আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 111
'আত্মসম্মান বজায় রাখতে আমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।' 'তুমি দেখছি তিতিরের মতো কথা বলছ। ওর ইনফ্লুয়েন্স তোমার ওপর পড়ল?'
'তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার প্রবৃত্তি হচ্ছে না।' রঞ্জনা ঘর থেকে বেরিয়ে এলে সুবীর তাকে
অনুসরণ করল। শাশুড়ি তখনও বসেছিলেন ডাইনিং টেবিলে, বললেন, 'যা খেয়ে নে। বেলা হয়ে গিয়েছে।
বউমা বলছিল, তুই আজ বাজারে যাবি।' 'আমার পক্ষে বাজারে যাওয়া সম্ভব নয়।' সুবীর ঘোষণা করল।
সম্ভব নয় কেন?' জানতে চাইল রঞ্জনা। '
'বাঃ, আমি কখনও বাজার করেছি। কী আনতে কী আনব আর মা বিরক্ত হবে, রান্নার বারোট। বেজে যাবে।' সুবীর টেবিলের কাছে চলে গিয়ে চেয়ার টানল।
রঞ্জনা এক সেকেও ভাবল। তিতির দাদার কথা শুনে বেরিয়ে এসে হাসছে। রঞ্জনা বলল, 'মা. আমিই তা হলে বাজারটা করে নিয়ে আসি।'
'সে কী, তুমি বাজারে যাবে কেন?'
'তাতে কী হয়েছে। গড়িয়াহাটে গিয়ে দেখুন, মেয়েরাই বাজার করে।'
'না, না। এপাড়া তো গাড়িয়াহাট নয়। তার চেয়ে উনিই বাজারে যান। তিতির, তোর বাবাকে বাজারে যেতে।' শাশুড়ি বললেন।
বল তিতির বলল, 'বাবাকে যখন একবার নিষেধ করা হয়েছে তখন থাক মা। বউদি, চলো আমি আর তুমি গিয়ে বাজার করে আনি।'
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তিতিরের প্রবল উৎসাহ মেনে নিতে হল শাশুড়িকে। চা খেতে খেতে সুবীর এইসব দেখছিল। শেষ পর্যন্ত বলল, 'কী কী আনতে হবে লিখে দাও, কাউকে যেতে হবে না, আমিই যাচ্ছি। ভাল না হলে কেউ কোনও কথা বলবে না।'
তিতির জিজ্ঞাসা করল, 'কী করবে বউদি?'
'তা হলে আমাদের পরিশ্রম করার দরকার কী! অনেক আগে বললে এত কথা খরচ করতে হত
না।' রঞ্জনা নিজের ঘরে চলে গেল।
চাকরিটা যে হবেই এতটা আশা করেনি তিতির। কিন্তু ইনটারভিউ-এর সময় যেসব কথাবার্তা হয়েছিল তাতে মনে হয়েছিল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু সময় চলে যাচ্ছে অথচ কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছে না দেখে সে নিজেই ফোন করল। ব্যাপারটা জেনে রিসেপশনিস্ট বলল, 'আপনাকে যদি প্রয়োজন হত তা হলে অবশ্যই চিঠি যেত। আশাকরি বুঝতে পারছেন।'
অর্থাৎ তার চাকরিটা হল না। মনটা খুব খারাপ হয়ে যেতে পারত কিন্তু হল না। যে কাজটার সে কিছুই জানে না সেটা না পেলে দুঃখ হবে কেন? একদম প্রস্তুতি ছাড়াই সে গিয়েছিল ইনটারভিউ দিতে। চাকরিটা পেলেই অবাক হওয়ার মতো কাও হত। মাস কম্যুনিকেশন অথবা ম্যানেজমেন্ট পড়ার ইচ্ছে আর হচ্ছে না। আরও কয়েক বছর ধৈর্য ধরতে হবে সেক্ষেত্রে। তিতির মন স্থির করে ফেলল। আগামীকালই তার বিভাসদার ওখানে যাওয়ার কথা। বিভাসদা তাকে বলেছিলেন সাতদিন পরে যোগাযোগ করতে।
For work I use:
মোবাইল |
Redmi Note 11s |
ফটোগ্রাফার |
@taskiaakther |
লোকেশন |
ঢাকা, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
বাহিরে |
তিতির বউদির ঘরে এল। দাদা বেরিয়ে গেছে। বউদি বিছানায় শুয়ে খবরের কাগজ পড়ছিল। বলল, 'এসো।'
খাটের একপাশে বসে তিতির বলল, 'তোমার মধ্যে হঠাৎ পরিবর্তন এসেছে।'
'কী রকম?' রঞ্জনা হাসল।
'ক'দিন আগে তুমিও কী রকম গম্ভীর গম্ভীর থাকতে, কনজারভেটিভ কথাবার্তা বলতে। আমি
তোমাকে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না।' তিতির বলল।
'নাগো, আসলে তা নয়। আমি এতদিন একটা ঘোরের মধ্যে চলছিলাম। একেবারে সাধারণ বাঙালি বউরা যেমন ঘোরের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে, আমি তা থেকে বেরোতে পারছিলাম না। তুমি তোমার মাকে আমার আড়ালে কোনও অপছন্দের কথা বললে মনে হত আমাকে পছন্দ করছ না। আর এটা মনে হলেই বেশ দূরত্ব তৈরি হয়ে যেত। তোমার দাদাকে বললে কোথায় আমার ভুলটা সংশোধন করে দেবে, কিন্তু তা না করে গজর গজর করত। এতে মনে হত আমি যা ভাবছি তা ঠিক। এই যে তুমি তথাগতকে বিয়ে করতে চাইলে না, চন্দ্রাদিকে প্রথমদিন সেকথা বলা হল না.......