চমৎকার সুন্দর এক মসজিদে
এইতো কিছুদিন আগের কথা। আমার ডিজাইনের কিছু প্রোডাক্ট আমার একজন ক্লায়েন্টকে অস্ট্রিয়াতে পাঠাতে হয় প্রতিনিয়তই। প্রায় প্রতিমাসে বা দুই এক মাস পর পরই এই প্রোডাক্টগুলো আমি কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠাই। সেক্ষেত্রে আমার ইন্টারন্যাশনাল কোরিয়ার ডি এইচ এল এ পাঠাতে হয়। আমার প্রোডাক্ট গুলো রেডি হওয়ার পর DHL এ পাঠানোর জন্য আমি ব্যাঙ্গ গোছাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার বন্ধু সালাম আমাকে বলল উত্তরাতে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে। সালাম বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা করতে বলছিল। আসলে তেমন কোন দরকার না জাস্ট আড্ডা দেওয়া আর কি অনেকদিন দেখা হয়নি। তো সে বলল এদিকে উত্তরাতে এসে উত্তরার ডি এইচ এল এ আমার জিনিসগুলো দিলাম আর তার সাথে দেখা হল। তোর যে ভাবা সেই কাজ।
আমি দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পরে এক ঘন্টা রেস্ট নিয়ে প্রোডাক্টগুলো প্যাকেটে নিয়ে বের হয়ে গেলাম। বাসে উঠে একেবারে উত্তরার ডিএইচএল অফিসের সামনে দাঁড়ালাম। এখানে আগে থেকে আমার বন্ধু সালাম আমার জন্য অপেক্ষা করছিল। তারপর আমার প্রোডাক্টগুলো কুরিয়ার করার পর দুইজন একসাথে চলে গেলাম উত্তরা সেক্টর পার্কে। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দুইজন গল্প করলাম। তারপর মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। পাশেই মসজিদের আজানের শব্দে আমরা উঠে মসজিদের দিকে গেলাম। মসজিদটা বাইরে থেকে দেখে এত সুন্দর লাগলো। অনেক সুন্দর বড় একটি গেট আর অনেক জায়গা জুড়ে পরিপাটি একটি মসজিদ। অজু করে মসজিদের ভেতরে ঢুকতেই আমার চোখ তো পুরো বড় বড় হয়ে গেল। এত বড় আর এত সুন্দর মসজিদ আমি আগে কখনো দেখিনি। এত সুন্দর পরিপাটি আর ভেতর দিক থেকে গোল একটি বড় গম্বুজ দেখা যায় গ্লাস দিয়ে ঘেরা এত ভালো লাগলো দেখে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | উত্তরা, ঢাকা , বাংলাদেশ |
সত্যি মানুষের নান্দনিকতা ও তৈরি কত সুন্দর, একবার ভাবি তাহলে মহান আল্লাহতালার সৃষ্টি তাহলে কতই না সুন্দর। মসজিদটি দেখে আসলেই চোখ জুড়িয়ে গেল। আর এজন্যই ভেতর থেকে একটি ছবি নিলাম।