আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 156
রঞ্জনা জিজ্ঞাসা করল, 'ওঁরা খারাপ ব্যবহার করেছিলেন?'
শ্বশুরমশাই বললেন, 'একদম না। উনি ওঁর কমপ্লেক্স থেকে সেটা আবিষ্কার করেছিলেন।'
শাশুড়ি গম্ভীর গলায় বললেন, 'এখানেই তোমাদের সুবিধে। বিয়ের দশ-পনেরো বছর বাদে মেয়েদের কোনও কুলই থাকে না। বাপের বাড়িতে দু'দিনের বেশি থাকলে তারা অবাঞ্ছিত ভাবে আবার শ্বশুরবাড়িতে থাকতে হলে কান বুজে থাকতে হয়না আমাদের কোন জায়গাই নেই। না ঘরকা না ঘাটকা।'
শ্বশুরমশাই বললেন, 'দোষটা তোমাদের। এত বছর এ-বাড়িতে থাকার পর কথা উঠলে বলো, আমাদের বাড়িতে এমন হত না। অর্থাৎ বাপের বাড়িটা এখনও তোমাদের কাছে আমাদের বাড়ি। পূর্ববাংলা থেকে পঞ্চাশ বছর আগে যারা এসেছে তারা যেমন বলে আমাদের দেশ ছিল বিক্রমপুরে, আহা। আর পঞ্চাশ বছর ধরে যেখানে আছিস, যে দেশ তোমাদের বাঁচিয়ে রেখেছে তাকেই নিজের
দেশ বলে কেন ভাবা যাচ্ছে না। এটা তোমার বাড়ি, ওটা নয়।' রঞ্জনা বলল, 'ঠিক। উনি ঠিক বলেছেন মা।'
শাশুড়ি বললেন, 'হ্যাঁ। সবাই ঠিক বলে। আমিই ভুল।'
'কিন্তু বউদি, তোমাকে আমরা কীভাবে খুঁজে বের করব?' তিতির জিজ্ঞাসা করল।
'তোমাকে আমিই খুঁজে নেব। আমি এবার চলি, দেরি হয়ে যাবে। মা, আপনি তা হলে
যাচ্ছেন। ঠিক তো?' রঞ্জনা হাসল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'নিশ্চয়ই। তুমি নিশ্চিন্ত হয়ে যাও।' শ্বশুরমশাই বললেন।
ঘরে ঢুকে রঞ্জনা দেখল সুবীর খাটে লম্বা হয়ে শুয়ে কাগজ পড়ছে। সে কোনও কথা না বলে আলমারি খুলে শাড়ি ব্লাউজ বের করতে বসল।
'আমি বাইরে যাচ্ছি।' সুবীর বলল।
'সেটা আমাকে বলার কী আছে?' মুখ ফিরিয়ে বলল রঞ্জনা।
'বাইরে মানে কলকাতার বাইরে।'
'হঠাৎ?'
'ভাল লাগছে না এখানে।'
'কবে যাচ্ছ?'
'কাল।'
'কোথায় যাচ্ছ বলে যেয়ো।'
'তার মানে আমি এখানে না থাকলে তোমার কিছু এসে যায় না?'
ঝগড়া করছ!' জামাকাপড় নিয়ে উঠে দাঁড়াল রঞ্জনা। 'তুমি পায়ে পা দিয়ে ঝগ
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'হ্যাঁ। আমি তো শুধু ঝগড়াই করি।'
'কোথায় যাচ্ছ তুমি?'
'দেখি।'
'বেশ দ্যাখো। আমার আর সময় নেই।' রঞ্জনা পা বাড়াল বাথরুমের দিকে।
'তোমার ফাংশন তো আজকে, তাই না?'
'হ্যাঁ।'
'কত রাত হবে ফিরতে?'
'কেন?'
'শুনি না।'
'দেখি।'
'তুমি কিন্তু বাড়াবাড়ি করছ।' সুবীর উঠে বসল।
'তাই? আর কিছু বলবে?'
'দেখি, তুমি কখন ফেরো, তারপর যা বলার বলব।'
বাথরুমে ঢুকে গিয়েও কয়েক সেকেন্ড লাগল নিজেকে সামলাতে। না, এভাবে কোনও সম্পর্ক টিকে থাকে না। রঞ্জনা কেঁদে ফেলল। তারপর একসময় সে শক্ত হল। সম্পর্ক যদি ভাঙে তা হলে সেটা সুবীরই ভাঙুক। সে কেন মিছিমিছি নিমিত্তের ভাগী হবে।