আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 123
সঙ্গে যে মেয়েরা চাকরি করেন তাঁরা তো দিব্যি করছেন। তিতির যদি নিজেকে ঠিক রাখে তা হলে
ওকে সুযোগ দিলে ভাল হয়।' ছেলে বলল, 'তুমি তো এখন একথা বলবেই।'
রঞ্জনা শ্বশুরকে বলল, 'শুনলেন তো। এরপর হয়তো শুনতে হবে তিতিরকে আমি মতলব
দিয়েছি কুপথে যাওয়ার জন্য।' 'বউমা। তুমি একটু বেশি কথা বলছ।' মা ধমকে উঠলেন।
'আমি তো কোনও কথাই বলতে চাইনি মা। বাবা চাইলেন তাই বলেছি। আর আপনার ছেলের মন্তব্য আপনি শুনলেন। আচ্ছা মা, আজ যদি তিতির না হয়ে আমি অভিনয়ের সুযোগ পেতাম তা হলে অন্তত একটায় করুক বলে আপনারা আমাকে অনুমতি দিতেন? না, দিতেন না। নিজের মেয়ে যে প্রশ্রয় পায়, তা পরের বাড়ির মেয়ে পেতে পারে না। যাকগে, আমি চাই, ওর ইচ্ছেমতো ও নিজের পায়ে দাঁড়াক। আমি আসছি।' রঞ্জনা আর দাঁড়াল না। তিতির উঠে দাঁড়াল।
মা জিজ্ঞাসা করলেন, 'কোথায় যাচ্ছিস?'
'তোমাদের কথা তো শেষ। আমি বউদির ঘরে যাচ্ছি।' তিতির পা বাড়াল।
নয়
ঘরে ঢুকে তিতির বলল, 'থ্যাঙ্ক ইউ বউদি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
রঞ্জনা হাসল, কিছু বলল না।
তিতির বলল, 'দাদা অহেতুক ভয় পাচ্ছে আর সেই ভয়টা অন্যের মনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু
তুমি একটা কথা বলোনি।'
রঞ্জনা তাকাল, যেন শুনতে চাইল বেঠিক কথাটা কী!
তিতির বলল, 'তুমি যদি অভিনয়ের সুযোগ পেতে তা হলে এ বাড়ির আর কেউ কী বলত জানি
না , আমি কিন্তু তোমাকে সমর্থন করতাম।'
রঞ্জনা হেসে ফেলল, 'চাকরি করছি শুনেই তোমার দাদার ওই অবস্থা, অভিনয়ের কথা জানলে
তো এখনই উকিলের কাছে ছুটত।'
'উকিল?'
'হ্যাঁ, অভিনেত্রী বউয়ের সঙ্গে থাকা যায় না, ডিভোর্স চাই।' রঞ্জনার কথা বলার ধরনে হেসে ফেলল তিতির। তারপর জিজ্ঞাসা করল, 'তোমাকে কী ধরনের কাজ করতে হবে? মানে, তোমার অফিসটা কীসের?'
'ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট। কলকাতায় যে সব বড় বড় অনুষ্ঠান হয়, উদ্যোক্তাদের হয়ে সেগুলো অর্গানাইজ করে এই অফিস। ক'দিন বাদে গ্র্যান্ডে মিস বেঙ্গল কনটেস্টটা এরাই অর্গানাইজ করছে। পাঁচজন বিখ্যাত মানুষকে জাজ করতে হবে। আপাতত আমার দায়িত্ব তাদের জোগাড় করা।' রঞ্জনা বলল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'তুমি কি কাউকে চেনো?'
'কাউকে নয়। তবে কলকাতার বিখ্যাত মানুষদের নাম তো পত্রপত্রিকায় পড়েছি। তা থেকে
লিস্ট করতে হবে। তারপর যোগাযোগ।'
'বাঃ! খুব ইন্টারেস্টিং কাজ তো।'
'তোমার অভিনয়ের চেয়ে নিশ্চয়ই ইন্টারেস্টিং নয়। কত নতুন নতুন চরিত্রে তুমি অভিনয়
করবে, কত নাম হবে!'
'দূর! আমার যা কপাল। দেখবে এটাই প্রথম আর এটাই শেষ এরপর আর কোনও সুযোগই
পাব না।' তিতির ঘুরে দাঁড়াল।
'শোনো, তুমি তোমার দাদার কথায় কিছু মনে কোরোনা।'
তিতির হেসে ফেলল, 'বলছ?'
'হ্যাঁ। এখনও প্রাগৈতিহাসিক ধ্যান-ধারণা নিয়ে আছে, শোধরাতে যখন পারবে না তখন ওকে
ওর মতো থাকতে দাও, কান দিয়ো না।'
'তুমিও বুঝি তাই করবে? এই একঘরে থেকে পারবে?'