখতাম।'
রঞ্জনা হাসল, 'মা, এই হেটেলে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট আছে, এক এক জায়গায় এক এক রকমের
খাবার। কোথায় খাবেন বলুন?'
'তুমি এত কথা জানলে কী করে?'
'বাঃ, এই কাজের জন্যে এখানে দু'বার আসতে হয়েছে আমাকে।' রঞ্জনা মিষ্টি করে হাসল, 'আপনি এখানে খেয়ে যেতে চান?'
'কীরকম টাকা লাগবে তা তো জানি না।'