মামার বাড়ীর গল্প
শীতকাল আসলেই কেন জানি মামার বাড়ির কথা মনে পড়ে যায়। কারণ শীতকালের সাথে মামার বাড়ির সম্পর্ক নিবিড় ভাবে জড়িত। এটা কেন বলছি জানেন, শীতকাল হলেই আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়ে যায়। এইতো ডিসেম্বর মাসের শেষের দিকে চলছে এই সময়টা ছোটবেলায় বেশিরভাগ সময়ই মামার বাসায় কাটত। মামার বাসায় গিয়ে সবার সাথে একসাথে মজা করতাম। একসাথে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতাম সবাই একটা বিছানার মধ্যেই গাদাগাদি করে ঘুমাতাম, সেই যে রাতের গল্পগুলো সেগুলো এখনো অনেক বেশি মিস করি।
আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে নানি নিয়ে এবং নানু মিলে সবাই আমাদেরকে রাতের বেলা গল্প শোনাতো। আমরা যত ভাই বোন ছিলাম সবাই আমরা এক বিছানায় শুতাম। তার মাঝে নানী থাকতো সবাই মিলে অনেক গল্প করতাম। আবার এদিকের নানু অনেক ভয়ানক ভয়ানক ভূতের গল্প শোনাতো। যেগুলো শুনে আমাদের অনেক বেশি ভয় লাগতো। সেই দিনগুলো কতই নাম মধুর ছিল কিন্তু চাইলেও এখন সেই কাজগুলো করা হয় না কারণ নানু এখন এই পৃথিবীতেই নেই। সেই দিনগুলো কখনো আর ফিরেই পাবো না ভাবতেই অনেক কষ্ট লাগে।
ছুটির দিনে সকালবেলা শুরু হতো পিঠা খাওয়া দিয়ে। আমরা ঘুম থেকে ওঠার আগেই নানি সবকিছু ব্যবস্থা করে পিঠা বানাতে বসে যেত। পিঠা বানানো শুরু হলে আমাদের সকলকে ডাক দিত। আমরা সবাই ফ্রেশ হয়ে নানির চারপাশেই বসে থাকতাম। সবাই মিলে একটি একটি করে পিঠা খেতাম উফ কি চমৎকার দিনগুলো ছিল। কি চমৎকার না!! সেই অতীতগুলো কাটিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু এখন সেটা শুধুমাত্র কল্পনাই রয়ে গেছে। আপনাদেরও কি এরকম মধুর কোন অতীতের স্মৃতি রয়েছে? থাকলে অবশ্যই মন্তব্যে ছোট করে জানাতে পারেন। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি আপনার সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
ঠিক বলেছেন আসলেই শীতকাল এলে ছোটবেলার মামার বাড়ির স্মৃতি মনে পড়ে যায়। বার্ষিক পরীক্ষার পর ছুটি যখন পেতাম তখন সেখানে কাটানো সময়, ভাইবোনদের সঙ্গে মজার মুহূর্তগুলো এখন শুধুই স্মৃতি হয়ে আছে। নানা-নানুর স্নেহ, ভয়ানক গল্প, আর একসঙ্গে কাটানো রাতগুলোর কথা চিন্তা করলে কষ্ট লাগে।যাইহোক অতীতের মধুর স্মৃতিগুলো এখন শুধুই কল্পনার জগতে রয়ে গেছে।বাস্তব প্রেক্ষাপটে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
you see good