শিরোনাম: "বন্ধুত্বের সেতু" গল্পের পটভ

বন্ধুত্বের সেতু
পটভূমি
একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম শান্তিপুর। গ্রামের চারপাশে ছিল সবুজ মাঠ, নদী এবং পাহাড়। শান্তিপুরের মানুষজন ছিল খুবই মিশুক এবং সহযোগিতাপরায়ণ। কিন্তু গ্রামের মধ্যে একটি বিষয় ছিল, তা হলো দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ। একদিকে ছিল হিন্দু সম্প্রদায় এবং অন্যদিকে মুসলিম সম্প্রদায়। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল খুবই দুর্বল।
গল্পের শুরু
একদিন, গ্রামের স্কুলে নতুন শিক্ষক হিসেবে যোগ দিলেন রাহুল। তিনি ছিলেন একজন উদ্যমী যুবক, যিনি বিশ্বাস করতেন যে শিক্ষা এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমে বিভেদ দূর করা সম্ভব। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, তিনি একটি বিশেষ প্রকল্প শুরু করবেন, যার মাধ্যমে দুই সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা হবে।
রাহুলের প্রথম কাজ ছিল একটি খেলাধুলার অনুষ্ঠান আয়োজন করা। তিনি গ্রামে একটি বড় মাঠে একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিকল্পনা করলেন। তিনি দুই সম্প্রদায়ের শিশুদের একসঙ্গে খেলতে বললেন। প্রথমে অনেকেই দ্বিধা প্রকাশ করেছিল, কিন্তু রাহুলের উৎসাহে তারা রাজি হলো।
বন্ধুত্বের সেতু
টুর্নামেন্টের দিন এল। মাঠে দুই সম্প্রদায়ের শিশুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হলো। খেলাধুলার সময় তারা একে অপরের সাথে কথা বলল, হাসাহাসি করল এবং পরস্পরের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিল। খেলার শেষে, তারা বুঝতে পারল যে তারা আসলে একে অপরের বন্ধু হতে পারে।
রাহুল দেখলেন, শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে উঠছে। তারা একসঙ্গে খেলার পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতি এবং উৎসবের সম্পর্কে আলোচনা করতে শুরু করল। এই বন্ধুত্বের সেতু ধীরে ধীরে গ্রামবাসীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে লাগল।
পরিবর্তনের সূচনা
সময় গড়ানোর সাথে সাথে, হিন্দু এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ কমতে শুরু করল। তারা একসঙ্গে উৎসব পালন করতে লাগল, একে অপরের বাড়িতে অতিথি হতে লাগল। রাহুলের উদ্যোগে বন্ধুত্বের সেতু গড়ে উঠল, যা গ্রামটিকে একত্রিত করল।
উপসংহার
শান্তিপুর গ্রামে আজ আর বিভেদ নেই। সেখানে এখন একে অপরের প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা। রাহুলের উদ্যোগে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের সেতু আজও টিকে আছে, এবং এটি প্রমাণ করে যে বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার মাধ্যমে যেকোনো বিভেদ দূর করা সম্ভব।
গ্রামের মানুষজন এখন একসঙ্গে সুখে-শান্তিতে বসবাস করছে, এবং তাদের বন্ধুত্বের গল্পটি আজও নতুন প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.