(Worshipping goddess Durga in my neighborhood) |
অনেকেই দেখেছেন, মা দুর্গা তথা তার সন্তানের ঠিক পিছনে মহাদেব থাকেন।
পুরাণে উল্লেখিত আছে মা দুর্গাকে আহ্বান করা হয়েছিল মহিষাসুর নিধনের জন্য।
তিনলোকে সমস্ত দেবতা তাকে নিধনে করতে অসমর্থ হলে, ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ সহ সমগ্র দেবকুল মাকে আহ্বান জানান এবং দশভূজা কে এক এক দেবতা একটি একটি করে অস্ত্র দিয়ে অসুর নিধনে সহযোগিতা করেন।
সিংহবাহিনী মহিষা মর্দিনী অসুর নিধনে সমর্থ হয়, এবং এক্ বার নয় তিন বার তিন কালে , তিন রূপে!
স্বপ্নে একবার ভদ্রকালী রূপে মহিষাসুর মায়ের দর্শন পায়, এবং তাঁর আরাধনা শুরু করেন।
তবে, কর্মফল স্বরূপ মায়ের হাতে তার মৃত্যু নিশ্চিত ছিল, তাই ভদ্রকালী মায়ের থেকে আশীর্বাদ স্বরূপ মহিষাসুর বর পান, এবং মা বলেন, মায়ের তিন মূর্তির পুজোর সময় তাঁর পদতলে মহিষাসুর ও পূজিত হবেন।
একইসময় মানব, দেবতা তথা রাক্ষস পূজিত হবে।
সবকিছুর সারমর্ম হলো, পাপ সর্বদাই পরাজিত হয় অবশেষে।
কর্মফল পেতে হবে, সেটা এই পূরণের উর্ধ্বে গিয়ে।
প্রকৃত শিক্ষা সেটা যেখানে নারী পূজিত হয়, এবং তার শক্তির পরিচয় কেবলমাত্র পূরণেই নয়, বর্তমান সময়েও প্রমাণিত একজন নারীর শক্তি কতখানি।
সমাজে বহু উদাহরণ ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
একজন নারী মমতার রূপের পাশাপশি শক্তির নিদর্শন।
আর ঠিক সেই কারণেই সৃষ্টিকর্তা হয়তো বুদ্ধি, বিচক্ষণতার সাথে সন্তান ধারণের ক্ষমতা শুধুমাত্র নারীকেই দিয়েছেন।
(Decoration still going on) |
বেশ খানিকক্ষণ দাড়িয়ে ছিলাম মায়ের সামনে, নিজের মধ্যে তাঁর একাংশ শক্তি ধারণের ক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হই এই আশীষ চাই।
সমাজের সমস্ত কিটের নাশ হোক আর মানসিকতা উন্নত হোক, সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এই আশীষ দিয়ে যান যেনো তিনি।
একদম কয়েক পা দূরত্বে একটি বাড়িতে প্রতিবছর দুর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হয়।
এর পাশাপশি আমি যে ফ্ল্যাটে থাকি সেই গলির দুই মাথায় দুটো আলাদা ক্লাব দুর্গা পূজার আয়োজন করে।
এরপর বাজারে যাবার পথে একটি ক্লাব আছে, যেখানে ছোটো বাচ্চারা ক্যারাটে শিখতে আসে, তারাও প্রতিবছর দুর্গা পূজার আয়োজন করে থাকে।
এই পুজোর পাশাপশি, আজকে দেখলাম একটি নতুন ফ্ল্যাট হচ্ছে ঠিক স্টেশন এর রাস্তায়, প্রথবে ভেবেছিলাম কোনো মল হচ্ছে, বিষয়টা হলো এটা আমার চোখে পড়েনি কারণ বেশিরভাগ সময় আমি ভিতরের গলি দিয়ে যাতায়াত করি।
তবে, ভাবার চেষ্টা করছিলাম, এর আগে এই জায়গায় কি ছিল? তারপর মনে পড়ল একটি ফাঁকা জায়গা।
যাইহোক দিন দিন শ্বাস রুদ্ধ করা পরিবেশ হয়ে যাচ্ছে এত আকাশ ছোঁয়া বড়ো বড়ো ফ্ল্যাটের কারণে।
তবে এখনো বাঁচোয়া বাড়িয়ে কাছেই একটি মাঠ এখনও অক্ষত আছে, আজকে রাতের আলোয় সবুজ ঘাসগুলোকে দেখে মনে হচ্ছিল কেউ সবুজ কার্পেট বিছিয়ে রেখেছে।
তবে, বাজারে আজকে আমার ফ্ল্যাটের নিজের এক্ মাসিমার সাথে দেখা হয়েছিল, এবং অবাক বিষয় আমি জানতাম না, ওনার নাতি নিজেই মা দুর্গার প্রতিমা তৈরি করে, প্রতিবছর পুজো করে।
এতো বছর এই ফ্ল্যাটে থেকেও জানাই ছিল না, একেই বলে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা যেখানে ফ্ল্যাটের চার দেয়ালের ভিতরেই যার যার জগত বন্দী।
কেউ কারোর খবর নেওয়ার, কারোর সাথে মেশার, কারোর বাড়ি যাবার সময় নেই।
জানাবেন, আপনাদের কেমন লাগলো আমার পাড়ার পুজো।
Upvoted. Thank You for sending some of your rewards to @null. It will make Steem stronger.
দুর্গাপুজোর সাথে আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। আমাদের বাড়ির চারপাশেই অনেকগুলো পুজো হতো। বছর দুয়েক আগে দশমীর দিন গিয়েছিলাম আমি দেখার জন্য সাথে হারিয়ে যাওয়া ছোটোবেলাকে কিছুটা হলেও ফিরে পাবার জন্য।
আধুনিক কালের ফ্ল্যাটগুলোতে আমরা হয়তো অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি কিন্তু হারিয়ে গেছে পুরোনো দিনের সেই আন্তরিকতা যা এখনো আমি আমার গ্রামের বাড়িতে খুঁজে পাই পাশের বাড়ির কাকী,ও ভাইদের মাঝে।