My Photography 03| শান্ত দুপুরে কিছু মুহূর্ত | একটা ছোট্ট গল্প এবং কিছু ছবি
সবাইকে শুভেচ্ছা।
আজকের দিনটা শুরু হয়েছিল খুব সাধারণভাবেই। তবে মাঝে মাঝে এমন কিছু মুহূর্ত ধরা পড়ে চোখের সামনে, যা পুরো দিনটাকে অন্যরকম করে তোলে। আজকের এই ব্লগে আমি শেয়ার করছি কিছু এমনই মুহূর্ত—ছবির মাধ্যমে।
১. সাইকেলের পাশে বিশ্রামে ছোট্ট বন্ধু
দুপুরবেলা সাইকেলের পাশে হঠাৎ চোখে পড়ল ছোট্ট বিড়াল। গা এলিয়ে, চোখে মায়া আর ক্লান্তির ছাপ। সাইকেলের চাকাটার পাশে এমনভাবে বসে আছে যেন ওখানটাই ওর নির্ভরতার ঘর। ধীরে ধীরে কাছে যেতেই চোখে কৌতূহল জেগেছে।
এইরকম মুহূর্তে মনে হয়—শান্তি সত্যিই খুব সহজ জিনিস, শুধু জায়গাটা ঠিক হলেই হয়।
২. ঘাসে ভেজা সকাল আর অ্যালোভেরা গাছের প্রাণবন্ততা
এরপর হেঁটে গেলাম হলের বেলকনিতে। সেখানে একটা টব ভর্তি অ্যালোভেরা গাছ—সবুজ, টাটকা, প্রাণবন্ত। পেছনে লাল বিল্ডিংয়ের দেয়ালটা যেন গাছটার সতেজতাকে আরও বেশি করে ফুটিয়ে তুলছে। এমন একটা গাছ দেখলে আমার সব সময়ই ভালো লাগে—যেন জীবনের রস বেরিয়ে আসে প্রতিটি পাতায়।
৩. সবুজের ছায়ায় ছাদ থেকে দেখা চারপাশ
একটু ওপরে উঠে ছাদে গিয়ে দাঁড়ালাম। মাথার ওপরে গাছের ডালপালা, পাতার ফাঁক দিয়ে নেমে আসা আলো, আর একটু দূরে দেখা যাচ্ছে আরও গাছ, আর দিগন্ত। এক ধরনের প্রশান্তি এসে জড়িয়ে ধরে এই দৃশ্য দেখলে।
৪. দূরের পুকুর আর নরম মেঘে ঢাকা আকাশ
বৃষ্টি হয়নি, তবে আকাশে এক ধরনের স্নিগ্ধতা—ধোঁয়াটে রঙ, আর পুকুরের পাশে গাছগুলোর প্রতিচ্ছবি। যেন সময় একটু ধীরে চলে এখানে। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমি কিছুক্ষণ একদম চুপচাপ ছিলাম—মনে হচ্ছিল, এটাই সত্যিকারের 'মন খোলা' মুহূর্ত।
৫. পুরোনো ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু ভাবনা
শেষে এসে দাঁড়ালাম আমাদের পুরনো লাল ভবনের সামনে। এই জায়গাটা একসময় ছিল কোলাহলে ভরা, এখন অনেকটাই নিরব। তবে দেয়ালের ফাটল, রঙচটা রং—সব কিছুতেই লুকিয়ে আছে গল্প। যেন ভবনের প্রতিটা ইট জানে শত শত ছাত্রছাত্রীর স্মৃতি।
শেষ কথা...
এই ছবিগুলো আর অনুভূতিগুলো একসাথে মিলে আজকের দিনটাকে আমার কাছে একটু আলাদা করে তুলেছে। এমন সাদামাটা দিনও কত সুন্দর হতে পারে, সেটা বুঝতে হলে শুধু একটু সময় নিয়ে তাকাতে হয় চারপাশে।
আপনাদের কেমন লাগল ছবিগুলো আর আমার ছোট্ট লেখা—তা জানাতে ভুলবেন না।