আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 115
'ক'টা জামা?'
'গোটা পাঁচেক।'
কাউন্টারের ওপাশে দাঁড়িয়ে ভদ্রলোক ক্যালেন্ডার দেখলেন, 'দিন দশেক।'
'অসম্ভব। পরশু সকালের মধ্যে আমার ওগুলো দরকার।'
'হবে না।' মাথা নাড়লেন ভদ্রলোক।
'আপনি বোধহয় আমাকে চিনতে পারছেন না। আমার বউদির সঙ্গে কয়েকবার এসেছি।
বউদির জামা আপনি বানিয়ে দেন।' তিতির তাকাল।
'হয়তো। ঠিক আছে, সামনের সোমবার এসে নিয়ে যাবেন।'
'আমার যে এই বৃহস্পতিবার থেকে শুটিং।'
কথাটা বলেই অস্বস্তিতে পড়েছিল তিতির। নিজের কানেই খট করে লেগেছিল। ভদ্রলোক তাকিয়ে আছেন দেখে বলতে হল, 'হ্যাঁ। একটা সিরিয়ালে কাজ পেয়েছি। তারই প্রয়োজনে জামাগুলো দরকার।' 'আচ্ছা। বাঃ। কী নাম সিরিয়ালের।' ভদ্রলোকের মুখে হাসি ফুটল।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'শুটিং।' ভদ্রলোক অবাক হয়ে তাকালেন।
'বিভাসবাবুর সিরিয়াল, যিনি চার দেওয়াল করেছেন। এখনও নামকরণ হয়নি।' 'নাঃ, তাহলে যেমন করেই হোক আপনার কাজটা করে দিতে হয়। হ্যাঁ, বিভাসবাবুকে বলবেন,
কৃতজ্ঞতা স্বীকারে আমাদের দোকানের নাম দিতে। দিন কাপড়।' ভদ্রলোক হাত বাড়ালেন। ঘণ্টা খানেকের মধ্যে ঘুরে আসছে বলে বাড়িতে চলে এল তিতির। বাবা বা দাদার এ সময়
বাড়িতে থাকার কথা নয়। মা বাথরুমে, বউদি আয়নার সামনে, সাজুগুজু প্রায় শেষ। ঘরে ঢুকেই তিতির বলল, 'তুমি বেরোচ্ছ নাকি?'
'হ্যাঁ। ফোন করেছিলাম, দুপুরে যেতে বলেছে।' রঞ্জনা বলল।
'বাঃ। এখন তো দুপুর। তোমার দেরি হয়ে যাবে না?'
'কী ব্যাপার বলো না?' রঞ্জনা ঘুরে দাঁড়াল।
'তোমার আলমারিটা একটু খুলবে? কয়েকটা শাড়ি ধার নেব।'
'শাড়ি? তুমি? বাব্বা! কী হল হঠাৎ?'
'বলব। আগে আলমারিটা খোলো।' হাসল তিতির।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
'
খোলাই আছে। দ্যাখো না।'
পাল্লা খুলে একটু মুশকিলে পড়ল। প্রচুর শাড়ি ঝুলছে। এর মধ্যে থেকে তাকে বেছে নিতে হবে। শেষ পর্যন্ত রঞ্জনাই তাকে সাহায্য করল। পাঁচটা শাড়ি বাছাই হওয়ার পর রঞ্জনা বলল, 'শাড়ির কথা বলছ বলে ভাবলাম প্রেমে পড়েছ? কিন্তু একসঙ্গে পাঁচটা শাড়ি যখন দরকার তখন
নিশ্চয়ই প্রেমের ব্যাপার নয়।'
'ধরো চাকরি পেয়েছি। পাঁচদিনে পাঁচটা শাড়ি দরকার।'
'গুল মারছ। কিন্তু আমার জামা তোমার তো হবে না। কী করবে?' 'তোমার দর্জিকে রাজি করিয়ে এসেছি, ব্লাউজ বানিয়ে দেবে।'
'কী ব্যাপার বলো তো? একদম প্ল্যান করে কাজ করছ!'
বললাম তো, পরে বলব।' '
'খুব ভাল কাপড় হলে মেকিং চার্জ সমেত একশো আশির বেশি দিয়ো না। হঠাৎ একসঙ্গে এতগুলো জামা বানাবে, তুমি তো শাড়ি পরই না।'
'বললাম না কাজ পেয়েছি।' শাড়িগুলো একটা বড় শপিং ব্যাগে ভরে উঠে দাঁড়াল তিতির। তারপরই মনে পড়তেই জিজ্ঞাসা করল,'এইভাবে এসে শাড়ি চাইলাম, তুমি কিছু মনে করলে না তোর
'যতক্ষণ না তোমার রহস্য জানতে পারছি ততক্ষণ মনে করলেও করতে পারি।'
'বেশ, আজ রাত্রে বলব।'
শাড়ির রং দেখিয়ে কাপড় পছন্দ করে মাপ দিয়ে এল তিতির। ভদ্রলোক বললেন, 'আমি খুব চেষ্টা করব কাল সন্ধেবেলায় দিয়ে দিতে। আর পরশু যদি নেন তা হলে কাচিয়ে ইস্তিরি করে রাখব। আপনাকে বাড়িতে কোনও ঝামেলা করতে হবে না। দ্বিতীয়টাই বোধহয় সুবিধেজনক, তাই না?'
মাথা নেড়েছিল তিতির, 'কত দিতে হবে?' ভদ্রলোক মুখের দিকে তাকালেন, 'সাড়ে সাতশো দেবেন।'