বিশ্বের সবচেয়ে সফল ব্যক্তিদের অভ্যাস নিয়ে আমার লেখা গল্প - পর্ব ০৩
গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
চরিত্র-নৈতিকতা অনুযায়ী সফল জীবনযাপনের কিছু মৌলিক নীতিমালা রয়েছে। মানুষ তাদের চরিত্রের মধ্যে কেবল এসব নীতি সমন্বিত করতে পারলেই যথার্থ সাফল্য এবং স্থায়ী প্রশান্তির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে ।
অন্যদিকে ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতা অনুযায়ী সাফল্য হলো একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। এই আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করে। মানুষের সামনে সে তার ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সচেষ্ট হয় । ফলে দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের ক্ষেত্রে, দক্ষতা ও কুশলীপনার ক্ষেত্রে সে হয়ে ওঠে আনুষ্ঠানিক।
মূলত ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতা এগিয়ে চলে দুটি পথ ধরে। তার একটি হচ্ছে মানবিক সম্পর্ক ও জনসংযোগের ক্ষেত্রে কিছু কৌশল অবলম্বন করা । অন্যটি হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। অর্থাৎ কাঁদার চেয়ে হাসি কার্যকর বেশি, অথবা মানুষ যা ধারণা করে ও বিশ্বাস করে তা-ই সে হাসিল করে।
For Photos I use:
Camera |
Iphone 16 Pro |
Lens |
Wide 26 mm-Equivalent |
Photographer |
@fxsajol |
Location |
Mirpur 12 , Dhaka, Bangladesh |
Processing photos |
Outdoor |
ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতার দ্বিতীয় পথটি খুব দামি। কিন্তু এর প্রথম পথ স্পষ্টতই অন্যকে নিজের উদ্দেশ্যসাধনের উছিলা হিসেবে ব্যবহার করে । এই পথকে শঠতার পথও বলা যায়। এই পথকে জনমানুষকে অন্যদের পছন্দের মানুষ হওয়ার জন্য কিছু কৌশল ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে মানুষকে তার মন যা চায় তা থেকে বিচ্যুত করার জন্য কৃত্রিম কোনো কিছুতে আগ্রহী করে তোলা হয় ।
আমি আমার গবেষণার প্রয়োজনে আমেরিকার সফল মানুষদের সাফল্যের বিবরণ গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ে দেখেছি। স্বাধীন গণতান্ত্রিক মানুষ তাদের জীবনে সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে কোনো বিষয়টিকে ব্যবহার করেছে তা খুঁজে বের করা ছিল আমার লক্ষ্য। দুইশত বছরের ইতিহাস পাঠ করে আমার মনে হয়েছে সফল মানুষের জীবন চরিত্র-নৈতিকতাও ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতা-এ দুটি আলাদা পথ ধরে এগিয়েছে। ১৭৭৬ সাল থেকে শুরু করে দেড়শ' বছর আমেরিকার সফল মানুষের ইতিহাস চরিত্র-নৈতিকতার প্রভাব দেখতে পাই। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সফল ব্যক্তিদের জীবন ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতার দ্বারা প্রভাবিত। চরিত্র-নৈতিকতা দ্বারা প্রভাবিত সফল ব্যক্তিবর্গের সাফল্যের চাবিকাঠি ছিল বিশুদ্ধতা (integrity), নম্রতা, বিশ্বস্ততা, মিতাচার, সাহসিকতা, ন্যায়পরায়ণতা, ধৈর্য, পরিশ্রম, বিনয়, সারল্য এবং সুবর্ণ নিয়ম (Golden Rule)। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের আত্মজীবনী চরিত্র চরিত্র-নৈতিকতার
উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি এসব নীতি এবং অভ্যাসকে গভীরভাবে তাঁর ব্যক্তিজীবনে সমন্বিত করতে পেরেছিলেন।
অন্যদিকে ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতার সাফল্যের ইতিহাস সামাজিক ভাবমূর্তির প্রতি সচেতনতা, কৌশল এবং ত্বরিৎ সমাধানকে কাজে লাগানোর প্রয়াসে পূর্ণ। এতে সাময়িকভাবে সমস্যার সমাধান হতে পারে। কিন্তু সমস্যার গভীরতম রাজ্যে বহু-পুরাতন ক্ষতগুলো অক্ষত অবস্থায় যথাযথভাবে থেকে যায়। ফলে কালের পরিবর্তনে তা আবারও উদ্ভাসিত হয়। এ কারণেই এই পথ ধরে যারা সফল হয়েছেন তাঁদের জীবনে হাহাকার থেকে যায়। আমরা গ্রন্থের শুরুতেই এরকম হাহাকারের দৃষ্টান্ত উল্লেখ করেছি।
আমি ও সান্দ্রা অনুধাবন করি, আমাদের সন্তানের ক্ষেত্রে চরিত্র-নৈতিকতার দৃষ্টিভঙ্গিকে ব্যবহার করা প্রয়োজন। ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতা ও চরিত্র-নৈতিকতার পার্থক্য গভীরভাবে অনুধাবন করে আমার মনে হয় আমি ও সান্দ্রা আমাদের সন্তানের কাম্য আচরণের দ্বারা আমাদের সামাজিক মর্যাদা নিন্ডত করতে চেয়েছিলাম। ফলে আমরা যা চেয়েছিলাম আমাদের সন্তান তা অনুধাবন পারছিল না। আমাদের মনে ছিল দুটি প্রতিমূর্তি । এর একটি হলো 'সন্তানের প্রতিমূর্তি'। অন্যটি হলো যত্নশীল অভিভাবক হিসেবে সন্তানের প্রতি আমাদের কর্তব্য সম্পর্কে 'আমাদের প্রতিমূর্তি;। এই দুটির মধ্যে দ্বিতীয়টি ছিল গভীর প্রতিমূর্তি। হয়তো অভিভাবক হিসেবে আমাদের প্রতিমূর্তি দ্বারা আমরা সন্তানের প্রতিমূর্তিকে প্রভাবিত করছিলাম । আমরা যেভাবে সন্তানের সমস্যাকে দেখছিলাম এবং যেভাবে এর সমাধানের চেষ্টা করছিলাম তাতে অনেক বেশি আবরণ দেওয়া ছিল। এই আবরণ আমাদের সন্তানের কল্যাণ চিন্তাকে ঢেকে রেখেছিল। ফলে স্পষ্টভাবে আমরা তার কল্যাণের পথকে দেখতে পাচ্ছিলাম না। আমি ও সান্দ্রা বিষয়টি নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা কথা বলি। আমরা খুবই দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করি যে, সন্তানের সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে আমরা আমাদের নিজেদের চরিত্র, মনোভাব ও সন্তানের প্রতি আমাদের বিলক্ষণ দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছি। আর আমাদের মনোবৃত্তি ছিল সামাজিক তুলনার মনোভাব। অর্থাৎ আমাদের আর দশটা সন্তানের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে আমাদের সন্তান যোগ্য কি-না আমরা সেটা লক্ষ্য করার চেষ্টা করেছি? সামাজিক তুলনার মনোভাব ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতা থেকে সৃষ্ট। এই মনোভাব আমাদেরকে পরিচালিত করে সন্তানকে সামাজিক মানদন্ডে যোগ্য করে তোলার শর্তমূলক ভালোবাসার পথে । কিন্তু শর্তমূলক
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 21.178506410836732 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.