নিশ্চিতভাবেই! এখানে একটি গল্পের জন্য বিষয়: **শিরোনাম:

in #life11 days ago

image


সম্পর্কের জাদু

একটি ছোট্ট গ্রামে ছিল একটি সুন্দর বাগান। সেই বাগানে নানা রঙের ফুল ফুটে থাকতো এবং সেখানে একটি পুকুর ছিল, যেখানে মাছেরা খেলা করতো। গ্রামের মানুষজন এই বাগানকে খুব ভালোবাসতো। তবে, বাগানের মালিক, বৃদ্ধ স্যার মিহির, ছিলেন একা। তাঁর স্ত্রী অনেক বছর আগে মারা গেছেন এবং তাঁর কোনো সন্তান নেই।

একদিন, গ্রামের নতুন স্কুল শিক্ষিকা, সুমি, সেই বাগানে এসে বসে পড়লেন। তিনি ছিলেন একজন প্রাণবন্ত এবং হাসিখুশি মেয়ে। সুমি যখন বাগানের ফুলগুলোকে দেখছিলেন, তখন স্যার মিহির এসে বললেন, "আপনি কি এই বাগানকে ভালোবাসেন?"

সুমি হাসলেন এবং বললেন, "হ্যাঁ, এটি অসাধারণ। আপনার এই বাগান যেন একটি স্বপ্নের জগত।"

সেই দিন থেকে সুমি প্রতিদিন বাগানে আসতে লাগলেন। স্যার মিহিরের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে লাগলো। তাঁরা একসাথে ফুলের যত্ন নিতেন, পুকুরে মাছ খাওয়াতেন এবং অনেক গল্প করতেন।

একদিন, সুমি স্যার মিহিরকে বললেন, "আপনি কি কখনও ভাবেননি, এই বাগানকে আরও সুন্দর করে তোলা যায়?" স্যার মিহির একটু ভেবে বললেন, "হ্যাঁ, কিন্তু আমি একা তো।"

সুমি বললেন, "আমি আপনাকে সাহায্য করবো। আমরা একসাথে কাজ করলে, এটি আরও সুন্দর হবে।" স্যার মিহির খুব খুশি হলেন এবং সুমি তাঁর পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ শুরু করলেন।

তারা বাগানে নতুন ফুলের বীজ বপন করলেন, পুকুরের চারপাশে গাছ লাগালেন এবং বাগানকে নতুন করে সাজালেন। ধীরে ধীরে বাগান আবার প্রাণ ফিরে পেল। গ্রামের মানুষজন আবার বাগানে আসতে শুরু করলেন। সুমি এবং স্যারের বন্ধুত্বও আরও গভীর হলো।

একদিন, সুমি স্যার মিহিরকে বললেন, "আপনি জানেন, সম্পর্কের জাদু হলো একে অপরকে ভালোবাসা এবং সহযোগিতা করা।" স্যার মিহির মুচকি হেসে বললেন, "আপনার মতো একজন বন্ধু পেয়ে আমি সত্যিই ভাগ্যবান।"

সুমি বললেন, "আমি মনে করি, এই বাগান শুধু ফুলের জন্য নয়, এটি আমাদের সম্পর্কের প্রতীক।" স্যার মিহিরের চোখে জল এসে গেল। তিনি বুঝতে পারলেন, জীবনের শেষ অধ্যায়ে এসে তিনি আবার একটি সুন্দর সম্পর্ক পেয়েছেন।

এভাবেই স্যার মিহির এবং সুমি একসাথে বাগানকে আরও সুন্দর করে তুললেন এবং তাদের মধ্যে গড়ে উঠলো এক বিশেষ সম্পর্ক, যা কেবল বাগানের সৌন্দর্যকেই নয়, বরং জীবনের প্রতিটি মুহূর্তকেও রাঙিয়ে তুললো।

এবং সেই বাগান আজও গ্রামে সুখের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।


image


Pixabay.com

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.