আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 155
রঞ্জনা বলল, 'একটা পয়সাও লাগবে না।
তিতির বলল, 'না, লাগবে। ট্যাক্সি ভাড়া।'
মা বললেন, 'কিন্তু ওখানে তো অল্পবয়সিদের ভিড় হবে। আমাকে কি ওই পরিবেশে ভাল
দেখাবে?' তিতির ঝাঁঝিয়ে উঠল, 'উঃ, তুমি কি বিউটি কনটেস্টে নাম লেখাতে যাচ্ছ। তুমি দর্শক হবে। তোমার বয়সি অনেক মহিলা সেখানে থাকবে।'
'তা হলে আমি কী পরে যাব?'
রঞ্জনা তিতিরের দিকে তাকাল। এরকম সরল সমস্যার কথা শাশুড়ি বলবেন তা সে কল্পনা করেনি। তিতির বলল, 'তোমার যা স্টক আছে তার বেষ্ট শাড়িটা তুমি পরবে। আমাদের ওখানে
পৌছাতে হবে সাতটায়। না বউদি।'
'হ্যাঁ। সাড়ে সাতটায় আরম্ভ।' রঞ্জনা জবাব দিল।
'তুমি আমাদের সঙ্গে যাবে না?' শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'না। আমি তো এখনই অফিস যাচ্ছি। সারাদিন ওখানে থাকতে হবে আমাকে। বাড়ি ফিরে আবার যাওয়ার সুযোগ পাব না।' কার্ডটা শাশুড়ির হাতে দিল রঞ্জনা। শাশুড়ি সেটাকে দেখলেন, 'তী দামি কার্ড।'
এইসময় সুবীর ঢুকল। ওদের দিকে না তাকিয়ে সে ঘরে চলে যাচ্ছিল। তাকে ডাকলেন শাশুড়ি,
'হ্যাঁরে, তুই আজ সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি ফিরবি?'
'না। আর আমার কাজ আছে।'
'কী এমন কাজ?'
'সেটা তোমাকে বোঝানো যাবে না।' সুবীর চলে গেল।
শাশুড়ি মন্তব্য করলেন, 'কথাবার্তা যেন কীরকম হয়ে গেছে। ওকে যে বলব তার সুযোগই দিল
না। কী করি বল তো!'
তিতির বলল, 'বললে মুখ নষ্ট হত। দাদা কিছুতেই যেত না। যে বউয়ের চাকরি করা পছন্দ করে না সে তার অফিসের এমন অনুষ্ঠানে কখনও যাবে না।'
বাবা ঢুকলেন বাজার নিয়ে, 'অনেকদিন পরে মৌরলা মাছ পেয়েছি। দয়া করে বোলো না
তোমাকে জব্দ করতে নিয়ে এসেছি।'
'তা বলব না। কিন্তু একটা কাণ্ড হয়েছে।' মা বললেন।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'কী সেটা?'
'বউমা দুটো কার্ড এনেছে। তিতির আর আমাকে যেতে বলছে।'
'কোথায়?'
'ওর অফিসের অনুষ্ঠানে। গ্র্যান্ড হোটেলে।'
'গ্র্যান্ড হেটেলে? তুমি? তা ভাল। ও হো, তোমার তো ওখানে যাওয়ার বড় সাধ ছিল একসময়। বেশ তো, ঘুরে এসো। কিন্তু ওখানে গিয়ে দয়া করে তোমার মুখ বন্ধ করে রেখো।' বাবা বললেন।
'তার মানে?'
'ফাইভ স্টার হোটেলে এখন অবাঙালিদের ভিড় বেশি। তারা বাংলায় কথা বলে না। ইংরেজি আর হিন্দিটা তোমার ঠিক দখলে নেই তো, তাই বললাম।'
'দেখছ বউমা, তোমার শ্বশুরমশাইয়ের এই হল স্বভাব। আমাকে ঠুকে কথা না বললে ওঁর ভাত
হজম হয় না। আমাকে তুমি বাদ দাও বউমা।'
রঞ্জনা বলল, 'মা উনি আপনার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন।'
'ঠাট্টা। ওঁর ঠাট্টার জের সামলাচ্ছি এত বছর। আর পারছি না।'
'না পারলে কী করবে? শোনো বউমা, বছর দশেক আগে উনি আমার ওপর রাগ করে বাপের
বাড়ি চলে গেলেন। আমার মুখ দেখবেন না এই তাঁর প্রতিজ্ঞা। বাপের বাড়িতে বাপ নেই, মা নেই, দুই ভাই আর তাদের ছেলেমেয়ে। তা ভাইরা তো প্রথমে খুব সমাদর করল। দু'-তিনদিন বাদে যখন তারা বুঝল দিদির আসার উদ্দেশ্য কী তখন বোঝাতে লাগল ওর ফিরে যাওয়া উচিত। ক্রমশ তাদের ব্যবহার ওঁর কাছেই এত খারাপ লাগতে লাগল যে উনি সুড়সুড় করে ফিরে এলেন।' শ্বশুরমশাই হাসতে হাসতে বললেন।