স্মার্টদের পছন্দ ডেনিম জিন্স আচছে বাজারে স্বল্প মূল্যের
আগামী দুই বছরের মধ্যে বাজারে আনতে চায় পাটের তৈরি ডেনিম পেন্ট। যার প্রতিটির দাম হবে তিনশত থেকে সাড়ে তিনশ টাকার মতো। পাট প্রতিমন্ত্রী বলছেন সাশ্রয়ী উৎপাদন প্রক্রিয়ার জন্যই পান্টের দাম হবে কম। তবে এরপরও এ প্রকল্প থেকে সরকার প্রতি বছর অন্তত ১০০ কোটি টাকা মুনাফা করবে। অর্ধেক পাট আর অর্ধেক তুলার মিশ্রনেই তৈরি হবে ডেনিম সুতা। নতুন ধারার এই সূতার গুননেই আসবে ডেনিম। বিশ্বজোরে যার পরিচিতি জোট ডেনিম হিসেবেই। চীন ইন্দোনেশিয়ার মত কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে ডেনিম কাপড় তৈরি করলেও বাংলাদেশে এর কার্যকম শুরু হয়েছে সম্প্রতি পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে। এরই মধ্যে জোট ডেনিমের একটি কারখানা চালুরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এই বস্ত্র মিলটি গড়ে তোলা হবে জামালপুরের মাদারগঞ্জে ৫১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে। কাজ করবে ৩ হাজারের মত শ্রমিক। যেখান থেকে প্রতিবছর ৮৬৪০ মেট্রিক টন সুতা তৈরি হবে। আর ডেনিম কাপড় পাওয়া যাবে ১ কোটি ৭২ লাখ গজ। সরকারের আশা বছরে ৫২ লাখ পিস প্যান্ট ছাড়াও ডেনিম দিয়ে তৈরি হবে জেকেট, শার্ট ও বেগসহ অন্তত ১৫ ধরনের দৈনন্দিন ব্যবহার সামগ্রী। জোট ডেনিমের যাত্রা কেবল শুরু হলেও সুতোর তৈরি ডেনিম রপ্তানি করে বাংলাদেশ এরই মধ্যেই ইউরোপের বাজারের সবচেয়ে বড় অংশ দখল করে নিয়েছে। বিক্রির দিক থেকে আমেরিকার অবস্থান তৃতীয় সব মিলিয়ে বছরে ডেনিম রপ্তানির পরিমাণ এখন ৩০০ কোটি ডলারের মতো। ইউরোপের বাজারে ডেনিম পোশাকের জন্য বাংলাদেশ প্রধান রফতানিকারক দেশ হিসেবে কাজ করছে। আমেরিকাতেও রফতানিকারক হিসেবে প্রধান পাঁচটি দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। চীন,ভারত কিংবা পাকিস্তানে তৈরি ডেনিম জিন্সের তুলনায় বাংলাদেশে তৈরি ডেনিম জিন্স কোন অংশেই পিছিয়ে নেই, বরং গুণে-মানে বাংলাদেশের ডেনিম জিন্স অনেকখানি এগিয়ে। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রচার ও প্রসারে কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে বৈশ্বিক বাজারে আরও প্রসারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপোর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মোস্তাফিজ উদ্দিন বলেন, ডেনিম বা জিন্স ফেব্রিক্স ও গার্মেন্ট তৈরিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম সম্ভাবনাময় দেশে পরিণত হয়েছে।