Reveal the truth, or do not resign: Sulei is the Nobel Laureate(সত্য প্রকাশ করুন, না হয় পদত্যাগ: সু চিকে ৩ নোবেলজয়ী)

in #life7 years ago

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি করার হুমকি দেওয়া নোবেলজয়ী তিন নারী দেশটির নেত্রী অং সান সু চিকে এখনই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।

অন্যত্থায় তাকে পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে গিয়ে রোহিঙ্গাদের মুখে রাখাইনে তাদের ওপর সংঘটিত ভয়াবহতার বিবরণ শুনে আসা ইরানের শিরিন এবাদি, ইয়েমেনের তাওয়াক্কুল কারমান ও যুক্তরাজ্যের মরিয়েড মুগুয়ার বুধবার ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেন।

মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভূমিকার জন্য শান্তিতে নোবেল পাওয়া সু চিকে নিয়ে ২০১১ সালে এই পুরস্কারজয়ী তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, ‘তিনি বিশ্বের কাছে সত্য প্রকাশ করেননি। তার জেগে ওঠা এবং এখনই গণহত্যা বন্ধ করা উচিত।তাকে সত্যটা বলতে হবে অথবা তার পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতা নিয়ে তিনি বলেন, এটা গণহত্যা। এটা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অপরাধ। তার উচিত এদের দেশে ফিরিয়ে নাগরিক অধিকার দেওয়া।

এই হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে মিয়ানমারকে এখনও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা যায় বলে মনে করেন শিরিন এবাদি।

এজন্য সাংবাদিকদের আরও ভূমিকা প্রত্যাশা করে তিনি বলেন, “এর জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত, যা তাদের মানবিক দিক বিবেচনায় নিতে চাপ দেবে।”

মরিয়েড মুগুয়ার বলেন, যুদ্ধ, সহিংসতা ও মানবাধিকার লংঘনের বিরুদ্ধে সবাইকে এক হয়ে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।

গতবছর ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনাবাহিনীর দমন অভিযান শুরুর পর গত ছয় মাসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে সীমান্ত পেরিয়ে আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে।

রোহিঙ্গাদের ওপর সহিংসতা শুরুর ছয় মাস পূর্তিতে তাদের দুঃখের কথা শুনতে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন নোবেল বিজয়ী তিন নারী। সোম ও মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় দুটি আশ্রয় শিবির ঘুরে রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে রাখাইনের গ্রামে গ্রামে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওযের ভয়াবহ বিবরণ শোনেন তারা।

তাওয়াক্কুল কারমান বলেন, রোহিঙ্গা নারীরা মিয়ানমারে ধর্ষিত হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। ক্যাম্পের অধিকাংশ এতিম রোহিঙ্গা শিশুর অভিভাবককে হত্যা করা হয়েছে। তারা শিশুদের হত্যা করেছে, তাদের আগুনে নিক্ষেপ করেছে। তারা সব কিছু ধ্বংস করেছে।
‘এসব অপরাধ দেখে বিশ্ব কীভাবে নীরব থাকে?’

নোবেল বিজয়ী এই তিন নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সরকারি কর্মকর্তা এবং মানবাধিকার সংগঠন ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে ‘দৃষ্টান্তমূলক কাজ করায়’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান তারা।

এক বিবৃতিতে নৃশংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলাটি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নোবেল বিজয়ী তিন নারী।

মিয়ানমারের ওপর সম্মিলিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞারও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

Sort:  

Wow Good Post I Like This

I upvote you, please you too
You voted me
Inshallah I will return you
every day of your daily voting
Trust me