|| লাইফ স্টাইল : নীল ষষ্ঠীর দিন শিব স্নান করানোর কিছু মুহূর্ত ||

in আমার বাংলা ব্লগlast year

নমস্কার বন্ধুরা


আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সকলেই খুব ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি। আপনাদের সকলের সুস্থতা কামনা করেই আমার আজকের ব্লগটি শুরু করতে চলেছি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমরা সকলেই জানি গত শুক্রবার নীল ষষ্ঠী ছিল। প্রতিবছরের মতো এ বছরও নীল ষষ্ঠীর দিন শিবের মাথায় জল ঢেলেছিলাম। সেটি হলো আমার আজকের পোষ্টের মূল বিষয়বস্তু। চলুন তাহলে আর দেরি না করে শুরু করা যাক।

1000038250.jpg

বাংলা নববর্ষের শুরুর ঠিক কয়েকদিন আগে থেকেই যেন উৎসবের সমারোহ শুরু হয়ে যায় প্রত্যেকটা বাঙালির ঘরে। বছর শেষের ঠিক আগের দিন থাকে চড়ক , আর তার আগের দিন থাকে নীল ষষ্ঠী। আর এই নীল ষষ্ঠী হল, বাবা ভোলানাথের ব্রত উদযাপনের দিন। বছরের দুটি দিন শিবরাত্রি আর নীল ষষ্ঠী উদযাপন করা হয়ে থাকে। এই দুটি দিনেই সনাতন ধর্মের ছোট থেকে বড় প্রায় সমস্ত নারী পুরুষেরাই বাবা ভোলানাথের এই ব্রত উদযাপন করে থাকেন। প্রতিবছরই সবার মতো আমিও নীল পূজোর উপোস করে থাকি। আর খুব আনন্দের সাথে দিনটি উপভোগ করি।

অন্যান্য বছর গুলিতে আমি শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য, হয় কোন মন্দিরে যায় কিংবা যেখানে চড়কের আয়োজন করা হয়ে থাকে সেখানে গিয়ে শিবের মাথায় জল ঢালি। যদিও এবছর কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল। যেহেতু আমাদের ঘরেই শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা রয়েছে, তাই সেই ঠাকুরের মাথাতেই জল ঢেলেছিলাম। যদিও সেজেগুজে সকলের সাথে জল ঢালতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। যাইহোক,এই অনুভূতিটাও খারাপ ছিল না।

1000039169.jpg

যাইহোক যেহেতু, শিব ঠাকুরের মাথায় জল ঢালবো বলে ঠিক করেছিলাম সেই জন্য আগে থেকেই সমস্ত ফুল মালা এনে গুছিয়ে রেখেছিলাম। শিবের পূজোয় আকন্দ ফুলের মালা আর নীলকন্ঠ ফুল খুবই প্রয়োজন। কারণ শিব ঠাকুরকে অনেকে নীলকন্ঠ বলেও চেনে।

1000039170.jpg

যাইহোক, শিব ঠাকুর কে স্নান করানোর জন্য আমি পঞ্চমৃত তৈরি করেছিলাম। যেটি তৈরি করতে , প্রথমে একটি গ্লাসের মধ্যে নিয়েছিলাম কিছুটা কাঁচা দুধ, তারপর কিছুটা গঙ্গা জল, ঘি, মধু আর কিছুটা দই । তারপর সমস্ত উপকরণকে ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিলাম পঞ্চমৃত।

1000039171.jpg

তারপর শিব ঠাকুরকে নিচে নামিয়ে তাকে স্নান করিয়ে দিলাম পঞ্চমৃত দিয়ে। তারপর তার বেশ কয়েকটি ফটোগ্রাফি করে নিয়ে আবারও সুন্দর করে মুছে ফুল দিয়ে সাজিয়ে দিলাম।

1000038250.jpg

এরপর ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজানোর পরেও আরও কিছু ফটোগ্রাফি করে নিয়েছিলাম। এটিই ছিল নীল ষষ্ঠীর দিন শিব স্নানের কিছু মুহূর্ত।


পোস্ট বিবরণলাইফ স্টাইল
ডিভাইসpoco m6 pro
ফটোগ্রাফার@pujaghosh

আজ আর নয়। আজ এই পর্যন্তই শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে আর সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে আবারও নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।





🪔আমার পরিচয়🪔

InShot_20240217_224020693.jpg

আমি পূজা ঘোষ(রাজশ্রী)। বনগাঁতে বসবাস করি। আমি বনগাঁ দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয় থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, বিজ্ঞান বিভাগে ।পাশাপাশি কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশের কোর্স করেছি। বর্তমানে আমি ফার্মাসিতে অধ্যায়নরত । ভবিষ্যতে এইগুলো নিয়ে ভালো কিছু করার আশায় এগোচ্ছি। কবিতা আবৃত্তি করতে আমি খুবই ভালোবাসি। ছোটো বয়েস থেকেই কবিতা আবৃত্তি শিখছি। এছাড়া ছবি আঁকতে,ঘুরতে যেতে,নতুন নতুন খাবার খেতে,গান শুনতে,ফোটোগ্রাফি করতে আর মানুষের সাথে মিশতে ভালোবাসি।

🎯 সমাপ্ত🎯

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

নীল ষষ্ঠীর দিন শিব স্নানের যে ব্যাপারটা, সেটা আমাদের বাড়িতেও হয়। যদিও প্রতিবছর মন্দিরে যাওয়া হয়, তবে এই বছর আমাদেরও বাড়িতেই সবকিছু করা হয়েছিল। তবে তুমি বাড়িতে শিব স্নানের ব্যবস্থা করলেও যথেষ্ট সুন্দর করে গুছিয়ে করেছো যা দেখছি দিদি। তাছাড়া আমাদের এই দিকটাতে খুব সম্ভবত চড়ক পুজো হয়নি, এজন্য যাওয়া হয়নি আর কি।

 last year 

তবে আমাদের বাড়ির পাশেই চড়ক পুজো হয়েছিল আর পাশের পাড়াতেও হয়েছিল, যদিও আমি যাই নি এবছর ।

 last year 

এই বছর চড়ক পুজোতে না যাওয়ার কারন কি দিদি?

 last year 

ঘরেই শিব লিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করে আনা হয়েছিল গত বছর,সেই জন্য আর যায়নি ভাই এ বছর নীল পুজোতে মন্দিরে ।

 last year 

আচ্ছা দিদি, এইবার বুঝতে পারলাম না যাওয়ার কারণটা।