জাহাঙ্গীরনগর ভ্রমণ স্মৃতি

in #memory3 days ago

আমরা ২জন যখন মন চাই ধুপধাপ ঘুরতে চলে যাই।আর আমার হাসবেন্ড সে সবসময় আমাকে না নিয়ে কথাও যেতে চাইনা সেটা হক বাজার আমাকে নিয়ে যাবেই। ঐদিন হঠাৎ ১১:০০ টার সময় আমাকে বলল জাহাঙ্গীরনগর যাই চল।আমি বললাম এখন কি যাওয়া যাই নাকি।। বলছে রান্না করতে হবেনা চল বাইরে খাব।আমিও কাজকাম সব গুছিয়ে নিলাম। রেডি বের হয়ে পড়লাম দুইজন।

1000005830.jpg

এত আমাদের সাথে সেদিন হাজবেন্ডের দুইটা বন্ধুও যাবে আর বন্ধুর ওয়াইফ। তো আমরা সবাই মিলে আনসার ক্যাম্পে গিয়ে মিট করলাম। তারপর ওখান থেকে ইতিহাস বাসে উঠে পড়লাম। মিরপুর থেকে ইউনিভার্সিটি যেতে ৪৫ মিনিট ১ ঘন্টা মত লাগে। আমি আবার তার বন্ধুর ওয়াইফের পাশে বসে ছিলাম তো অনেক গল্প করতে করতেই গেলাম। তারপর ওখানে পৌঁছে গেলে সবাই নেমে গেলাম। ওখান থেকে রিক্সা নিয়ে নিলাম রিকশার ভাড়া নিল আবার ৩০ টাকা করে। আমি ভাবছি ভার্সিটি তো এখান থেকেই শুরু এর ভিতরে যেতে আবার ৩০ টাকা করে রিক্সা ভাড়া লাগবে।তাও আবার অটো রিক্সা তারপর রিক্সাতে উঠে দেখলাম বেশ সময় লাগলো। তো আমরা যেতে যেতে যেহেতু দুপুর হয়ে গিয়েছিল আমরা চিন্তা করলাম আগে গিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খাব। আমরা বটতলা চলে গেলাম। জাহাঙ্গীরনগরের ভাত ভর্তা বিখ্যাত না আমরাও চিন্তা করলাম ভাত ভর্তাই খাব। তো খাবার অর্ডার করে দিলাম।

যততা হাইপ এই খাবার নিয়ে ততটা মজা ছিল না ভর্তা গুলো। খাবার শেষ করে বিল দিয়ে বের হয়ে গেলাম গেলাম। ওখান থেকে রিক্সা নিয়ে আবার আমরা ভিতরে চলে গেলাম। ওখানে গিয়ে পুকুর বসার জায়গা ছিল ওখানে বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকলাম। গরমের সময় ছিল তো হাল্কা বাতাস ছিল আসলে খুব ভালো লাগছিল। আমিও যাওয়ার সময় দুই রকমের পিঠা নিয়ে গিয়েছিলাম পাটিসাপটা নকশা পিঠা। ওখানে বসেই আমরা সবাই মিলে এগুলো খেয়ে নিলাম। ওখান থেকে বেরিয়ে টুকটুক করে হাঁটা শুরু করলাম।

চলবে...