আমার নিজের লেখা গল্প, কবিতা এবং আমার নিজের করা ফটোগ্রাফি।।। পর্ব- 105

in #photography16 days ago
আসসালামুআলাইকুম

'না। তুমি কীসে এলে।'
'পাতালে।'
'এত রাতে, একা।'
'তো কী হয়েছে।'
'একটা কথা বলব, তুমি আমাকে ভুল বুঝো না।'
'হঠাৎ।'
'তোমার আত্মীয়কে বিয়ে করার ব্যাপারে যে গোলমালটা হল তার জন্য আমি একটু দায়ী। প্রথমেই বলে দেওয়া উচিত ছিল যে আমি এখন বিয়ে করব না। আসলে সেদিন হঠাৎই সমস্যাটা সামনে এসে পড়তে কিছু বলতে পারিনি। পরে দাদাকে মিথ্যে বলেছিলাম।'
'মিথ্যে?'
'হ্যাঁ, আমি কারও প্রেমে পড়িনি।'
'তবে?'
'একজন কাউকে সামনে খাড়া না করলে দাদাকে থামানো যেত না।'
'তার মানে, তুমি কাউকে ভালবাস না?'
'তোমরা যাকে চেন না এমন কোনও ছেলেকে তো নয়ই। আসলে বউদি, প্রেম করার চেয়ে মূল্যবান অনেক কিছু এই পৃথিবীতে করার আছে। আমরা, মেয়েদের অনেকেই ভয় পাই বলে হাত- পা গুটিয়ে বাড়িতে থাকি। হয় নিজে প্রেমে পড়ে নয় বাবা মায়ের চেষ্টায় সংসারের মধ্যে ঢুকে পড়ে নিরাপদ হওয়ার কথা ভাবি। কিন্তু সময় দ্রুত পালটে যাচ্ছে। আর কিছুদিন বাদেই একজন মহিলা শুধু হাউস ওয়াইফ হয়ে থাকলে সে সংসারের বোঝা হয়ে যাবে। তাই আমি আগে নিজের পায়ে

1730809886015.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

দাঁড়াতে চাই, কারও মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে চাই না।' তিতির বলল।
'এ কথা তো তোমার দাদাকে বললে পারতে।' রঞ্জনা বলল। 'বললে যে দাদা বুঝতে চাইত না সেটা তুমি জান।'
'তুমি কি কোনও চাকরির আশ্বাস পেয়েছ?'
'না । চেষ্টা করছি।'
'কোথায়?'
হেসে ফেলল তিতির, 'অনেক জায়গায়।'
হঠাৎ রঞ্জনা উঠে দাঁড়াল, 'তিতির, আমি যদি চাকরি করি?'
'তুমি?' অবাক হয়ে গেল তিতির।
'হ্যাঁ। আমিও তো অনার্স গ্র্যাজুয়েট। তোমার দাদাকে বিয়ে করে, ওই যা বললে, এতদিন সংসারের নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলাম। যদি এই আশ্রয় বিপন্ন হয় তখন আমি কী করব? তুমি এই বাড়ির মেয়ে। তুমি যা করবে তা অপছন্দ হলেও শেষ পর্যন্ত সবাই মেনে নেবে। আমার বেলায়
বোধহয় সেটা হবে না। কিন্তু আজকে আমি একটা চাকরির প্রস্তাব পেয়েছি।' রঞ্জনা বলল।
'সত্যি? তুমি চাকরির সুযোগ পেয়েছ?' তিতির উত্তেজিত। 'হ্যাঁ। আমার কলেজের এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সে এখন বিরাট ব্যবসা করে। ইভেন্ট
ম্যানেজমেন্ট। ওর কোম্পানিতে কাজ করলে আমাকে মাসে পাঁচ হাজার করে দেবে। আমি তো কিছুই জানি না, তাই টাকাটা আমার কাছে অনেক।' রঞ্জনা ঝরঝরে গলায় বলে ফেলল।

1730809886089.jpg

For work I use:


মোবাইল
Redmi Note 11s
ফটোগ্রাফার
@taskiaakther
লোকেশন
ঢাকা, বাংলাদেশ
ছবি তোলা
বাহিরে

'নিশ্চয়ই। এখন এম এ পাশ করেও অনেককে দেড় হাজার টাকার চাকরি করতে হচ্ছে।
তোমার এই বন্ধুর কথা দাদা জানে?'
'না। উপাসনা আমার সঙ্গে কলেজে পড়ত।
'উপাসনা? মহিলা?'
'হ্যাঁ। তুমি কী ভাবছিলে? পুরুষ?
'বন্ধু বললে কি বোঝা যায়, সে ছেলে না মেয়ে। যাকগে, তা হলে তো খুব ভাল খবর। চাকরিটা নিয়ে নাও।'
'তোমার কথা বুঝলাম, কিন্তু মা বাবা?'
'বাবার আপত্তি হবে না। মাকে আমি বুঝিয়ে রাজি করাব।'
'তোমার দাদা?'
দাদা নিশ্চয়ই তোমার কথা শুনবে!'

ধন্যবাদ।আল্লাহ হাফেজ।