আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 113

আসসালামুআলাইকুম

সামান্য সাজলেই তিতিরকে এত বেশি সুন্দর দেখায় যে সাজতে ওর খুব লজ্জা করে। আজ বিভাসদার ওখানে যাওয়ার সময় কী মনে হতে সেইটুকুই সাজল ও। দেখে মা বলল, 'কোথায় যাচ্ছিস রে?'
'কেন?'
'এরকম সেজে যাচ্ছিস।'
'বাঃ, কোথায় সাজলাম। তুমি না বেশি বেশি!' মা হাসল। এখন বউদি বাড়িতে নেই। একটু আগে কিছু কেনাকাটা করবে বলে বেরিয়েছে।
মাকে তাই বলেছে বউদি, কিন্তু তিতির জানে আজ বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে, বাবা সানন্দে অনুমতি
দিয়েছেন। সে-কথাটাই টেলিফোনে জানাতে বাইরে বেরিয়েছে বউদি। বিভাসদার অফিসে যখন সে পৌঁছোল তখন সেখানে বেশ ভিড়। এদের কাউকেই সে চেনে না। অন্তত টিভির পরদায় দেখা যায় না। কিন্তু এরা সবাই সিরিয়াল নিয়ে কথা বলছে। অফিসের সেই ছেলেটি তাকে দেখামাত্র এগিয়ে এল, 'আসুন। অশোকদা আপনার খোঁজ করছিলেন।'
'কী বলেছেন?'
'এসেছেন কিনা জানতে চাইছিলেন। একটু বসুন, ওঁর ঘরে লোক আছে।'
'বিভাসদা আছেন?'
'না, দাদা একটু পরে আসবেন। চা খাবেন?'
'না।' মাথা দুলিয়ে দুলিয়ে হাসল তিতির।

1731554772100.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

ছেলেটি বলে ফেলল, 'দিদি, আজ আপনাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে।'
'ভ্যাট!'
'হ্যাঁরে বিশু। এই আমাদের নতুন হিরোইন?' এক শীর্ণ বৃদ্ধ সামনে এসে দাঁড়ালেন। তিতির
দেখল, মানুষটির মুখে একটা নরম নরম ভাব রয়েছে।
তিতির মাথা নাড়ল, 'না, না, আমি হিরোইন নই।'
'ও। অশোকদা বলল একজন নতুন মেয়ে আসবে, হিরোইনের চরিত্রে।' ভদ্রলোক ঘড়ি
দেখলেন, 'ওহে বিশু, একটু ভিতরে গিয়ে বলো, আমার যে কাজ আছে। ফ্লোর ছেড়ে এসেছি।'
বিশু ওঠার আগেই দরজা খুলে অশোক বেরিয়ে এল, 'আরে, আসুন আসুন। জগুদা, আপনিও আসবেন।'
তিতির ঘরে ঢুকল। সঙ্গে ওই ভদ্রলোক। নিজের চেয়ারে বসে অশোক বলল, 'জগুদা, একবার একে দেখে নিন। মুখে কোনও মেরামত কি দরকার?'
' 'না। আমি মেরামতিতে বিশ্বাস করি না। তবে।' ভদ্রলোক কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন,
মুখটা একটু ডানদিকে ঘোরাও তো ভাই!'

1731554772178.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

অশোক বলল, 'ইনি খুব প্রবীণ মেকআপম্যান।'
তিতির ডানদিকে মুখ ঘোরাল। জগুদা বললেন, 'ক্যামেরাম্যানকে বলবেন ওঁর বাঁ দিকটাকে প্রেফারেন্স দিতে। কিন্তু তুমি যে বললে হিরোইন নও, লজ্জা পাচ্ছিলে?'
'না, না, হিরোইন তো জয়তী। বিভাসদা আমাকে অনুপমার চরিত্রে মানায় কি না তা দেখতে ওঁকে বলেছিলেন।' তিতির বলল।
অশোক বলল, 'ঠিক। তখন তাই কথা হয়েছিল। কিন্তু পরে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আপনাকে দিয়েই জয়তী করাব। বিভাসদা তো সেটা আপনাকে টাকাপয়সা বলার সময় বলেই দিয়েছিলেন।'
'আমি বুঝতে পারিনি।' 'বোঝা উচিত ছিল। আপনাকে উনি মেইন চরিত্র, লিড রোল ইত্যাদি কথা বলেছিলেন।
যাকগে, এসব শুনে যেন ভাববেন না পাহাড় ডিঙোতে হবে। যে-কোনও চরিত্রে ভাল অভিনয় করতে
পারাটাই একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর লক্ষ্য হওয়া উচিত।' অশোক বলল। জগুদা বললেন, 'আমি তা হলে চলি। আজ সোমবার, বৃহস্পতিবার থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে, তাই তো?'
'হ্যাঁ। কল টাইমটা পরে আপনাকে জানিয়ে দেব।' অশোক বলল।
জগুদা যেতে গিয়েও দাঁড়িয়ে পড়লেন। তিতিরের দিকে তাকিয়ে বললেন, 'তুমি আমার মেয়ের বয়সি, মা। প্রথম কাজ করতে এসেছ, মন দিয়ে করো, ফাঁকি দিয়ো না। আশীর্বাদ করি যেন সফল হও।'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।