আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 124
'পারতে তো হবে।' রঞ্জনা হাসল, 'বিয়ের পর বুঝবে, মেয়েদের অনেক কিছু পারতে হয়, অন্তত শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করতে হয়।'
বৃহস্পতিবার শুটিং। কিন্তু তার আগেই এ বাড়িতে আর একটা কাণ্ড হয়ে গেল। রঞ্জনা অফিসে বেরিয়েছিল সকাল সকাল। বলেছিল, অত সকালে খেয়ে যাবে না, অফিসে লাঞ্চ করে নেবে। কথাটা শুনে স্বস্তি পেলেও মা মৃদু আপত্তি জানিয়েছিল। ছেলে বের হয় অনেক পরে। তখন ভাত মাছের ঝোল নামাতে অসুবিধে হয় না। বউমার জন্য যদি আটটার সময় ওসব করতে হয় তা হলে ভোর হওয়ার আগেই হেঁসেলে ঢুকতে হয়। রঞ্জনা যখন অফিসে গেল তখন সুবীর ঘর থেকে বের হয়নি। ব্যাপারটা বাবার চোখেও ভাল লাগেনি বোধহয়, তাই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, 'সে কোথায়?' মা জবাব দিয়েছিলেন, 'শরীরটা ভাল নেই, শুয়ে আছে।'
তিতির মায়ের দিকে তাকাল। দাদার শরীর যে ভাল নেই মা তা জানল কী করে। আজ একবারও তো মা দাদা-বউদির ঘরে ঢোকেনি। বউদিও কিছু বলেনি। দাদাকে আড়াল করার ব্যাপারে মায়ের যে প্রবণতা আছে তা কি বাবা জানেন না? নিশ্চয়ই জানেন।
সন্ধের একটু বাদে বউদি যখন অফিস করে ফিরে এল তখনও দাদা ফেরেনি। দরজাটা খুলে
দিয়েছিল তিতির। খুলেই উচ্ছ্বসিত হয়েছিল, 'বাঃ।'
'ভিতর থেকে মায়ের গলা ভেসে এসেছিল, 'কাকে বাঃ বলছিস রে?'
'বউদিকে।' তিতির গলা তুলেছিল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা যেন খানিকটা অপ্রস্তুত হল। তিতিরকে চোখের ইশারায় ডেকে সে নিজের ঘরের দিকে এগোল। কিন্তু ততক্ষণে মা বেরিয়ে পড়েছে তার ঘর থেকে। রঞ্জনা দেখে অবাক গলায় বলল, 'ওমা তুমি চুল কেটে এলে নাকি?'
'না। শুধু ডগাগুলো ছেঁটে দিয়েছে।'
'উঁহু, তোমার মুখটা অন্যরকম লাগছে।' মায়ের গলায় সন্দেহ।
'খুব সুন্দর লাগছে, তাই না মা?' তিতির পাশে এসে দাঁড়াল।
'সাতসকালে তো অফিসে গেলে, পার্লারে যাওয়ার সময় পেলে কখন?'
'প্রথম দিন, তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছিল, হাতে সময় পেলাম বলে।' রঞ্জনা আর দাঁড়াল না। ওর চলে যাওয়া দেখছিল মা। তিতির বলল, 'তোমার কথা বলার ধরন
দেখে মনে হচ্ছে বউদির সাজগোজ পছন্দ করছ না।'
'আমি পছন্দ করার কে? যার বউ সে যদি পছন্দ করে তা হলেই হল।'
'তার মানে? বউদি কি দাদার সম্পত্তি? দাদার পছন্দ মতো চলতে হবে।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'চুপ কর। বড্ড কথা বলছিস আজকাল।' মা চাপা গলায় বলল।
'বাঃ, তুমি প্রিমিটিভ কথা বললে আমি প্রতিবাদ করব না?'
'কী কথা?' মায়ের কপালে ভাঁজ পড়ল।
'আদিকালের কথা। যখন পুরুষরা মনে করত মেয়েরা তাদের সম্পত্তি। যার গায়ে বেশি জোর
তত বেশি মেয়েদের মালিক হবে।'
'তিতির। আমি সেকথা বলেছি?' মা রেগে গেল।
'তাই তো বললে। যার বউ সে যদি পছন্দ করে তা হলেই হল, কথাটার মানে কী? অথচ
সে
তোমার ক্ষেত্রে দেখো, বাবা তোমার খারাপ লাগবে এমন কিছু করতে বলে না।'
'আহা! ন্যাকা। করতে বলে না? আমার আপত্তি সে শোনে? বউমাকে চাকরি করতে অনুমতি দেওয়ার সময় আমাদের কারও কথা গ্রাহ্য করেছে?' প্রশ্নটা করেই মা থেমে গেল, 'তোর এত
ফটফট করে বলার কী হল? আজকাল সবসময় আমার খুঁত ধরার জন্য দেখছি ব্যস্ত হয়ে পড়েছিস।'
সারা শরীরে বিরক্তি ফুটিয়ে মা চলে গেল নিজের ঘরে। খুব হাসি পাচ্ছিল তিতিরের মায়ের
রকম-সকম দেখে। চট করে কোনও পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না মা। এখন কাছে গেলে কথাই বলবে না। একটু সময় যেতে দিতে হবে। তিতির রঞ্জনার ঘরে এল। রঞ্জনা তখন ড্রেসিং টেবিলের সামনে চুপচাপ বসে।
'মায়ের কথায় তুমি কিছু মনে করো না বউদি।' তিতির খাটের একপাশে উঠে বসল। রঞ্জনা কোনও জবাব দিল না। এবার ঘড়ি খুলল, চুড়িও।
'যাই বলো, তোমাকে দারুণ দেখাচ্ছে।' তিতির বলল।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @taskiaakther,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community