প্রকৃতির সৌন্দর্য
এই ছবিটা গত বছর ঈদের। ওই সময় জগদীশপুর বাওরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমাদের কোটচাঁদপুরে এখন ঘুরে বেড়ানোর মতো কোন কিছুই নেই। যদিও আমার পার্ক একদমই ভালো লাগে না বা আর্টিফিশিয়াল কোন কিছু। তারপরে বললাম আর কি অনেকে তো পছন্দ করে। তো আমরা ঘুরতে গেলেই আসলে সব সময় মাঠ ঘাটে ঘুরে বেড়াই। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে সবুজ দেখতে দেখতে । চোখটা মনে হয় দেখে শান্তি পেল।
তো ঈদের পরের দিন আমি ভাবলাম কোথায় ঘুরতে যাওয়া যায় বলোতো। আমাকে বলল কোথায় আর ঘুরবো আশপাশ থেকে ঘুরে আসি চলো। বললাম না তুমি কোথায় কোথায় বেড়েছে বল যেখানে আমাকে নিয়ে যাওনি। তারপর বলল আচ্ছা চলো তোমাকে জগদীশপুর বাওরে নিয়ে যায় ওখানে তোমাকে নিয়ে কখনোই যাইনি জায়গাটা খুবই সুন্দর। বললাম ওকে। আপনি বলে দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে আমরা একটু দুপুরে বেরিয়ে গেলাম এর সন্ধ্যার আগেই ফিরে আসতে হবে ।
আমরা দুজনে রেডি হয়ে বের হয়ে গেলাম। বাইকে আমি তার পেছনেও উঠে গেলাম। এবার যে টুকটুক করে বাইক চালাতে শুরু করে আমাদের এলাকাটা পার হওয়ার পর থেকে গ্রাম শুরু। গান শুরু হওয়ার পর থেকে এত ভালো লাগে বলার মত না। ট্রেন স্টেশনের ওই দিক দিয়ে গুড়পাড়া দিয়ে আমরা জগদীশপুর বাওড়ায় গেলাম। মিনিমাম ২০ মিনিট তো লেগেছে। এখানে যাওয়ার পরে দেখলাম পাশে বাওর আর মাঝখান দিয়ে ছোট্ট রাস্তা আর ওই পাশে ধান খেত। কত সুন্দর দৃশ্য না বাইকটা পাশে রেখে ওখানে কতক্ষণ বসে থাকলাম। বাসায় গিয়ে একটা ছোট্ট বাচ্চা যাচ্ছিল বললাম আমাদেরকে একটা ছবি তুলে দাও তো। সেই বাচ্চা তো আবার সেই ছবি তুলতে।
ডিভাইস | স্যামসাং এস ২১ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @surzo |
লোকেশন | ফুলবাড়ি, কোটচাঁদপুর, ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
সুন্দর করে আমাদের পিক তুলে দিল। তারপর ওই ছেলেটা অনেকক্ষণ আমাদের আশেপাশেই ছিল যখন চলে যাচ্ছিল বারবার আমাদের দিকে পিছন ঘুরে ঘুরে তাকাচ্ছিল। গ্রামের মানুষগুলো অনেক সহজ সরল। বাউরের পানিগুলো এত শক্ত আর এত সুন্দর ছিল হাল্কা রোদ পড়ার পর পানিগুলো একদম চিকচিক পড়ছিলাম। পাশে কিছু মানুষ আবার মাছ ধরছিল। দলে দলে সাদা সাদা হাস পানিতে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছি। মনমুগ্ধকর দৃশ্য এগুলো দেখতেই অনেক ভালো লাগে মানুষ যে কেন আর্টিফিশিয়াল পার্ক পছন্দ করে জানিনা আমি। যাই হোক খুব সুন্দর একটি দিন ছিল আমাদের জন্য।